ভাষার মাসে ভাষা ভাবনা
সালাহ্উদ্দিন নাগরী
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা এবং একই সঙ্গে দাপ্তরিক ভাষা। সব সরকারি অফিস ও কর্ম প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষাতে কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা বাংলায় কথা বলি। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে মাসব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃত স্বরূপ বিশ্বব্যাপী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে। জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাভাষায় উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাভাষাকে যে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে বাংলার প্রতি কি ততটুকু শ্রদ্ধাশীল? বাংলাভাষার প্রতি আমাদের দায়দায়িত্ব কি যথাযথভাবে পালন করছি?
আমাদের প্রতিদিনের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় বাংলাভাষার প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা কি লোক দেখানো? ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন কি একটি মাস, একটি দিন বা বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক? ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক পর্যায়ে ও কর্মক্ষেত্রে দৈনন্দিন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় বাংলাভাষার প্রতি অনেক ক্ষেত্রে যথাযোগ্য সম্মান, শ্রদ্ধা ভালোবাসা তো প্রকাশ পায়-ই না, কোনো কোনো সময় অবজ্ঞার ভাবই ফুটে ওঠে।
ভুল বানান, উচ্চারণ ও ইংরেজি ঢংয়ে বাংলা লেখা ও বলাটা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। প্রাইভেট রেডিও চ্যানেলগুলোয় ইংরেজি বাংলা মিশানো উদ্ভট উচ্চারণের বাক্যালাপে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় থাকে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপকসহ অংশগ্রহণকারীরা ‘গ্রেট’, ‘গুডমর্নিং’, ‘গুড ইভিনিং’, ‘গুড নাইট’ বা ‘বা-বাই’ বলতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করছেন। দশজনের কাছে নিজেকে স্মার্ট হিসাবে তুলে ধরার জন্য খুব সচেতনতার সঙ্গে বাংলার বদলে যতটুকু পারছেন ইংরেজি বলার কসরত করে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছে আমার প্রিয় ভাষা তাদের কাছে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়গুলো চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বাংলা শব্দের বানান ও উচ্চারণ সম্পর্কে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বহুদিন আগেই। তিনি আরও বলেছিলেন-ইদানীং বাংলা বলতে গিয়ে ইংরেজি বলার একটি বিচিত্র প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। জানি না, অনেক ছেলেমেয়ের মাঝে এখন এটা সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে গেছে। এভাবে কথা না বললে যেন তাদের মর্যাদাই থাকে না, এমন একটা ভাব।
কোনো ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম উপায় হলো শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণে কথা বলা ও লেখা। শুদ্ধ-অশুদ্ধ যা-ই হোক, আমরা ইংরেজি লিখার সময় অনেক সতর্ক থাকি, পাছে যোগ্যতা ও স্মার্টনেস ধরে কেউ যেন টান দিতে না পারে। কিন্তু ভুল বানানে বাংলা লেখায় কারও দক্ষতা, যোগ্যতা নিয়ে সাধারণত কোনো প্রশ্ন তোলা হয় না। আর সে জন্য আমরা অশুদ্ধ উচ্চারণ ও বানানে বাংলা বলছি, লিখছি এবং পড়ছি। কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, শোধরানোর কোনো তাগিদ নেই, গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে একই ভুলের চর্বিত চর্বণ করেই চলেছি।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের স্ক্রল ও ফেসবুক পোস্টের দিকে তাকালে বোঝা যায় কত অযত্ন, অবহেলা ও অজ্ঞতার সঙ্গে শব্দ ও বাক্যগুলো লেখা হচ্ছে। আমরা লেখছি গানের দলে ‘ভিরে’ যাই। জোব্বার নিচে জাঙ্গিয়া ‘পড়তো’ কিনা জানি না। হৃদয়টা ‘পরে’ থাকে । অলির কথা শুনে বকুল ‘হাঁসে’। সম্বল ‘চিঁড়ে’-মুড়ি। পাহাড় ধসে ‘ঝড়ল’ ৫ প্রাণ। রাজধানীতে ২৩ ‘জুয়ারী’কে আটক। এ হলো ফেসবুকের কয়েকটি পোস্ট ও পত্রিকার বিভিন্ন খবরের শিরোনামের নমুনামাত্র। যারা এ ভুল করছেন, তারা কিন্তু উচ্চশিক্ষিত এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। অল্প বয়সের শিক্ষার্থী ও আমাদের মধ্যে যারা সরাসরি লেখাপড়ার সঙ্গে সংযুক্ত-নয়, তারা যখন টিভি চ্যানেলে কোনো লেখা দেখে, পত্রপত্রিকা পড়ে তখন ওখানে যেভাবে লেখা থাকে সেটাকে সঠিক মনে করেন। ওসব সব ব্যক্তিবর্গের জ্ঞান গরিমার প্রতি সাধারণের বিশ্বাস এতটাই সুদৃঢ় যে তারা ভুল বানানে কিছু লিখতে পারেন তা কখনোই ভাবতে পারেন না।
প্রতিনিয়ত এ ধরনের ভুলগুলো ঘাঁটাঘাঁটিতে আমার মনে হয়েছে, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষিত ব্যক্তি ‘র’ এবং ‘ড়’-এর উচ্চারণে পার্থক্য বুঝতে পারছেন না। তাই ‘পাড়’-এর বদলে লিখছেন পুকুর ‘পার’ এবং ‘শাড়ি’র বদলে ‘শারী’, ‘জুয়াড়ি’র বদলে ‘জুয়ারী’। ‘সারি’ ‘সারি’ গাছ, ‘উজাড়’ করা ভালোবাসা হয়ে যাচ্ছে যথাক্রমে ‘শাড়ী’ ‘শাড়ী’ গাছ, ‘উজার’ করা ভালোবাসা, লেখা-‘পড়া’ হয়ে যাচ্ছে লেখা-‘পরা’।
এখন কথা হলো আমরা কি আসলে এগুলোর শুদ্ধ বানান জানি না? যারা এ ধরনের ভুল নিয়মিত করে যাচ্ছেন, তাদের ভাষা জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা খুবই যৌক্তিক। একই ভুল পুনঃপুনঃ যদি হতেই থাকে তবে এটাকে অজ্ঞতা হিসাবেই ধরে নিতে হবে। এ ধরনের ভুল চর্চা-ই একদিন হয়তো সঠিক বলে বিবেচিত হতে থাকবে। কারণ দশজন যা লিখবেন, বলবেন, পড়বেন, সেটাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। প্রতিনিয়ত ভুলের সমষ্টি যদি পাহাড়সম হয়ে যায় তাহলে সবাই মিলে ঠেলেও সে ভুলগুলোকে সহজে সরানো যাবে না।
আরেকটি বিষয় এখানে আলোচনার দাবি রাখে, যা হলো একই শব্দ বিভিন্ন জন বিভিন্ন বানানে লিখে থাকেন। বাংলা বানানে সমতা আনয়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই এখনই সতর্ক হতে হবে, নইলে আমাদের ভাষা প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হতেই থাকবে। তাই সারা বছরের জন্য আমাদের একুশের চেতনা হতে পারে শুদ্ধ উচ্চারণে ও শুদ্ধ বানানে বাংলা বলা ও লেখা। কোনো কিছু লেখার আগে সন্দেহ দেখা দিলে অভিধান দেখে সঠিক বানান লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আমাদের অনেকেরই বাংলা বর্ণমালার ক্রম চটজলদি মনে না পড়ার কারণে অভিধান উলটাতে গিয়ে সময় ক্ষেপণ হয়। তাই প্রত্যেক বাংলা অভিধানের শুরুতে বর্ণমালার তালিকাটি জুড়ে দিলে সাধারণের অনেক সুবিধা হবে।
অনেকেই উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃ-গোষ্ঠী বোঝাতে ঢালাওভাবে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করে চলেছি। কখনো কি ভেবে দেখেছি এ ব্যাপারে আমার সংবিধান কী বলছে? একইভাবে মাননীয় সংসদ সদস্যদের অনেক ক্ষেত্রে ‘সাংসদ’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। কিন্তু সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ যখন আমাদের জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন তখন তিনি রুলিং দিয়েছিলেন সংসদ-সদস্যদের ‘সাংসদ’ বলার কোনো সুযোগ নেই। বিভিন্ন শব্দের যথেচ্ছাচার ব্যবহার ভাষার বোধগম্যতাকে দুরূহ করেই চলেছে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা কতটুকু?
