|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নিজেকে ব্যবচ্ছেদ করলে একটি গ্রন্থের সন্ধান পাই
সমস্ত অধ্যায়ে তার বিশ্ব-ভূগোলের
পূর্ব এবং উত্তরকাল, স্বকালও অঙ্কিত আছে তার
চিরায়ত হরফের অন্তর্ভাঁজে: প্রতিটি পরিচ্ছেদে
শ্বেত কৃষ্ণ তামাটে এবং বাদামি গাত্রের প্রচ্ছদ আছে
ভেতরে খোদিত আছে অকৃত্রিম আদিত্যের বহমান কায়া।
প্রকৃতির নিশ্বাসে যখন কানপেতে রাখি
শাশ্বত শরণে অনুভব করি তার উষ্ণ ধমনীর স্বর
তখনও এ গ্রন্থের পাতায় পাতায় দেখি
সবখানে জেগে আছে অখণ্ড ঈশ্বর।
অবারিত পৃথিবীর সকল বদনে এ গ্রন্থের
অক্ষর ভাসে, নিরন্ত অধিত হয়
বহু-নামে বিদিত এক ধূসর ছায়া
একটি একক ছায়া মানুষের মায়া হয়ে
মানুষের মাঝেই ঘুমায়।
অতঃপর জেনে যাই আমি
নিসর্গ আমার দমের সরোদ, সত্তার ভেতর
চলে ব্রহ্মাণ্ডের বাস: ছায়াও নির্মাণ করে তার
চারণের ঘর, নিজের আদলে রাঙ্গে আমার আকাশ।
