কবিতা
পলাশতলীর কবিতা
কামরুল আলম সিদ্দিকী
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মন গিয়েছে মনের বাড়ি কাঁদছে যখন ঊষে,
দিল পেয়েছি দিলের ভেতর মন পুড়িয়ে তুষে।
টিনের চালে ঝরছে শিশির তিরিশ বছর আগের,
টের পেয়েছি কান্না তোমার আমার ঘরের চালের।
একটু ধরো জ্বালাই কুপি বৌচি বেলা দেখি,
বৌচি তোমার হাঁস খেয়েছে, আজ শরমের মেকি!
মুখটা তোল চোখটা দেখি কোন তারকা নাচে,
কোন জালুয়া জাল ফেলেছে আমার গাঙ্গের মাছে!
একটু বসে খুলে বলো কীসের তোমার আছর-
পুতুল বেলার সাপলুডুতে কেমনে খেলে কামড়!
এই দেখোনা কাঁপছে পিদিম তোমার দীর্ঘশ্বাসে!
এই দেখোনা উতলালো শীষ শীতের ঠান্ডা মাসে!
একটু বলো ঠিক আছো তো? রোগটা গেছে আগের?
নাকি আজও ডাক্তার বলেন পাইনি কিছুই নাশের!
একটু বলো নস্টালজিয়া ভোগায় নাকি স্নায়ু?
নাকি আজও ডাক্তার বলেন বদলে আসুন বায়ু!
একটু থাকো চোখের পাশে বৌচি বেলা দেখি-
ওটার নিচে কীসের কালি? টিকটিকিটার রেকি?
বলতে বলতে শীতের বাতাস খিরকি খিলান খুলে
ঠান্ডা হাতে নিবিয়ে দিলো পিদিম তোমার ভুলে।
বললে তুমি রাত হয়েছে-‘এবার আমি যাই গো,’
বনের ভেতর হুতুম পাখি ডাক তুলেছে তাই গো!
খিরকি দিয়ে চাঁদ দেখা যায় পলাশতলীর মাথায়,
চাঁদের নিচে ঘুমিয়ে আছো কাব্যতোলা কাঁথায়।
শীত পরেনি আগের মতন বইছে নতুন বায়ু,
ফুটছে গোলাপ ঝরছে শিউল ডাকছে পিছে আয়ু!
