Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জাতিসংঘ প্রতিনিধির প্রতিবেদন

গাজায় গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গাজায় গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা এবং গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরাইলকে যেসব প্রতিষ্ঠান সহায়তা করছে সেগুলোর তালিকা তৈরি করেছেন অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজ। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটসহ ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন আজ জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। খবর আলজাজিরার।

বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেটেড (গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান) ও অ্যামাজনের নামিদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তদন্তের অংশ হিসাবে এক হাজারের বেশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। ইসরাইলের চিরস্থায়ী দখলদারত্ব অস্ত্র প্রস্তুতকারক ও বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার আদর্শ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সেখানে চাহিদা ও জোগানের সুযোগ রয়েছে। তবে নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। কোনো জবাবদিহিতাও নেই। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব বড় প্রতিষ্ঠান এখন আর শুধু ইসরাইলের দখলদারত্বে যুক্ত নয়, বরং গণহত্যার অর্থনৈতিক কাঠামোর অংশ হয়ে গেছে। ২০২৪ সালে আলবানিজ এক বিশেষ মতামতে বলেছিলেন, গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার পর্যায়ে পড়ার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে গাজায় কেন ইসরাইলের গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। এ গণহত্যা অনেকের জন্য লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেদনে অস্ত্র ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর নাম এসেছে। ইসরাইল বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রয় কর্মসূচির অংশ হয়ে উঠেছে। ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লকহিড মার্টিন। এ যুদ্ধবিমানের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে অর্থনীতির অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো আরও গভীরভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তারা যেন অবিলম্বে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারত্বে যুক্ত কার্যক্রম থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে।

গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরাইল-ট্রাম্প : ফিলিস্তিনের গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় শর্তাবলি’ মেনে নিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, প্রস্তাবিত চুক্তি কার্যকর থাকার সময় যুদ্ধ বন্ধে (স্থায়ীভাবে) আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করব। তবে চুক্তির শর্তের বিষয়ে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু জানাননি। পোস্টে তিনি আরও লেখেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তায় কাতার ও মিসরবাসী কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারাই চূড়ান্ত চুক্তির প্রস্তাব দেবেন। আশা করি, হামাস চুক্তিটি গ্রহণ করবে। কারণ এটি আর ভালো হবে না; বরং এটি শুধু আরও খারাপ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহু গাজায় লড়াই বন্ধ করতে চান, এটা তিনি বিশ্বাস করেন।

আসছে সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির শর্ত মানার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানালেন। যদিও ট্রাম্প বলে রেখেছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি ‘অত্যন্ত দৃঢ়’ মনোভাব দেখাবেন।

আইএইএর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধের সিদ্ধান্ত ইরানের : আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে ইরান সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের তথ্য অনুযায়ী-সম্প্রতি পার্লামেন্টে পাশ হওয়া একটি আইনে আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট এখন তা অনুমোদন করে কার্যকর করেছেন। ফলে ইরান সরকারের জন্য আইএইএর সঙ্গে যে কোনো সহযোগিতা বন্ধ রাখা এখন আইনত বাধ্যতামূলক। বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের ওপর নজরদারি ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে। এতে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ আরও বাড়বে। পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা-ইরান বেসামরিক কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করতে পারে। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম