|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গতায়ু শীতে নগরের অনিবার্য কোলাহল যখন অসহ্য হয়ে ওঠে, যখন শহুরে কোকিলের কণ্ঠে ফাগুনের আগমনী ঘোষিত হয়, ইতোমধ্যে যখন তৃতীয় বিষাক্ত বায়ুতাড়িত শহরে ফুসফুস বিদ্রোহী হয়, তখন খোঁজ শুরু কোথায় একটু শুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়া যায়। আশা যদি সেখানে পাওয়া যায় একটু থির জলের ছোঁয়া, শোনা যায় জঙ্গলে পাতা ঝরার গান এবং পড়া যায় প্রকৃতির খাতায় লেখা অনবদ্য কাব্য-জল ও জঙ্গলের কাব্য।
এক সকালে যাত্রা। পথের ঝক্কি খুব বেশি বিড়ম্বনায় ফেলেনি, সময়েই পৌঁছানো গেল গন্তব্যে। তখনো বাতাসে ভোরের অপস্রিয়মাণ হিম ঝুলে আছে, গায়ের রোমে মোলায়েম পরশ বুলাল বসন্ত বাতাস। তদারকিতে নিয়োজিত একজন স্বাগত জানালেন, হেঁটে হেঁটে দেখালেন বিশাল এলাকাজুড়ে মায়াময় বৃক্ষরাজি, আধা শুকনো পুষ্করিণী, সীমানার বাইরে একটি খাল-ভোরের আলোয় শান্ত, সমাহিত, নিশ্চুপ, তাতে দুটো লগি ঠেলা নৌকা। কথায় কথায় জানালেন কেন এ চমৎকার জায়গাটির প্রবেশপথে কোনো আমন্ত্রণ বাণী বা সাইনবোর্ড নেই। গাঁও-গেরামে তো স্বজনরা আমন্ত্রিত হয়ে আসে না, আসে যখনই প্রাণ টানে। আর বাড়ি তো চেনাই, সাইনবোর্ডের কী প্রয়োজন?
পুরো এলাকাটি যেন বিশাল এক আঙ্গিনা-গুচ্ছে গুচ্ছে সাজানো আম, কাঁঠালের থোপ, কোথাও বাঁশ ঝাড়; সবগুলোর গোড়া পরিপাটি করে মাটি দিয়ে নিকোনো। গোটা আটেক ছনের ছাওয়া, বেড়ায় ঘেরা, মাটির ভিটায় দাঁড়ানো ঘর। ভেতরে রুচিসম্মত বিছানা পাতা, সোফা ও চেয়ার এবং মাঝারি টেবিল। বোঝা গেল উদরপূর্তির পর গা এলানো বা রাত কাটানোর ব্যবস্থা। এ ঘরগুলোর সঙ্গেই উঠোনের মতো চারদিক খোলা জায়গায় ১০-১২ জনের খাবার টেবিল পাতা। বেশ অনেকটা এলাকা, ঘুরে ফিরে দেখার রসদ হিসাবে একটি চালাঘরে দেখা গেল চা কফির ব্যবস্থা-যতবার খুশি। গরুর দুধের চা মিলল, কি যে স্বাদ!
নাস্তায় এলো চিতই পিঠা, খেজুরের ঝোলা গুড়, রুটি, পরোটা, মুরগির কষা মাংস, সবজি, ডাল, ডিম ভাজা এবং চা বা কফি। এ পর্ব শেষ হতে একটু দেরি হওয়ায় ধরে নিলাম দুপুরের খাবারও বেলা হেলে পড়লেই মিলবে। তাতে মোটেও আপত্তি নেই। পরিপাকের সময় তো দরকার। তাই জঙ্গলের ধার দিয়ে হাঁটা পথ ধরলাম। বাঁশ ঝাড় পেরিয়ে বড় পুকুর, পৌষেই পানি শুকিয়ে অর্ধেক, আর তাতেই মাছেদের হুটোপুটি বেশ দৃশ্যমান। পরে জেনেছি ওগুলোই দুপুরের খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত হয়েছে-তাজা মাছে তৃপ্ত হলো রসনা।
পুকুরের চার ধার অনেক রকমের গাছ-গাছালিতে ভরা, ছবি তোলার ভালো সুযোগ, সদ্ব্যবহার করতে ভুল হয়নি। এক পাড়ে দেখা গেল বেশ পুরোনো একটা মাটির মাচা ঘর, সঙ্গে লাগানো বারান্দা, ভেতরে তক্তপোষের ওপর ঢালা বিছানা। এ ঘরটির ওপর ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে আছে এক অতিকায় বটবৃক্ষ। তার ডালে ডালে ঝুরি, মাটি অবধি নেমেছে। গাছটির প্রাচীনত্ব অনুমেয়, পরে জানা গেল এ মাচা ঘরে শুয়ে বসে জীবনের গূঢ় রহস্যের সমাধান খোঁজা ছিল উদ্দেশ্য, তাই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ভাবনা চিন্তার ঘর’। চক্কর কেটে শেষে একটা মাঠের দেখা পেলাম। দুদিকে পোঁতা ফুটবলের গোলপোস্ট, মাঠের একেবারে শেষ মাথায় একটা বেশ উঁচু ঢিবি, সেখানে একটি কাঠের বেঞ্চি, তার ওপর ছাতার মতো ছায়া দিচ্ছে এক নাম না জানা গাছ। খুব সুন্দর পরিকল্পনা, ঘুরে ফিরে শ্রান্ত হয়ে এখানে গা এলিয়ে বসলে মিলমিলে হাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যাবে, তিরোহিত হবে তাবৎ জাগতিক ক্লেশ। আর চারদিকে শস্যহীন ক্ষেতের নিঃস্বতাকে ধারণ করে পরজগতের অনিবার্যতার খানিক স্বাদও পাওয়া যাবে।
আমাদের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার একটা ঘর নির্ধারিত ছিল। সেখানে পৌঁছে জানা গেল এ অদ্ভুত সুন্দর স্থানে এমন পরিকল্পিত বিনোদনের ধারণা যিনি বাস্তবায়ন করেছেন তিনি এসে দেখা না পেয়ে চলে গেছেন। চমৎকৃত হয়ে জিজ্ঞেস করে জানলাম তিনি প্রায়শই এখানে থাকেন। তারও একটা ডেরা আছে। সেদিকে এগোতেই দেখা হলো, আলাপচারিতায় বসলাম। জানা গেল আকাশযানের কাণ্ডারি ছিলেন, নীলাকাশে মেঘমালা ছুঁয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাপুষ্ট, এক রোমাঞ্চকর পেশার বহুদেশদর্শী মানুষ। অবসরে যাওয়ার আগে এ রকম ভাবনা তাকে পেয়ে বসে-শহরের অদূরে মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে পরিবার ও কাছের মানুষের জন্য সময় কাটানোর ব্যবস্থা করা যায় কিনা। জায়গা খুঁজে পেলেন, কাজ শুরু করলেন ধীরে ধীরে। আশ্চর্যের বিষয় এমন কাজে তিনি সঙ্গে পেলেন তরুণ, মেধাবী এক স্থপতিকে। বিপুল উদ্দীপনায় কাজে লাগল সে-ছক করে ফেলল কোথায় কী হবে, কীভাবে এবং কী মাল-মসলা বা সামগ্রীর ব্যবহার হবে। শুধু তাই নয়, এক অভিনব পদ্ধতিতে সে তার কাজ এগিয়ে নিল-তাদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করল যাদের বহুদিন ধরে এখানেই বাস, পরিকল্পনা মাফিক যারা এ উদ্যোগের মূল কারিগর হবে, সেবা দেবে, পরিচর্যা করবে। এতে তাদের মাঝে শুরু থেকেই এ স্থাপনার সঙ্গে যে সংযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাব দেখা গেল আমাদের দিনভর অবস্থানকালে তাদের প্রত্যেকের উষ্ণ, অতিথিপরায়ণ ব্যবহারে, যে যার কাজ আমোদ, নিষ্ঠা ও উৎসাহের সঙ্গে করছে।
দুপুরের খাবারের আয়োজনে চমক ছিল অন্যতর-সেটা পদের বিশাল এক সংখ্যায়, তাজা ফল, সবজি, মাছ-মাংস, মসলার নিপুণ ব্যবহারে প্রস্তুত ১০-১২ রকম দেশি পদের সমাহার। মোটা চালের ভাত, পোলাও, মুরগির রোস্ট, ছোট আলু ও ফুলকপি দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি বড়ই ও আনারসের অম্বল টমেটোর টক, মুগ ডালে মাছ, শিম ভাজি, চিংড়ি পালং শাকের ঝোল, লাউ শাকের চচ্চড়ি, দেশি রুই মাছ ভাজি, শুঁটকি। আর টাকি মাছ, বেগুন ও আলুর ভর্তাসহ আরও কয়েক রকমের সুস্বাদু ভর্তা। যেমন তার দেখন, তেমন তার চাখন, স্বাদে মিশে আছে শৈশব থেকে ভেসে আসা মাটির সোঁদা গন্ধ। বিকাল গড়ালে পরিবেশন করা হলো মাঘ শেষের ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা। তাতেও সেই হারানো সুঘ্রাণ।
আঙিনার প্রায় মধ্যখানে এক বড় পাকুর গাছের গোড়ায় কাঠের স্টেজ। সেখানে তিন-চারজন গ্রামীণ গায়েন ও বাদক উপবিষ্ট। গেয়ে চলেছে কখনো মুর্শিদী, কখনো বাউলগান-দোতরা, ঢোলক ও খঞ্জনীর বাজনায় মেঠো সুরের মূর্ছনা-প্রকৃতির সঙ্গে সৃষ্টি করছে এক যথার্থ সংগত। সূর্য হেলে পড়ল, মন-প্রাণ পরিতৃপ্ত, ফেরার সময় হলো। কোনো এক সুযোগে আবার আসার ক্ষীণ আশা নিয়ে পেছনে রেখে এলাম জল ও জঙ্গলের কাব্য।
এখানেই এ আখ্যান শেষ হতে পারত, তাতে খারাপ লাগত না মোটেই। কিন্তু গাজিপুর-পুবাইল সড়কসংলগ্ন এমন শ্রান্তি মোচনের ও বিনোদনের স্থানের একটি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী, যুগোপযোগী দিক অনুন্মোচিত থাকত। ওপরের বর্ণনা থেকে বোঝা যায় শুরু থেকেই নিসর্গ বন্দনার একটা মৌলিক অভিপ্রায় রয়েছে এ স্থাপনাটি গড়ে তোলার পেছনে। মূলত এর উদ্দেশ্য শহুরে মানুষের জন্য এমন একটি বিশ্রাম ও বিনোদনের স্থান গড়ে তোলা যেখানে গ্রামীণ জীবনধারার উপকরণগুলো প্রকৃতির সঙ্গে মিলে অভিনব আকর্ষণের সৃষ্টি করবে। জানা যায় এর নির্মাণে স্থানীয় কারিগর স্থানীয় সামগ্রী ব্যবহার করেছে। আর স্থাপত্য পরিকল্পনার এবং নির্মাণশৈলীর দায়িত্বে ছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন স্থপতিরা।
বর্তমানে মানুষ ও তার প্রতিবেশ বেশ গুরুত্ববাহী বিষয় এবং তার সঙ্গে জীবজগতে প্রকট নৃকেন্দ্রিকতার সম্পর্ক কি তা বোঝা জরুরি। মানুষের মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতাকে ধ্রুব মেনে মানুষ ছাড়া আর সব প্রজাতিকে কোনো নৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনার সুযোগ আছে কি? এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মানুষের কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে বিনাশী প্রভাব এ ধারণায় যে প্রাণিজগতে কোন প্রজাতির নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, যদি না তারা মানবের কোনো কাজে লাগে। এর ফলেই যে জীববৈচিত্র্যের বর্তমান সংকট তা বেশ স্পষ্ট। প্রশ্ন ওঠে, জীব জগতের কেন্দ্রে মানুষের অবস্থানের কারণে তার কৃতকর্মের নৈতিক মূল্য কি এবং তার পরিণামের দায়ভার কার? মানবসৃষ্ট মানদণ্ডেও তার সুদূরপ্রসারী পরিণাম মানুষের জন্য কোনো ভালো কিছু যে বয়ে আনবে না তা প্রায় অনস্বীকার্য।
এ অভিনব কাজে স্থপতিকে কিছু মূল ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়েছে। যেমন জায়গাটির প্রাকৃতিক মৌলিকত্বকে প্রায় অপরিবর্তিত রাখা অর্থাৎ ‘প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো রাখা’-যাতে মানুষের কর্মকাণ্ডে তা বিনষ্ট বা বিঘ্নিত না হয়। আসলে ‘কর্মকাণ্ড’ বলতে ‘হস্তক্ষেপ’ বোঝানো হয়েছে এবং তা ন্যূনতম মাত্রায় ও পরিসরে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এখানে। অর্থাৎ কিছু করার চেয়ে না করে বাঞ্ছিত ফল পাওয়া গেলে সেটিই ভালো। যারা প্রকৃতির সন্তান তারা যেন তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠতে পারে সে সুযোগ রাখতে হবে। এ ‘স্থিতাবস্থা’র কোনো সরাসরি সুপ্রভাব স্পষ্ট দেখা না গেলেও এর সুফল নিশ্চিত এবং তা সুবিবেচনার নিরীখে শুধু গ্রহণযোগ্যই হবে না বরং উপভোগ্যও হবে। সার্বিকভাবে দেখলে এখানে পাওয়া যাবে এক নতুন ধরনের ও মাত্রার বিনোদন যা কাম্য এবং যা জীবজগতে ফিরিয়ে আনবে অতি প্রয়োজনীয় ভারসাম্য।
প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রকৃতির ধারণাগত অগ্রাধিকার নির্দ্বিধায় স্বীকার করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকৃতির অন্তর্নিহিত সত্য যে এখনো মনুষ্যের অগম্য তাও স্বীকার করে নিলে তা মানব ও প্রকৃতির জন্য শুভ সংকেত হবে। এ অবোধগম্যতায় রচিত হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তি যা জীবজগতের বিদ্যমান নৃকেন্দ্রিকতার প্রতিষেধকের কাজ করবে। তাই নিশ্চিত করতে হবে প্রকৃতির সব উপকরণ যেন নিজ নিজ বসতিতে সুরক্ষিত থাকে এবং সম্মানজনক দূরত্ব থেকে মানুষ তা উপভোগ করতে পারে।
একই সঙ্গে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের সুযোগও থাকবে এক বিশেষ মেলবন্ধনের মাধ্যমে। স্থাপত্য, কৃষি ও দৈনন্দিন কাজকর্মের (বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক) ধারা সমন্বিত হবে আহ্নিক ও বার্ষিক ঋতুচক্রের সঙ্গে। ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির বাস ও বসতির নিরাপত্তা যে স্থানীয়ভাবেই নিশ্চিত হবে এও মানতে হবে; যারা ওই এলাকার প্রকৃতি ও প্রতিবেশে বাস করেন তাদের ওপর থাকবে সেই দায়িত্ব। এ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের উপযোগিতার চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে এ সহাবস্থান-যার মূল বিবেচ্য প্রকৃতির টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা। এ ধারণা বিকাশ লাভ করবে মানুষের ক্রিয়াকলাপের ক্ষুদ্রতম পদচিহ্ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে, প্রযুক্তির ন্যূনতম ব্যবহার এর মাধ্যমে। এ এলাকায় একদার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত জংগল, জলাভূমি ও চাষযোগ্য খেতের প্রাকৃতিক মৌলিকত্ব নিষ্কলুষ রাখার প্রয়োজনীয়তা তাই স্পষ্ট। একইভাবে জীব-জন্তু, পাখ-পাখালি, বনরাজি (পরিশিষ্টে এ সবের একটি তালিকা দেওয়া হলো), জলা ও সর্পিল খালটির মূল ভূমিকা হবে জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ওই সহাবস্থান নিশ্চিত করা ও দৃষ্টিনন্দন, মনোগ্রাহী নিঃসর্গের উপাদান সৃষ্টি করা যা শাহরিক উন্নত জীবনযাপনের অন্তহীন চাপে নিষ্পেশিত মানুষ নিরন্তর খোঁজে। কিছু সীমাবদ্ধতার মাঝেও জল ও জংগলের কাব্যের পাতায় পাতায় সে কাজ সাফল্যের সঙ্গে করা হয়েছে বলেই মনে হলো।
পরিশিষ্ট (স্থানীয় গাছ-গাছালি, প্রাণী ও উদ্ভিদের তালিকা
শাল, বট, তেঁতুল, সাদা কড়ই, শিমুল, অশথ্ব, সর্পগন্ধা, হিজল, শাপলা, খুদিপানা, ছাদমালা, হেলেঞ্চা, কলমী, নলখাগড়া, বরুন, তেলাকুচা, ছন, বাঁশ, কচুরিপানা, পিটালি, পলাশ, মান্ডার, ভাট, শিয়ালকাঁটা, হাতিশুঁড়, আম, জাম, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, লাউ, কুমড়া, ধান, পাট, শিম, লালশাক, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, অর্জুন, আমলকী।
শিয়াল, চিল, সাপ, বনবিড়াল, বেজি, গুইসাপ, টুনটুনি, কোকিল, ফিঙ্গে, বাদুড়, বুলবুল, ব্যাঙ্গ, বানর, কই, শোল, পুঁটি, ট্যাংরা, টাকি, শিং, মাছরাঙ্গা, বক, শংখচিল, ঘুঘু, দোয়েল, কবুতর, মুরগি, গরু, ছাগল।
