Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বিবিএস’র জরিপ

৫৬ শতাংশ কৃষি জমির টেকসই ব্যবহার হচ্ছে না

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৫৬ শতাংশ কৃষি জমির টেকসই ব্যবহার হচ্ছে না

দেশের ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কৃষি জমির উৎপাদনশীল ও টেকসইভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। অর্থাৎ ৪৪ দশমিক ৩৭ শতাংশের টেকসই ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫’-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটোয়ারী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেকসই কৃষি পরিসংখ্যান (এসএএস) প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন, বিবিএসের এগ্রিকালচার উইংয়ের পরিচালক আলাউদ্দিন। প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায়। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কৃষিজমি গত তিন বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত একটি বছর লাভজনকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব জমিতে কৃষকরা উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত অর্থে আয় করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক তৃতীয়াংশ কৃষক এখনো কৃষি জমির সুরক্ষার বাইরে আছেন। আর ৬৯ দশমিক ১৬ শতাংশ কৃষিজমি এমন কৃষক পরিবারের হাতে রয়েছে; যারা কোনো না কোনোভাবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সুবিধার আওতায় রয়েছেন। অর্থাৎ কৃষি ঋণ গ্রহণ, কৃষি বিমা কভারেজ এবং খামারের বৈচিত্রায়ণ ইত্যাদি সুবিধা পান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের ৭২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি এমন পরিবারের কাছে রয়েছে যাদের জমির অন্তত ৫০ শতাংশ মাটির অবক্ষয়ের শিকার। এটি জমির গুণগত মানের অবনতি এবং দীর্ঘমেয়াদি উৎপাদনের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর ৮১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কৃষিজমি পর্যাপ্ত সেচের পানি পাচ্ছে। এছাড়া ৫৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ কৃষিজমি এমন পরিবারের হাতে রয়েছে, যারা সার ব্যবহারের প্রস্তাবিত আটটি পদ্ধতির মধ্যে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। এর থেকে স্পষ্ট, একটি বড় অংশ এখনো রাসায়নিক সার ব্যবহারে সচেতন নয়। তবে ৫১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কৃষিজমিতে কীটনাশক ব্যবহারে টেকসই ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা হয়। এখানে একটি বড় অংশ অসচেতনভাবে কীটনাশক ব্যবহার করে।

জরিপে দেখা যায়, ৬০ দশমিক ১২ শতাংশ কৃষিজমি এমন অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে অদক্ষ শ্রমিকরা জাতীয় কৃষি মজুরির চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান। যদিও সংখ্যাটি মাঝারি। তবুও কৃষি মজুরি কিছু এলাকায় ভালো পাচ্ছে।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ কৃষক পরিবার গত বছর খাদ্য ঘাটতি বা সংকটে ছিল না। এছাড়া ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কৃষিজমি এমন কৃষক পরিবারে রয়েছে যারা জমির স্থায়ী মালিক।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই জরিপ পরিচালনার জন্য ৭৮০টি নমুনা এলাকা নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো থেকে ১৫ হাজার ৬০০টি কৃষি পরিবারকে জরিপের আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে ৭২২টি কৃষি খামার রয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম