ঢাকায় সমাবেশে নেতাকর্মীদের আনতে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এসব ট্রেন একবার করে চলবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে। আজ এ সমাবেশ হবে।

জামায়াতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল, ডেপুটি চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট-১ আরফিন নাহার এবং রেলওয়ের উপপরিচালক (টিটি) মো. খায়রুল কবির পৃথক চিঠিতে ট্রেন বরাদ্দ করেন।

চিঠিগুলোয় বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর অফিস সেক্রেটারির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এবং আজ রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহী ফেরার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, সিরাজগঞ্জবাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জবাজার রুটে চলাচলকারী ৭৭৫/৭৭৬ নম্বর ট্রেনটি আজ সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জবাজার থেকে ছাড়বে এবং সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। সমাবেশ শেষে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জবাজার পৌঁছাবে ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে। এছাড়া ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটেও এক জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রেলওয়ে।

জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমরা ট্রেনের ১ হাজার ১৭৯টি টিকিটের মূল্য হিসাবে প্রায় ১২ লাখ ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করে রসিদ নিয়েছি। ১৪ বগির এই ট্রেনের পুরোটিতেই আমাদের নেতাকর্মীরা থাকবেন। তিনি জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকেও ৭ থেকে ১০টি করে বাস নেতাকর্মীদের নিয়ে যাবে। এছাড়া যাদের ঢাকায় কোনো কাজ আছে, তা সেরে নেওয়ার জন্য তারা দুই দিন আগেই ঢাকায় গেছেন। শুক্রবার সকালেও অনেকে গেছেন। সমাবেশ সফল করতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর থেকে প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেবেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ভাড়া, সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাতায়াতেও কোনো অসুবিধা হবে না।

বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় নিয়ম ভঙ্গ হয়নি-রেলপথ মন্ত্রণালয় : জামায়াতের ট্রেন ভাড়াকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এতে ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ ট্রেনের জন্য ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে। রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা অনুরূপ কর্মসূচির কারণে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া আদায়সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।