|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সব মা-বাবাই চান তার সন্তান বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে। কিন্তু কিছু অভিভাবক শত চেষ্টার পরও সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় দীক্ষিত করতে পারেন না। এজন্য আমাদের সমাজের পারিপার্শ্বিকতা, ধর্মীয় ও নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি অনীহা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্তানদের প্রতি দায়িত্বহীনতারও দায় রয়েছে। তাই অভিভাবকদের উচিত শৈশব-কৈশোরকালে ধাপে ধাপে সন্তানদের নিজ ধর্মচর্চা, নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষায় দীক্ষিত করতে যা যা প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করা। সন্তান যখন ঘর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে বের হয়-সে কার সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, কী করছে-এ সবকিছুর খবর অভিভাবকের নেওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেক পরিবারের উচিত পরোপকারী মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, সুন্দর আচার-আচরণ, মনুষ্যত্ববোধ অর্জনে যা যা প্রয়োজন, সাধ্যমতো সন্তানকে সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের সম্পদ হিসাবে গড়ে তোলা। মানবসেবা তথা নৈতিক শিক্ষা অর্জনের জন্য অভিভাবকের পাশাপাশি রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে।
আলতাফ হোসেন হৃদয় খান, সমাজকর্মী, ঢাকা
