ভারত অনুকূল পরিবেশে আলোচনায় আগ্রহী: রণধীর জয়সওয়াল
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়া
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সব বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবদিক সামাল দেওয়ার জন্য ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কাঠামো রয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু সমাধানেও ভারত অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
রণধীর জয়সওয়াল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভারত বাণিজ্য সম্পর্কিত যে সংশোধনীগুলো বাংলাদেশের জন্য ঘোষণা করেছে, সেগুলো বাংলাদেশের তরফ থেকে ন্যায্যতা, সমান আচরণ এবং পারস্পরিকতা নিশ্চিত করার আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা মূল বিষয়গুলো সমাধানের জন্য বাংলাদেশের অপেক্ষায় আছি। বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের আলোচনাসহ এ বিষয়গুলো ভারত এর আগেও বিভিন্ন কাঠামোগত বৈঠকে উত্থাপন করেছে।
দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন নদীসংক্রান্ত বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, গঙ্গাসহ ভারত ও বাংলাদেশ ৫৪টি অভিন্ন নদী ভাগাভাগি করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতার অংশ হিসাবে গঠিত সব প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন নামে একটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থা চালু আছে। এছাড়া এ ধরনের বিষয়গুলোয় আমাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ আলোচনায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যসরকারগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। যাতে আমাদের পন্থা নির্ধারণ করা যায়। পারস্পরিক উপকারী সংলাপের জন্য অনুকূল পরিবেশে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।
চীনের কুনমিং শহরে ১৯ জুন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও চীনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে মুখপাত্র বলেন, ক্রমাগত এ বিষয়ের ওপর আমরা নজর রাখছি। এই প্রতিটি দেশের সঙ্গেই ভারতের সম্পর্কের আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপট রয়েছে। কিন্তু পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট সেই সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি স্পষ্ট বলেন, আশপাশের অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহে আমরা সব সময় নিবিড় নজর রাখি। কারণ, এগুলো আমাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত। ঢাকার খিলক্ষেতে একটি মন্দির ভাঙার বিষয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা না দিয়ে ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহার হিসাবে তুলে ধরেছে এবং মন্দিরটি ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে প্রতীমা (মূর্তি) স্থানান্তরের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটায় আমরা মর্মাহত। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, হিন্দু, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা দেওয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
