Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

ক্ষণজন্মা কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী

Icon

আনোয়ারুল হক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী বিয়ের আগে রচনাতে তিনি রাজিয়া খাতুন নাম ব্যবহার করেছেন। ১৩৩১ সনের ১৮ বৈশাখ কুমিল্লার সুয়াগাজী গ্রামের জমিদার তফাজ্জল আহমদ চৌধুরী ওরেফে আনু মিয়ার পুত্র আশরাফউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি নামের শেষে ‘চৌধুরাণী’ পদবি ব্যবহার করতে শুরু করেন। সমকালে ‘মোহাম্মদী’সহ অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত রচনাতে তিনি রাজিয়া খাতুন, মোসাম্মৎ রাজিয়া খাতুন ও রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী এ তিনটি নামেই লিখেছেন।

তার অগ্রজ কবি নবাব ফয়জুন্নেসা, নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া, কবি সুফিয়া কামাল এদের মতো সমকালের সমাজব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজিয়া খাতুনও ছিলেন অন্তঃপুরবাসিনী এবং পারিবারিক সহায়তায় স্বশিক্ষিত। তারও ভাগ্য ছিল সুপ্রসন্ন। পিতা-মাতার আনুকূল্যে বাড়ির মসজিদের ইমাম, নানা, মামা এবং গৃহশিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিলেন। বিবাহের পর কলকাতায় পার্ক সার্কাসে বসবাসের সময় গৃহশিক্ষকের কাছেও পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি পারিবারিক লাইব্রেরিতে নিয়মিত অধ্যয়ন করেছেন। পারিবারিক প্রশ্রয় রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীর লেখক মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ অনুপ্রেরণা পরবর্তী জীবনে তাকে মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, আরবি, ফারসি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে উৎসাহী করেছিল।

ষোল বছর বয়সে বিয়ে পরবর্তী সংসার ও পারিবারিক জীবনও ছিল রাজিয়া খাতুনের সাহিত্যচর্চার অনুকূলে। আশরাফউদ্দিন চৌধুরী নিজেও ছিলেন সুশিক্ষিত, নারী শিক্ষায় সচেতন এবং ব্রিটিশ ভারতের উত্তাল রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সুস্থির যুগল গৃহীজীবন তাদের ছিল না। তথাপি দাম্পত্য জীবন ছিল মধুর। একান্নবর্তী পরিবারসহ চার সন্তান লালন-পালন করেছেন, সমাজসেবা করেছেন, সংসারের নানাবিধ দায়িত্ব পালন করার পরও এ নারী লেখকের সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা নির্বিঘ্নে বিকশিত হয়েছে তার একাগ্রতা ও অধ্যবসায়ের জোরে।

রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীর ব্যক্তিগত শিক্ষাজীবন সব নারীর জীবনে ফলপ্রসূ হোক, ‘সাহিত্যচর্চা’ প্রবন্ধে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেছেন। যদিও পারিপার্শ্বিক সমাজ ছিল না নারী শিক্ষার অনুকূলে। ‘বঙ্গীয় মোসলেম মহিলাগণের শিক্ষার ধারা’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রাচীন যুগে হজরতের সময়ও স্ত্রীশিক্ষার খুব প্রচলন ছিল। মাতা খোদেজা ও আয়েশা সিদ্দিকা অত্যন্ত শিক্ষিতা ছিলেন। কবিতা ও আইনজ্ঞানের জন্য মাতা আয়েশা বিশ্ববিখ্যাত ছিলেন। হজরত স্বয়ং বলিয়াছেন, ‘তোমরা এই রক্তাভা গৌরবর্ণা মহিলাকে গুরুরূপে বরণ করিতে পার।’ প্রাচীন যুগে ও স্পেনের গৌরব যুগে আরব এবং স্পেনে মহিলাগণ কবিতা রচনা, সাহিত্যালোচনা, চিকিৎসাশিক্ষা ও ধর্মালোচনার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।...শুধু বঙ্গ মহিলাগণই কি ঘুমাইয়া থাকিবেন? হাদিস শরিফ অনুযায়ী বিদ্যাশিক্ষা করা স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরজ। কিন্তু আধুনিক সমাজ তাহার উল্টো করিতেছে। ...সন্তান জন্মের বিশ বছর পূর্ব হইতে তাহার ব্যবস্থা করা উচিত। ভ্রূণাবস্থা হইতেই যেন তাহার মনের উপর শিক্ষার ছাপ পড়ে।”

নারীদের শিক্ষা বিষয়ে তার চিন্তা-ভাবনার ব্যাখ্যা আছে ‘মুসলিম মহিলার সাহিত্য সাধনা’ রচনাতেও। লিখেছেন, ‘শিক্ষিতা নারী দেশের প্রধান সম্পদ। কেননা সন্তানের জন্য জননীই প্রথম ও উত্তম শিক্ষয়িত্রী।...পুরুষ অন্ন, বস্ত্র, পুঁথিগত বিদ্যা সন্তানকে দান করিতে পারে, কিন্তু নারী স্নেহ, যত্ন, ভালোবাসা দিয়ে, এমনকি নিজেকে উৎসর্গ করেও সন্তানের সূক্ষ্ম অনুভূতিকে জাগ্রত ও জীবন্ত করে রাখে।’ ‘মায়ের শিক্ষা’ প্রবন্ধেও তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এই যে মনের ভাবগুলি যেমন তেমন করিয়া প্রকাশ করার শক্তি, ইহা আমি আমার মাতার নিকট হইতেই লাভ করিয়াছি। তিনি শিক্ষিত না হইলে এইটুকু হইত কিনা সন্দেহ।’ বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই নারী লেখক বঙ্গের মুসলিম নারীদের ‘চোখ বাঁধা ঘানির বলদ’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি দেখেছেন, বাঙালি মুসলমান মেয়েদের প্রায় সবাই কুরআন শরিফ পড়ানো হলেও তারা অবরোধ প্রথায় বড় হয় বলে তাদের অন্তকরণ ক্লিষ্ট ও পরাধীন হয়ে গড়ে উঠে। যে কারণে তিনি অকাজের গৃহসম্ভারের চেয়ে গৃহের নারীকে ‘একখানা ভাল বই’ পড়া বা লেখার ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন। নারী শিক্ষায় আগ্রহী রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী নিজের পরিচালিত স্কুল সম্পর্কে ১৯২৫ সালের ৪ মে স্বামীকে লেখা এক পত্রে জানাচ্ছেন, ‘আমার ছোট্ট স্কুলটা দেখে বাবা খুব খুশি হয়েছেন, ছাত্রীসংখ্যাও বেড়ে চলেছে, আগে ৪ জন ছিল, এখন হয়েছে ৮ জন।...’

স্বীকার্য, শিক্ষানুরাগী রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীর লেখক সত্তা বিকশিত হয়েছে বিবাহোত্তরকালে, তবে সূচনা হয়েছে কৈশোরে ‘মানুষ’ নামের কবিতা রচনার মাধ্যমে। স্বামী আশরাফউদ্দিন চৌধুরীর সংসারে এসে বিকশিত হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কারণে একাদিক্রমে এক পক্ষকালও গৃহী জীবন-যাপন করেননি আশরাফ চৌধুরী। সংসারের বাইরে একাকিত্বের জীবন রাজিয়া খাতুনকে আনন্দের অবকাশ দিয়েছে, কিন্তু তার একাকিত্বের জীবনে সান্ত্বনা ছিল সাহিত্যচর্চা, পাঠ এবং লেখার খাতা।

স্বামীকে লেখা এক চিঠিতে (২১. ১. ১৯২৫) রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীর প্রথম লেখালেখি শুরুর কথা জানা যায়। লিখেছেন, আজ ছোট মামা আমায় একটা ছেঁড়া খাতা দিলেন। কী আনন্দ হয়েছে আমার সেটা পেয়ে। ১৩২৭ সনের ২২ জ্যৈষ্ঠ হতে সেটার জন্ম, সেই আমার সর্বপ্রথম লেখা।...লেখা হিসাবে বোধহয় সেগুলো কিছুই না। কিন্তু এগুলো দেখে সেই বার বছর বয়সের কত খেলাধুলা হাসি-কান্নার কথা মনে পড়ে। একটা দিনেও মানুষের কত পরিবর্তন হয়। (রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী : শান্তনু কায়সার : বাংলা একাডেমি : ১৯৯৯ : পৃষ্ঠা :১৫) ‘মানুষ’ কবিতাটিতে ছিল সমকালের বিপ্লবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। যেমন :

সত্যের তরে ফিরে দ্বারে দ্বারে

নিগ্রহ হয়, করে না ভয়

মরিলেও তার অমর আত্মা

চিরদিন সে যে লভিবে জয়। (সংক্ষেপিত)

একই সালের (১৩২৭) ১ ফাল্গুনে লেখা ‘বসন্ত’ কবিতায় আছে তার লেখক সত্তার অন্তরঙ্গ পরিচয়। রাজিয়া খাতুনের বিবাহোত্তরকালে প্রকাশিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থ ‘উপহার’। এ কাব্যগ্রন্থে আছে কবির আপন ভুবনের পটভূমি, আছে বিবাহপূর্ব জীবনের কৈশোরিক কাব্যচিন্তা এবং তার একান্ত অনুভবের বৃহৎ প্রেক্ষাপট। এ কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘তৃষা’র প্রথম চার পঙ্ক্তিতে করির ভাবনা দার্শনিক বিভায় উজ্জ্বল। যেমন : ঐ কে আসে কোথায় যায়-/পলক মাঝে হয় কে লয়-/ক্ষণেক জয় আবার ক্ষয়-/বিশ্ব কারও আপন নয়-।

সংসার জীবনে রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণীকে অকালে প্রিয় পুত্রের অকাল মৃত্যু যন্ত্রণা সইতে হয়েছে। কাব্য-জীবনে পুত্রের বিয়োগ ব্যথা সংহত রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ‘শোকাতুরা’ কবিতায় কবির দুঃখ নান্দনিক সৌন্দর্যে পরিস্ফুট হয়েছে। তা এমন :

তেমনি তো আছে সুন্দর ধরা, কমে নাই কিছু তার

তবুও কেন গো নয়নে আমার ঘনায় অন্ধকার।

...

মোরে দিলি শুধু দুদিনের সুখের স্বপ্ন সম

চিত্তের মাঝে অসীম বিত্ত সন্তান মরোরম।

...

প্রথম আশার প্রথম তৃপ্তি আঘাতেও আদি তুই

তাই দিনু আজ প্রভুরেই তোরে! এ সুখ কোথায় থুই।

সন্তান হারানোর শোক একসময় কাটিয়ে উঠেছিলেন রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী। স্বামীর (তখন তিনি কৃষক প্রজা পার্টির নেতা) রাজনৈতিক জীবন, সামাজিক বাস্তবতা, কৃষক আন্দোলনে সম্পৃক্ততা এসব কখনো কখনো কবির রচনার বিষয় হয়েছে। এ সময়ে তার দক্ষ কলমে লেখা হয় কালজয়ী ‘চাষা’ শিরোনামের একটি কবিতা, যেটি সেকালে সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে। কবিতাটির প্রথম চার লাইন :

সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,

দেশ-মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।

দধীচি কি ইহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?

পুণ্য অত হবে নাকো সব করলেও জড়।-

এরপর এই কবিতার শেষ দুটি চরণ আশরাফউদ্দিন চৌধুরীকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘তুমি মোদের সবার নেতা তুমি মহাপ্রাণ,/তোমায় দেখে চূর্ণ হউক ভণ্ড নেতার মান।...স্মর্তব্য, রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী’র ‘চাষা’ কবিতার প্রথম দুই পঙ্ক্তির প্রবাদিক মর্যাদা প্রাচীনদের আজও মনে আছে। ‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা/দেশ-মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।’-এই দুটি লাইন।

কবিতা ছাড়াও রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী’র চিন্তার প্রসারতা প্রকাশ পেয়েছে অন্যান্য রচনায়। লিখেছেন প্রবন্ধ, ছোটগল্প। একান্নবর্তী পরিবারে সংসারের কাজ-কর্ম সম্পাদন করার পর কখন তিনি লিখতেন? কন্যা রাবেয়া খাতুন চৌধুরী’র ভাষ্য থেকে জানা যায়, তার সৃজন ক্ষমতা ছিল স্বভাবজাত। সংসারের কাজকর্ম, রান্না অথবা অন্য কিছু করতে করতে হঠাৎ হয়তো কোনো কবিতা বা লেখা মনে এসে গেলে সবকিছু ফেলে ছুটে যেতেন খোলা খাতাটির কাছে, সেই মুহূর্তে কলম নিয়ে লিখতে বসে যেতেন। (আমার আম্মাকে যতটুকু জেনেছি : রাবেয়া চৌধুরী, রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী রচনা সংকলন, পৃষ্ঠা-ঘ, উদ্ধৃতি : শান্তনু কায়সার, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-১৮) আরও জানা যায়, মৃত্যুর কয়েক মাস আগে এক সন্ধ্যার ঘটনা : পালঙ্কে হেলান দিয়ে পার্ক সার্কাসের ময়দানের দিকে তাকিয়ে আছেন। আশরাফ চৌধুরী বাইরে থেকে ঘরে ফিরে রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী’র সামনে এসে হাত পেতে ‘নয়া বাংলা’ নামে একটি পত্রিকার জন্য লেখা চাইলেন। তৎক্ষণাৎ লিখলেন কবিতা-‘মরণ সাগর কূলে বসে-’

সামাজিক কর্মেও সাড়া দিতেন রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী। সমস্ত দিনের শেষে বই, পত্র-পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছিল নিয়মিত। তবে দুঃখের বিষয়, রাজিয়া খাতুনের গদ্যরচনার বেশিরভাগ হারিয়ে গেছে। পত্র-পত্রিকার পাতা থেকে সব উদ্ধার করা যায়নি। যতটুকু পাওয়া গেছে, ছোটগল্প, প্রবন্ধ রচনার সংখ্যাও কম নয়। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছোটগল্পের না, যেমন-ঈদের চাঁদ, এ মরু কারবালার, প্রেম ও পুষ্প ও রূপহীনা। তার বিখ্যাত প্রবন্ধের নাম : নারীর কথা, ইসলামে নারীর স্থান, মায়ের শিক্ষা প্রভৃতি। কলকাতার বিখ্যাত পত্রিকা ‘ভারতবর্ষ’, ‘বিচিত্রা’, ‘সওগাত’-এ তিনি নিয়মিত লিখেছেন। আশরাফউদ্দিন চৌধুরীকে লেখা চিঠিতে বিভিন্ন লেখকদের রচনা সম্পর্কিত সাহিত্যিক মন্তব্য থেকে অনুমান করা যায়, সৃজনশীল রচনা ও চর্চা উভয় ক্ষেত্রে কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী’র আমৃত্যু সমান আগ্রহ ছিল।

এটা অনস্বীকার্য যে, অধিকাংশ সময় আশরাফউদ্দিন চৌধুরী জেলে অন্তরীণ থাকা এবং রাজনৈতিক ব্যস্ততার জন্য রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী’র বিবাহিত জীবন, একইসঙ্গে লেখক জীবন ছিল নিঃসঙ্গতার, একাকিত্বের ও বিষণ্নতার। সাতাশ বছরের জীবনে ষোল বছর বয়স থেকে যখন তিনি তরুণী বধূ, তখন থেকে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। ১৯৩৩-এ স্বামীকে লেখা চিঠিতে ‘মানুষের অরণ্যেও গৃহ হয়, আবার গৃহেও অরণ্য হয়’ এই কথা যখন লিখেন, তখন কবির একাকিত্বের জীবনের নিঃসঙ্গ বেদনা টের পাওয়া যায়। এর এক বছর পরে ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শবেবরাতের রাতে তিনি পরলোক গমন করেন।

তথ্যসূত্র : রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী : শান্তনু কায়সার : জীবনী গ্রন্থমালা : বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৯৯

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম