Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ট্রাকে বাসের ধাক্কা

যশোরে নিহতদের ঘরে ঘরে শোকের মাতম

Icon

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যশোরে নিহতদের ঘরে ঘরে শোকের মাতম

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। হতাহতের খবর পাওয়ার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিহতদের বাড়িতে। ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে শনিবার ভোরে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। নিহতরা হলেন-যশোর সদরে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি ও পাগলাদাহ গ্রামের পল্লি চিকিৎসক জালাল উদ্দিন, একই ইউনিয়নের মধুগ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান, শেখহাটি ঘুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা কমিটির মহিলা ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সদস্য ঘুরুলিয়া গ্রামের রওশন আলী ও বাসচালকের সহকারী পাগলাদাহ গ্রামের বাপ্পির ছেলে আসিফ উদ্দিন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়াইব হোসেন বলেন, শনিবার ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ ছিল।

সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতে রিজার্ভ বাসে রওনা হন যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। হামদান এক্সপ্রেস নামে একটি পরিবহণে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ছিল। পথে রাত ৩টার পর দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি বাস। ওই বাসের যাত্রী ও হেলপারসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন। নিহত চারজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মী। আরেকজন বাসের সহকারী।

নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম : শোকের মাতম চলছে নিহত পল্লি চিকিৎসক জালাল উদ্দিনের বাড়িতে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার লাশ বাড়িতে পৌঁছে। এসময় তার বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাকে শেষ বিদায় জানাতে এসে শোক সাগরে ভাসেন তারা। একই গ্রামের বাসিন্দা এক্সপ্রেসের হেলপার আসিফ উদ্দিন। তার বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা জানান, একটি দুর্ঘটনায় ছোটবেলায় বাবা বাপ্পিকে হারান আসিফ। গার্মেন্টে কাজ করে আসিফকে বড় করেন মা শায়লা বেগম। এখন তিনিও বয়সের ভারে নানা রোগে অসুস্থ। এখন অসুস্থ মা, স্ত্রী ও বছর তিনেকের একটি কন্যাশিশু রয়েছে। দুর্ঘটনায় একমাত্র বুকের ধন পরিবারের উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা। তিন বছরের শিশুটিকে নিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন স্ত্রী আরিফা খাতুন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে একবার কথা হয়েছিল। বলেছিল, যেহেতু হুজুরদের প্রোগ্রাম, শেষ না হলে আর ফিরা হবে না। তবে সে যে আর ফিরবে না, সেটা তো বলেনি।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম