গোপালগঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রয়োজনে লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গোপালগঞ্জে নিহত সব লাশের ময়নাতদন্ত করতে না পারার কারণ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, স্বজনরা নিহত কয়েকজনের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন। চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে চাইলেও স্বজনরা দেননি। তবে কয়েকটি লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যেসব লাশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি, প্রয়োজনে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে। শনিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন দায়টা আসলে কার। তিনি বলেন, এ কমিটি সব বিষয় সবার সামনে তুলে ধরবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় অনেক সাংবাদিক জীবন বাজি রেখে লাইভ টেলিকাস্ট করেছেন, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। লাইভের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ঘটনাটি দেখতে পেরেছে, সঠিক তথ্য পেয়েছে।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের জন্য জনবল নিরূপণ ছাড়াও যারা বিদেশে যাওয়া-আসা করেন, তাদের কী ধরনের সমস্যা হয়, ইমিগ্রেশনে ঝামেলা হয় কিনা-এসব দেখার জন্য আজকের (শনিবার) বিমানবন্দর পরিদর্শন। তৃতীয় টার্মিনাল এলাকাটা খুবই সুন্দর, আধুনিক ও যুগোপযোগী হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি ৯৯.১৮ শতাংশ হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এটা উদ্বোধন হবে-এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনাল ক্যাপাবিলিটি অনেক বেশি ও সুন্দর। বিদেশ থেকে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে আগে যে ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতো, এটি চালু হয়ে গেলে এ ধরনের সমস্যা আর হবে না বলে আশা করা যায়।
উপদেষ্টা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ছাড়াও টার্মিনাল ১ ও ২ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি যাত্রীদের খোঁজখবর নেন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদসহ ইমিগ্রেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
