Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

একটি বিয়ের গল্প

Icon

সোমা দেব

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মৌরি অফিসে ঢুকতেই চাপা গুঞ্জনটা বন্ধ হয়ে গেল। কাচের দরজা ঠেলে মৌরিকে আসতে দেখে সবাই যার যার ডেস্কে চলে গেল। কম্পিউটারে সবার মনোযোগ দিয়ে কাজ করা দেখে কেউ ভাববেই না, এতক্ষণ একটা ফিসফাস আর চাপা হাসির রোল ছিল এখানে। মৌরি কাউকে কিছু না বলে নিজের ডেস্কে বসে একবার চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিল। সবাই যার যার ডেস্কে কাজ করছে। হঠাৎ ইসরাত আপার ডেস্কে নজর গেল মৌরির। ওনার ডেস্কটা ফাঁকা, এখনো আসেননি তিনি।

ইসরাত আপা অফিসে আসেন পুরান ঢাকার আর্মানিটোলা থেকে। মাঝে মধ্যেই ট্রাফিক জ্যামে আটকে অনেক দেরি হয়ে যায় আসতে। মৌরি অফিসের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বলেছিল ইসরাত আপাকে। কিন্তু ইসরাত আপা তার পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে আসবেন না। ইসরাত আপার বড় দুই ভাই দেশের বাইরে থাকেন। এখানে একা ইসরাত আপা বাড়ি আগলে বসে আছেন। তাদের বাবা-মা গত হয়েছেন অনেক আগেই। ইসরাত আপা দোতলা বাড়ির নিচতলা ভাড়া দিয়েছেন। আর দোতলায় তিনি একাই থাকেন, বিয়ে করেননি। এ অফিসে শুধু মৌরির সঙ্গেই ইসরাত আপার খুব ভাব। মৌরিরও খুব ভালো লাগে ইসরাত আপাকে। কেমন একটা মা-মা ভাব আছে ওনার মধ্যে।

ভাবনার ঠিক এ সময়ই অফিস সহকারী এসে জানাল, মৌরিকে বস তার রুমে ডাকছেন। তড়িঘড়ি করে বসের রুমে গেল মৌরি।

‘কী মৌরি, বিয়ে খেয়ে এলেন?’

বসের রুমে ঢোকামাত্র এমন প্রশ্নে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় মৌরি। কার বিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বস বললেন,

‘আপনার সঙ্গে এত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আর আপনি জানেন না, কার বিয়ে?’

এবার সত্যি মৌরি ঘাবড়ে যায়। কার বিয়ে, কোথায় বিয়ে, কিছুই বুঝতে পারছে না। বস বলতেই থাকলেন,

‘আপনার ইসরাত আপা আপনাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছেন এটা আপনি জানেন না বলতে চাইছেন?’

এবার মৌরি আকাশ থেকে পড়ল। সত্যি কি ইসরাত আপা বিয়ে করেছেন?

বস মৌরির কাছে কোনো উত্তর না পেয়ে আর কথা বাড়ালেন না। বসের সঙ্গে কাজের কথা বলতে বলতে মৌরির মনে হলো, ইসরাত আপা আজ অফিস আসেননি। তবে কি সত্যি বিয়ে করেছেন? এজন্যই অফিসে আসেননি? কাজ শেষে বসের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের ডেস্কে গিয়ে ইসরাত আপাকে ফোন করে ফোন বন্ধ পেল। লাঞ্চ আওয়ারে ক্যান্টিনে আজ একাই খেতে বসল মৌরি। খেতে খেতেই শুনল, সবার সামনে ইয়াসমিন আপা জোরে জোরে লিমা আপাকে বলছেন,

‘কী আপা, খবর শুনেছেন নাকি? ইসরাত আপার তো বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে। তেপান্ন বছর বয়সে কোন বুড়োর গলায় মালা দিয়েছে শুনলাম!’

লিমা আপাও বলতে লাগলেন,

‘তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে, এটা একটা কাজ করেছে ইসরাত আপা? এসব মেয়ের জন্যই সব মেয়ের বদনাম হয়। এদেরই দুশ্চরিত্রা বলে। কার সংসার ভেঙেছে কে জানে! এরা কোনোদিন সুখী হয় না।’

মৌরির খাওয়ার সময়ই এসব কথা কানে আসছিল। ইসরাত আপা আর মৌরি ক্যান্টিনে একসঙ্গে লাঞ্চ করে, নানারকম গল্প করে। কিন্তু ইসরাত আপাতো কখনো বিয়েসংক্রান্ত কোনো কথা বলেননি। এসময়েই অফিস কলিগ রাহাত মৌরির সামনে এসে বললেন,

‘কী মৌরি আপা, আপনার বন্ধু ইসরাত আপা কি সত্যি বিয়ে করেছেন নাকি?’

মৌরি কোনো কথার উত্তর না দিয়ে দ্রুত খাওয়া শেষ করে। সবার বাঁকা মন্তব্য শুনতে ভালো লাগছিল না মৌরির। আজকেই একবার ইসরাত আপার সঙ্গে দেখা করতে হবে। অফিসে সারাদিন নানাভাবে অনেককেই ইসরাত আপাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে দেখেছে ও। অথচ ইসরাত আপার বাবা-মা নেই বলে, ইসরাত আপার বিয়ে হয়নি বলে সামনে এরা কতই না সহানুভূতি দেখায়! অফিস থেকে বের হওয়ার সময়ও লিফটের জন্য দাঁড়িয়ে অফিসের দুই সহকর্মীকে মৌরি বলতে শুনল,

‘দেখেন গিয়ে, কয় বাচ্চার বাপকে ভাগিয়ে বিয়ে করেছে ইসরাত আপা। সম্পত্তির লোভ দেখিয়েছে হয়তো। নাহলে ওই বুড়িকে কে বিয়ে করবে?’ লিফট চলে আসতেই মৌরি নিচে নেমে এলো। তারপর একটু ভেবে পুরান ঢাকার আর্মানিটোলার উদ্দেশ্যে ট্যাক্সি নিল।

দরজা খুলে দিলেন ইসরাত আপাই। মৌরিকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন আপা। তারপর ‘মৌরি, তুই!’ বলে ভেতরে বসালেন ওকে।

‘তুমি কী, বলত ইসরাত আপা? সত্যিটা কী, বলত? এদিকে অফিসে সবাই কত কী যে বলাবলি করছে!’ মৌরি খুব উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে।

ইসরাত আপা ঠিক ততটাই শান্তভাবে বললেন,

‘চা খাবি তো মৌরি? চল, চা খেতে খেতে কথা বলি।’

বলে দু’কাপ চা আর বাখরখানি নিয়ে এলেন ইসরাত আপা।

ইসরাত আপা মৌরিকে বললেন,

‘মৌরি, অফিসে কে কী বলছে আমি জানি না। তোকে আমি দুটো বিষয় জানাই। হ্যাঁ, আমি বিয়ে করেছি। কিন্তু কেন, কীভাবে করেছি এ উত্তরটা তোকে আমি দেব, আর কাউকে নয়।’

মৌরি বলে উঠল,

‘আমাকে একবার তো বলবে!’

ইসরাত আপা বললেন,

‘তোকে তো বলতামই। সবকিছু এত হুট করে হয়ে গেল!’

এটুকু বলে ইসরাত আপা চায়ে চুমুক দিলেন। এরপর বলতে শুরু করলেন,

‘তোর মনে আছে মৌরি, আমাকে একবার প্রায় ছয় মাস আগে অফিসের কাজে সিলেটে পাঠানো হয়েছিল। পাঁচ দিনের ট্যুর শেষে আমি দুপুরের ট্রেনে ঢাকা ফিরছিলাম। আমার পাশেই বসেছিলেন একজন ভদ্রলোক। এক স্টেশন পার হওয়ার পর ওনার সঙ্গে টুকটাক কথা বলা শুরু করি। কথায় কথায় জানতে পারি, উনি এখানে একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। বয়সে আমার চেয়ে তিন বছরের বড় হবেন। ট্রেনটা অনেক জায়গায় থামছিল। আমি আর উনি মাঝে মধ্যেই নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। মাঝে মধ্যে চা-কফিও খাচ্ছিলাম। ট্রেন রাত দশটা কী এগারোটার মধ্যে ঢাকা পৌঁছানোর কথা। কিন্তু লেট করতে করতে রাত তিনটায় কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাল। শীতের সময় এত রাতে স্টেশনে নেমে কী করব বুঝতে পারলাম না। ভাবলাম, রাতটুকু স্টেশনের ওয়েটিং রুমে কাটিয়ে সকাল হলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হব। আমাকে ইতস্তত করতে দেখে আমার পাশের সেই ভদ্রলোক আমাকে খুব বিনয়ের সঙ্গে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আমি তাকে না বলে দেই। আমার না শুনে ভদ্রলোক চলে যাচ্ছিলেন। কেন জানিনা আমি এ ভদ্রলোককে আবার পেছন থেকে ডাকলাম। ভাবলাম, সারারাত একা স্টেশনে বসে থাকাটাও নিরাপদ নয়। আর আমি এত বয়স্ক মানুষ, ওনার সঙ্গে কথা বলেও আমার খারাপ কিছু মনে হয়নি। আমি আর কিছু না ভেবে অত রাতে ওনার গাড়িতে চড়েই বাড়ি ফিরি। উনি আমাকে সাবধানে বাড়ি পৌঁছিয়েও দেন। ট্রেনে আমরা এত কথা বললেও গাড়িতে উনি কিন্তু একটা কথাও বললেন না। পরে ওনার কথা আমি বেমালুম ভুলে গেছি।’

মৌরি মাঝখানে বলে উঠল,

‘এই ভদ্রলোককেই কি তুমি বিয়ে করেছো?’

ইসরাত আপা হেসে বলেন,

‘আগে সবটা শুনবি তো! এর এক মাস পর আমি আমার বান্ধবীর মেয়ের বাচ্চা দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। বাচ্চা দেখে ফিরতেই সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার দেখা, ট্রেনের সেই ভদ্রলোক। জিজ্ঞেস করতেই উনি জানালেন, উনার মা ভীষণ অসুস্থ। এখানে পাঁচ দিন ধরে ভর্তি আছেন। তখনই মনে পড়ল উনি বলেছিলেন, নিজে ঢাকায় চাকরি করলেও ওনার মা সিলেটে থাকেন। বাড়িঘর ছেড়ে ঢাকায় আসতে চান না। সেই মা অসুস্থ শুনে আমার খারাপ লাগল। আমি নিজেই উনার মাকে দেখতে গেলাম। কেবিনে গিয়ে দেখি খুব ফর্সা, রোগা, তবে সৌম্যদীপ্ত চেহারার একজন মানুষ শুয়ে আছেন। আমার নিজের মা নেই, তাই একজন মাকে ওই অবস্থায় দেখে আমার খুব মায়া হলো। আমি বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালে থাকলাম, ওনার মায়ের পাশে। এরপর আমি প্রতিনিয়ত ওনার মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি।’

মৌরি বলল,

‘নাম কি ভদ্রলোকের?’

ইসরাত আপা বললেন,

‘শাহরিয়ার আদনান। ওনার মা সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিনও আমি তার সঙ্গে গিয়ে মাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি। আমি তার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি, উনি মাকে খুব ভালোবাসেন।’

মৌরি বলল,

‘উনি কি অবিবাহিত ছিলেন?’

ইসরাত আপা বললেন,

‘না, উনি বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের সাত বছর পর ডিভোর্স হয়। একটা মেয়ে ছিল। সেই মেয়েকেও ওনার আগের স্ত্রী নিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ওখানেই নতুন সংসার পেতেছেন। আমি এ কথাগুলো হাসপাতালে যখন যেতাম, তখনই শুনেছি। মায়ের অসুস্থতায় ওনার মন তখন খুব দুর্বল ছিল, যেন কিছু একটা আঁকড়ে ধরতে চাইছেন, আমি বুঝতে পারতাম। তাই উনি নানা কথা বলতেন আমার সঙ্গে, যেন আমি কত দিনের চেনা, এভাবে কথা বলতেন। তখন অফিসের পর আমি নিয়ত হাসপাতালে গিয়েছি। আমারও খুব একটা খারাপ লাগত না।’

একটু দম নিয়ে ইসরাত আপা আবার বললেন,

‘শাহরিয়ারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, আমি যেন অনেক দিন পর একটা বন্ধু পেয়েছি। আমার যাকে প্রয়োজন এমন নয়, আমাকে যার প্রয়োজন এমন বন্ধু। যে আমাকে ভরসা করে অনেক কথা বলতে পারে, প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে পারে, মন খুলে গল্প করতে পারে। যখন ওনার মা সুস্থ হয়ে গেলেন, এরপর আর শাহরিয়ারের সঙ্গে নিয়ত দেখা হয়নি। তবে ফোনে যোগাযোগ ছিল। সবাই জানে আমি বিয়ে করিনি। কিন্তু কেন করিনি সেটা কেউ জানে না। আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে, আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। আকদের দিন আর্মানিটোলার এ বাড়িটি লাল-নীল আলোয় সাজানো হয়েছিল। দাওয়াতি লোকজন ব্যাচের পর ব্যাচ খেয়ে যাচ্ছিল। আমাকে বউ সাজানো হয়েছিল। বাড়ির লোকজন অপেক্ষা করছিল, এই বুঝি বরযাত্রী এলো! কিন্তু বরযাত্রী এলো না, বর এলো না, কেউ এলো না। কী হয়েছে কেউ কিছু বলতে পারল না। শুধু অনেক রাতে ওরা খবর পাঠাল, এই বিয়ে ওরা করাবে না। এ খবর শুনে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, আমাকে ফেলে সবাই ছুটে গেল। আর আমি মেহেদী হাতে বউ সেজে ঘরের কোণে অনেক রাত পর্যন্ত বসে রইলাম।’

মৌরি দেখল, ইসরাত আপার চোখ ছলছল করছে। আপা কিছুক্ষণ থামলেন, পানি খেলেন। তারপর আবার শুরু করলেন,

‘আমি তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এ জীবনে বিয়ে করব না। কিন্তু দেখ, এই বয়সে একজনকে আমার ভালো লাগল। আমি কখনো শাহরিয়ারকে জিজ্ঞেস করিনি, তার কেন ডিভোর্স হলো, কেন আর বিয়ে করেনি। আমি বর্তমানকে নিয়ে বেঁচে থাকতে ভালোবাসি। তাই আর তার অতীত ঘাঁটিনি। আমার সঙ্গে তার বর্তমানের ভালোলাগার সম্পর্কটাই তো মুখ্য, তাই না?’

ইসরাত আপা বলতে থাকেন,

‘গত দু’মাস আগে শাহরিয়ারের মা হঠাৎ মারা যান। মাকে হারিয়ে তিনি খুব ভেঙে পড়েছেন। আমাকে ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করছিলেন। জানিস মৌরি, কী ভীষণ আঁকড়ে ধরেছেন তিনি আমাকে! কী নির্ভরতার জায়গা তৈরি করেছেন আমাকে ঘিরে! তুই বলতে পারিস, এত কম সময়ে কী করে এসব তৈরি হয়? আমার কী মনে হয় জানিস, বোঝাপড়া থাকলে খুব কম সময়েও সেটা হতে পারে, আর না থাকলে সারাজীবন একসঙ্গে থেকেও হয় না। আমি ভেবেছিলাম, সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করব। কিন্তু শাহরিয়ারের নির্ভরতার মাত্রা এত বেশি, আমিও ভাবলাম, সেটাকে পরিপূর্ণতা দেওয়াই দরকার। তবে সবাইকে আমি একদিন দাওয়াত করে খাওয়াব।’ বলেই মিষ্টি করে হাসলেন। কী যে সুন্দর লাগল ইসরাত আপাকে!

আপা বললেন,

‘গতকালই শাহরিয়ার আর আমি বিয়ে করেছি। আজ সকালে বসকে ফোনে জানিয়েছি, এরপর অনেক ফোন আসবে জানি তাই ফোনটা অফ করে রেখেছি। তুই না এলে হয়তো বিকালেই তোকে জানাতাম।’

এসময়ই কলিং বেলের আওয়াজ পাওয়া গেল। দরজা খুলতেই একজন ভীষণ স্মার্ট ভদ্রলোক ঢুকলেন। ইনিই তাহলে শাহরিয়ার ভাই! ইসরাত আপা শাহরিয়ারকে পরিচয় করিয়ে দিলেন মৌরির সঙ্গে। শাহরিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে মৌরির খুব ভালো লাগল। সত্যিই তো, জীবনের যে পর্যায়ে গিয়ে যাকে নিজের জন্য উপযুক্ত মনে হবে তাকেই বিয়ে করা উচিত। এখানে বয়স, লোকলজ্জা, লোকের কথা খুবই তুচ্ছ ব্যাপার।

আজকে ইসরাত আপা তার বিয়ে উপলক্ষ্যে বিশাল একটা রেস্টুরেন্টে পার্টি দিয়েছেন। অফিসের সবাই এসেছেন। ইসরাত আপা আর শাহরিয়ার ভাইকে যে কী সুন্দর লাগছে! মৌরি দেখল, যারা ইসরাত আপাকে নিয়ে নানা কথা বলছিলেন, বানিয়ে বানিয়ে কুৎসা করছিলেন আড়ালে, তারাই অভিনন্দন আর প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন ইসরাত আপাকে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম