Logo
Logo
×

শেষ পাতা

পাটগ্রাম থানায় হামলা আসামি ছিনতাই

হাতীবান্ধা পুলিশকেও উদ্ধারে যেতে বাধা

Icon

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হাতীবান্ধা পুলিশকেও উদ্ধারে যেতে বাধা

ফাইল ছবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা-ভাঙচুর করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পাশের হাতীবান্ধা থানাও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পুলিশের অভিযোগ, হাতীবান্ধা থেকে পুলিশ সদস্যরা যাতে পাটগ্রামে উদ্ধারে যেতে না পারেন, সেজন্য তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী যুগান্তরকে বলেন, পুলিশ সুপারের কাছ থেকে পাটগ্রাম থানায় হামলার তথ্য পেয়ে আমরা সেখানে রওয়ানা হই। কিন্তু থানার সামনে ২০০ থেকে ২৫০ জন ৫০-৬০টি মোটরসাইকেল দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেয়। ওরা বলে, পাটগ্রাম থানার অফিসারকে উদ্ধারে হাতীবান্ধা থেকে কোনো পুলিশকে আমরা যেতে দেব না। তারা পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি ও গালাগালি করেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষক দলের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় শুক্রবার বিকালে বিপ্লব নামে যুবদলের এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ওসি মাহমুদুন-নবী।

এদিকে পাটগ্রাম থানায় হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে দণ্ডিত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায়ও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে থানার এসআই হামিদুর রহমান প্রধান বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মচারীকে মারধর, সরকারি সম্পদের ক্ষতি ও চুরি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের সহযোগিতায় চারজনকে গ্রেফতার করে থানা-পুলিশ। আসামিরা হলেন-বাউরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, পাটগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম মানিক, পাটগ্রাম পৌর ধরলা মোড় এলাকার স্থানীয় বাজারের নৈশপ্রহরী আবুল কালাম এবং পাটগ্রামের ভিতর বাজারের রেস্তোরাঁর কর্মচারী আব্দুর রশিদ। গ্রেফতারদের শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির সংবাদ সম্মেলন : এদিকে বিএনপিকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলা ও পৌর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে। পাটগ্রাম পূর্ববাজারে বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। তিনি বলেন, থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কিন্তু কিছু গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় বিএনপি অতীতেও নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দেওয়া ফেসবুক পোস্টকে ‘অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যমূলক ও দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন হাসান রাজীব প্রধান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান আনিছ, পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি শপিকার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান সোহেল, পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম