Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

কালোত্তীর্ণ কবি শেখ সাদী

Icon

সালাহ্ উদ্দিন নাগরী

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ফারসি কবি শেখ সাদী রচিত বিশ্ব নবি (সা.)-এর প্রশংসা সূচক ‘বালাগাল উলাবি কামালিহি’ নাতটি কখনো শোনেননি এমন কোনো মুসলমান খুঁজে পাওয়া ভার। এ ছন্দটি তো ইসলামপ্রিয় মানুষের অন্তরে সব সময় গুনগুনিয়ে বাজতে থাকে। ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলামি জলসা বা মাহফিলগুলোতে এ নাতটি গীত না হলে অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় মাহফিলের পূর্ণতা আসে না। তার বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ ‘গুলিস্তাঁ’র একটি অংশে পাওয়া যায় এ কবিতাটি। তিনি এ একটি কবিতার মাধ্যমেই মুসলিম বিশ্বের লাখো কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। অনেক ভক্ত মনে করেন এটি তার সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা।

শেখ সাদী ইরানের খুব প্রাচীন নগরী সিরাজ এ জন্মগ্রহণ করেন এবং এ নগরী ১৩৩৪ সাল পর্যন্ত ইরানের রাজধানী ছিল। তার জন্ম ও মৃত্যু সাল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। এনসাইক্লোপোডিয়া ব্রিটানিকা মতে, তার জন্ম ও মৃত্যু যথাক্রমে ১২১৩ ও ১২৯১ সালে। তার পিতা আব্দুল্লাহ সিরাজী, সিরাজ নগরের শাসকের বিশ্বস্ত কর্মচারী ছিলেন। তার ছোটবেলায় পিতার মৃত্যুতে পরিবারে আর্থিক সংকট নেমে আসে। নগরের শাসক তার দায় দায়িত্ব নেন। তিনি সিরাজে লেখাপড়া শেষ করে সে সময়ের অন্যতম বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাগদাদের নিজামিয়াতে ভর্তি হন। এখানে কুরআন, হাদিস, দর্শন, ভাষাবিজ্ঞান, ইতিহাস, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।

লেখাপড়া সমাপ্তির তিনি মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, তুরস্ক, ভারত, রাশিয়াসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ ভ্রমণ করেন। জেরুজালেম সফরের সময় তিনি ক্রুসেডে শামিল হয়ে অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। তা ছাড়া তিনি সে সময় তেজোদীপ্ত বক্তৃতা দিয়ে ও কবিতা পাঠ করে মুজাহিদদের (যুদ্ধ) উদ্দীপ্ত করে তোলার কাজও করেছিলেন। শারীরিক সক্ষমতা থাকায়, তিনি হেঁটেই অনেক জায়গা ভ্রমণ করেছেন, তিনি অপার বিস্ময়ে মুসলিম সালতানাতের বিশালত্ব, মুসলিম সাম্রাজ্যের শৌর্যবীর্য, মুসলিম সাম্রাজ্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা প্রত্যক্ষ করেছেন, আর এসব ভ্রমণ তাকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন-আমি যেখানেই গিয়েছি, সেখান থেকেই কোনো না কোনো শিক্ষা লাভ করেছি এবং প্রতিটি শস্যস্তূপ থেকে শস্যদানা সংগ্রহ করেছি। দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে তার পাণ্ডিত্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বহু দেশের রাজা-বাদশা ও সুধি সমাজের তরফ থেকে দাওয়াত আসতে থাকে। তিনি সেগুলো সোৎসাহে গ্রহণও করতে থাকেন।

এখন পর্যন্ত শেখ সাদীর ২২টির মতো গ্রন্থের নাম জানা যায়, তবে তার মধ্যে ‘গুলিস্তাঁ’ ও ‘বুস্তাঁ’ তো তাকে অমর করে রেখেছে। বই দুটির কোন কোন ছন্দ, শ্লোক তো অনেকেরই মুখে মুখে এখনো উচ্চারিত হয়ে থাকে। ফারসি সাহিত্যিকদের মধ্যে শেখ সাদীর লেখাই প্রথম ইউরোপের কোনো ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। প্রখ্যাত ফরাসি অনুবাদক আন্দ্রে দু রিয়ার (১৫৮০-১৬৬০) প্রথম ফরাসি ভাষায় ১৬৩৪ সালে তার রচনা ‘গুলিস্তাঁ’র আংশিক অনুবাদ করেন। গুলিস্তাঁ অর্থ গোলাপ ফুলের বাগান। এখানে উল্লেখ্য, আন্দ্রে দু রিয়ার পবিত্র কুরআন শরিফও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন। ‘গুলিস্তাঁ’ পরবর্তীতে ইংরেজি, ডাচ, জার্মান, আরবি, উর্দু, তুর্কি, স্পানিশ ইত্যাদি বহু ভাষায় অনুবাদ হতে থাকে। গুলিস্তাঁ গ্রন্থটি সাহিত্য জগতের এক অবিস্মরণীয় অবদান। এতে কবিতা ও গল্পের সমাহার ঘটেছে।

তার খুব বিখ্যাত একটি লেখা আমরা প্রায় সবাই জানি- জুতা না থাকর কারণে কোন এক লোক খুব আক্ষেপ করতেন, তারপর একদিন যখন দেখেন যে আরেক লোকের দুপা-ই নেই, তখন তিনি বলেন, আমার প্রতি আল্লাহর দানশীলতার জন্য আমি শোকরিয়া আদায় করছি। হায়, আমারও তো কোনো অঙ্গ না থাকতে পারত। কিন্তু আল্লাহ আমাকে কত সুন্দর করে তৈরি করেছেন। গুলিস্তাঁ গ্রন্থের কবিতা ও গল্পের প্রত্যেকটিতেই মানুষের জন্য শিক্ষণীয় কিছু না কিছু বিষয় আছে। এ বইটি পাঠে মানুষ হিসাবে করণীয়, জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আর এভাবেই এ গ্রন্থটি সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে আদরণীয় হয়ে ওঠে।

‘গুলিস্তাঁ’র ‘বনি আদম’ কবিতাটি তো তাকে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে, তিনি হয়ে উঠেছেন মানবতার কবি। ফারসি ভাষায় রচিত কবিতাটির বাংলা অনুবাদ হলো- আদম সন্তানরা একে অন্যের অংশ/তাদেরকে একই উৎস থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে/যদি কখনো একটি অঙ্গে আঘাত লাগে/তখন অন্যান্য অঙ্গ শান্ত থাকতে পারে না/আপনি যদি অপরে দুঃখে সাড়া না দেন/তাহলে আপনি মানুষের নামের যোগ্য নন। এ কবিতাটি মহানবি হজরত মোহাম্মাদ (সা.)-এর একটি হাদিস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। আসলেই, কেউ যদি অন্যের দুর্ভোগে উদ্বিগ্ন না হয়, তবে তার নাম ‘মানুষ’ হতে পারে না। হাজার বছর আগে লিখিত কবিতাটি তো মানবাধিকারের জয়গানের অনন্য প্রকাশ।

ছোট বেলায় আমরা- ‘একদা স্নানের আগারে পশিয়া হেরিনু মাটির ঢেলা/হাতে লয়ে তারে শুঁকিয়া দেখিনু রয়েছে সুবাস মেলা-’ এই বিখ্যাত কবিতাটি প্রায় সবাই পড়েছি। কিন্তু তখন ওই কবির নাম ধাম বা তার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আসলে এটি শেখ সাদী রচিত ফারসি কবিতার বাংলা অনুবাদ। তিনি বলছেন, ভালো চরিত্রবান ও সজ্জন মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করলে নিজেকেও সেভাবে গড়ে তোলা যায়। শেখ সাদীর প্রকাশভঙ্গীতে মোহমায়া আছে। যা পাঠককে মোহিত করে। তিনি তার সাহিত্য কর্মের সর্বত্রই মানবতার জয়গান গেয়েছেন। গুলিস্তাঁ কাব্যগ্রন্থের একটি জায়গায় তিনি বলেছেন-সবল বাহু, আর শক্তিশালী হাতের পাঞ্জায় নিরীহ দুর্বলের হাত ভাঙা বড় অন্যায়।

তার অন্য জনপ্রিয় বইটি হলো ‘বুস্তাঁ’। তিনি বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল ভ্রমণ করে এটি রচনায় হাত দেন এবং শুরুতেই মহান আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন-হে আল্লাহ আমার প্রতি করুণা কর। তুমি ছাড়া আর কেউ নেই, যার কাছে আমার ফরিয়াদ পৌঁছবে। তুমি পাপ থেকে আমাদের রক্ষা কর। চরম আল্লাহ ভক্ত এ মানুষটি তাই তো বলছেন-আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, তারপরই ভয় পাই সেই মানুষকে, যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না। এ গ্রন্থটিকে নৈতিক জ্ঞান ও শিক্ষার আধার বলে মনে করা হয়। এটি কবিতার বই, পদ্যের ঢং-এ লেখা। মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে যেসব গুণাবলি থাকা দরকার ‘বুস্তাঁ’য় তা-ই আলোচিত হয়েছে। ইসলামিক নীতি কথা, মানুষের মহানুভবতা, বিনয়, শালীনতা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে বইয়ের কবিতা/শ্লোকগুলো সাজানো হয়েছে। একজন মানুষকে নীতি, নৈতিকতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করতে এ বইয়ের কোনো জুড়ি নেই, তাই তো শেখ সাদী নিজেই এ বইকে ‘সাদীনামা’ নামে উল্লেখ করেছেন। বুস্তাঁ ও গুলিস্তাঁ ছাড়াও শেখ সাদী প্রেমের অনেক গজল এবং বেশ কিছু কাসিদা রচনা করেন। তাকে ফারসি ভাষার অন্যতম প্রধান গজল লেখক হিসাবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আরবি ভাষায় কাসিদা হলো, যে কবিতায় প্রিয়জনের প্রশংসা করা হয়।

তার মূল্যবান কথাগুলো আমাদের চলার পথকে মসৃণ করে। তিনি বলছেন-দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বল, পরে তারা পরস্পর মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়। তিনি মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন, কারও সঙ্গে ঝগড়া ফ্যাসাদ, মন টুটাটুটি তিনি পছন্দ করতেন না, সবার প্রতি ভালোবাসা ও শুভ কামনা প্রদর্শন করে গেছেন। তাই তিনি বলছেন-An enemy to whom you show kindness becomes your friend. পোশাকের পকেটে খাবার ভরার ঘটনাটি তো আমরা সবাই জানি। বাহ্যিক বেশভূষা ও বহিরাবরণ দিয়ে মানুষকে মূল্যায়ন না করাই ছিল ওই ঘটনার মূল বক্তব্য, তাই তো অনন্তকালের জন্য এটি একটি অসাধারণ উদাহরণ হয়ে রয়ে গেছে।

ফ্রান্সের অরিয়েন্টালিস্ট, ইতিহাসবেত্তা, দার্শনিক Ernest Renan সাদীর বুস্তাঁ পড়ার পর বলছেন-Saadi is no stranger among us, he is in fact one of us. প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক হেগেল সাদীর লেখার নান্দনিকতার বর্ণনা করছেন এ ভাবে-তার কবিতা অত্যন্ত উচ্চমানের এবং ফেরদৌসীর মহাকাব্যে যে সুর ধ্বনিত হয়েছে, যে আবেগ ও ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে, সাদীর কবিতায় এসে তা পূর্ণতা পেয়েছে।

রুশ কবি আলেকজান্ডার পুশকিন লিখেছেন-As Saadi sang in earlier ages, some are far distant, some are dead. প্রখ্যাত মার্কিন লেখক রাল্ফ ওয়াল্ডো এমারসন তার কবিতার প্রতি আগ্রহী হয়ে কয়েকটি অনুবাদ সংগ্রহে রেখেছিলেন এবং মুগ্ধ হয়ে নিয়মিত সেগুলো বাইবেলের সঙ্গে তুলনা করে পড়তেন। ফরাসি দার্শনিক ভলটেয়ার সাদীর লেখা মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়তেন এবং ‘গুলিস্তাঁ’ পড়ে তো তিনি রীতিমতো শিহরিত হতেন। সাদীর প্রতি তার আগ্রহ ও ভালোবাসার মাত্রা দেখে বন্ধুমহলে তাকে সাদী নামে ডাকা হতো এবং তিনি এটা বেশ উপভোগ করতেন।

ফরাসি বিপ্লবের সময় বিশিষ্ট সামরিক বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও নেতা লেজার কার্নোট সাদীর লেখালেখির ভক্ত ও তার জীবনাচরণ দ্বারা ভীষণভাবে আকৃষ্ট ছিলেন। তাই তিনি তার সন্তান বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী নিকোলাস লিওনার্দ কার্নোটের নামে, এ ‘সাদী’ পদবিটি যুক্ত করেন। এ পদবি বংশপরম্পরায় কয়েক যুগ ধরে চলে এবং পরে নিকোলাস লিওনার্দ সাদী কার্নোটের ভ্রাতুষ্পুত্র আরেক ‘সাদী’ পদবিধারী রাজনীতিবিদ মারিই ফ্রাঁসোয়া সাদী কার্নোট (Marie Francois Sadi Carnot). ১৮৮৭ থেকে ১৮৯৪ পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের পদ অলংকৃত করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে ইরানের নববর্ষ (নওরোজ) উপলক্ষ্যে শেখ সাদীর ‘বনী আদম’ কবিতা উল্লেখ করে সে দেশের জনগণকে ভিডিও টেপের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন-But let us remember the words that were written by the poet Saadi so many years ago, The children of Adam are limbs to each other, having been created of one essence. জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ঢোকার মুখে দেওয়ালে টাঙানো গালিচায় কবিতাটি লেখা আছে।

তিনি মধ্যযুগের পারস্যের লেখক ছিলেন, কিন্তু তিনি দেশকাল ছাপিয়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা লেখকে পরিণত হয়েছেন। তাকে শাস্ত্রীয় সাহিত্য ঐতিহ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পশ্চিমারা তাকে দ্যা মাস্টার নামেও ডেকে থাকেন। ব্রিটেনের বিখ্যাত পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ানের বিবেচনায় সাদীর অমর গ্রন্থ ‘বুস্তাঁ’ সর্বকালের সেরা ১০০টি বইয়ের মধ্যে একটি। এ তালিকায় আরও জায়গা করে নিয়েছে মাওলানা রুমির ‘মসনভী’, ভারতীয় উপমহাদেশের বাল্মিকীর ‘রামায়ন’ ও কালিদাসের ‘শকুন্তলা’। যুগশ্রেষ্ঠ এ মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাতে ভুলেনি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা (NASA). তাই তো ১৯৭৬ সালে তার সম্মানে, তার নামে বুধ গ্রহের একটি গহ্বরের (Crater) নাম রাখা হয়েছে।

ইসলামি স্বর্ণযুগের প্রবাদপুরুষ শেখ সাদী স্থান, কাল ভেদে বিশ্বের সেরা কবিদের একজন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ওই সময়ের কবি, সাহিত্যিক, অর্থনীতিবিদ, সমাজচিন্তক, স্থাপত্যবিদ, চিকিৎসক, গণিতবিদ, মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অবদানকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুব সামান্যই উপস্থাপন করা হয়, নেহায়েত যতটুকু না করলেই নয়। একইভাবে শেখ সাদি, মাওলানা রুমি, হাফিজ, ফেরদৌসীর মতো কবি-সাহিত্যিকদের অবদানকেও আমাদের এখানে একটি বিশেষ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয়। আমাদের অনেকের লেখায় পৃথিবীর দূর প্রান্তের বহু কবি, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানী সম্পর্কে বহু স্তুতিবাক্য উচ্চারিত হলেও ইসলামি স্বর্ণ যুগের বিখ্যাত ওই সব মনীষী সম্পর্কে কেন জানি শীতলতা দেখানো হয়। আদিকাল থেকে বিশ্বসাহিত্য অঙ্গনে যাদের নাম জ্বল জ্বল করছে, বিশ্বের তাবৎ সাহিত্যানুরাগী এখনো যাদের সাহিত্যকর্মের রসাস্বাদন করে চলেছেন, আটশ (সাতশ সাল থেকে পনেরোশ সাল) বছর ধরে বিশ্ব সভ্যতার চাকাকে যারা সচল রেখেছিলেন, সেসব কীর্তিমানদের দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না। তাদের অবলম্বন করেই এগিয়ে যেতে হবে সমুখের পানে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম