|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মৃত্যুর এত কাছাকাছি এসে দাঁড়াতে হবে, এমন ভাবনাও হয়তো আমাদের ছিল না। তবুও সম্প্রতি কয়েক সেকেন্ডের ভূকম্পন আমাদের মনে করিয়ে দিল আমরা আসলে কতটা অপ্রস্তুত, কতটা অসচেতন। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসাবে নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি এখনো ভয়াবহ রকমের দুর্বল। রাজউকের এক সমীক্ষা বলছে, মধুপুর ফল্টে যদি ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে, তবে ঢাকায় ৮ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি ভবন ধসে পড়তে পারে। ভয়াবহ এই পূর্বাভাসই জানিয়ে দেয় আমাদের প্রস্তুতি কতটা অপ্রতুল। যেহেতু ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া যায় না, তাই দরকার মানসিক প্রশিক্ষণ ও বাস্তবভিত্তিক প্রস্তুতি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত চিহ্নিতকরণ, পুরোনো আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা সংস্কার এবং রানা প্লাজার মতো অতীতের ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ এখনই জরুরি। এছাড়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো উদ্ধার অভিযান। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে তাই আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ও দক্ষ টিম গঠনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই, তবে আগামীতে বাংলাদেশ এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে বাধ্য। আজকের প্রস্তুতিই আগামীর নিরাপত্তা। তাই প্রত্যেক নাগরিককে এখন থেকেই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।
লাবনী আক্তার শিমলা, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