চিকিৎসাশাস্ত্র, প্রকৌশলসহ উচ্চশিক্ষায়, বিশেষত বিজ্ঞানের বেশ কিছু বিষয়ে বাংলায় লেখাপড়া করা যায় না। ওসব লেখাপড়ার পর্যাপ্ত পুস্তক বাংলায় প্রণয়ন বা অনূদিত হয়নি। ক্লাসে শিক্ষকরা বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে পাঠদান করেন। এতে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ইংরেজি বই পড়ে বোঝা ও ইংরেজি লেকচার অনুসরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিষয় বা সাবজেক্টে বাংলাভাষায় লেখাপড়া করা যায় সেখানেও পর্যাপ্ত বই-এর অভাব রয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় লেখক, গবেষক, বিজ্ঞানীদের যেসব প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে, সাহিত্য, চিকিৎসা, অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে প্রতিবছর যারা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন, তাদের অবদানের বাংলায় অনূদিত সংকলন আমাদের নেই। দু-একজন অনুবাদকের বিছিন্ন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু-চারটা বইয়ের অনুবাদ দিয়ে সব শ্রেণির গবেষক, চিন্তক, সংস্কারক-এর জ্ঞান তৃষ্ণা মিটানো যাবে না। আমাদের অনুবাদ কর্মের ওপর জোর ও পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক ও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ। আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব কংগ্রেস, ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন, স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অনেক প্রতিষ্ঠান ও ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন ভাষায় লিখিত পুরোনো আমলের বই ও গবেষণা কর্ম ইংরেজিতে নিয়মিত অনুবাদ করে যাচ্ছে। একুশ শতকে আমাদের একুশের চেতনা হতে পারে উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন টেক্সট বই, পৃথিবীর তাবৎ ভালো পুস্তক, রচনা, প্রকাশনার বাংলায় নিয়মিত অনুবাদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান।
আরেকটি বিষয় এখানে আলোচনা করা যেতে পারে তা হলো ক্যালিগ্রাফি। এটি শিল্পকলার বহু পুরাতন ও সর্বজন গ্রাহ্য একটি শাখা। এটি পেইন্টিং এরই একটি ধারা। আরবি, চীনা ও জাপানি ভাষায় ক্যালিগ্রাফি উৎকর্ষতার অনন্য সীমায় পৌঁছেছে। বাংলা ক্যালিগ্রাফিকেও সে পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এখানে সৃজনশীলতা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ আছে। বিভিন্ন কথা, বাক্য, শব্দ, উক্তি শৈল্পিকভাবে হরফের মাধ্যমে প্রকাশই হলো ক্যালিগ্রাফি। আর সে ক্যালিগ্রাফি যদি নিজের মাতৃভাষার বর্নমালায় শোভিত হলে তো আবেগ ও ভালোবাসা যুক্ত হয়ে এটি ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। মানুষজনের মধ্যে সচ্ছলতা আসার কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যালিগ্রাফি, আর্ট, শিল্পকর্ম দিয়ে মার্কেট, দোকানপাট, কর্মপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি সাজাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমাদের দেশে বাংলা ক্যালিগ্রাফির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভাষার মাসেই শুরু হোক দৃষ্টিনন্দন বাংলা ক্যালিগ্রাফির নতুন যাত্রা।
আমাদের দেশের মধ্যবিত্তের বাসাবাড়িতে টিভি চ্যানেলে হিন্দি ও বাংলা সিরিয়ালের কদর দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই বলে থাকেন ওসব সিরিয়ালে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হিংসা-দ্বেষ ঝগড়া, পরকীয়া, অন্যের ঘর ভাঙা সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এসব থেকে আমাদের দর্শকরা কী শিখছেন? সারাক্ষণ যদি টিভিতে ওসব অনুষ্ঠান দেখা হয় তাহলে তো মনমানসিকতাও ওভাবেই গড়ে উঠবে। আমাদের সমাজে পারিবারিক অস্থিরতা বৃদ্ধির জন্য ওসব অনুষ্ঠানকেও অনেকে দায়ী করে থাকেন। আকাশ সংস্কৃতির যুগে আমরা হয়তো ওসব অনুষ্ঠানের প্রবেশাধিকার বন্ধ করতে পারব না, কিন্তু তাই বলে চুপচাপ বসে থাকাও যাবে না। উন্নতমানের রুচিসম্পন্ন গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র তৈরির মাধ্যমে দেশের দর্শকদের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। স্বাধীনতা পর আমাদের নাটক বিশেষত টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটক সৌকর্য ও উৎকর্ষতার শিখরে পৌঁছেছিল। দেশের সীমানা অতিক্রম সেসবের আবেদন ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। সে সময়গুলোকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। ভাষা আন্দোলনের মাসে আমাদের লক্ষ্য হতে পারে দেশের লাখো কোটি দর্শককে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিমুখী করা।
বিশ্বে বাংলাভাষায় কথা বলা প্রায় ৩০ কোটি মানুষের অর্ধেকেরও বেশির ভাগ আমাদের এ ভূখণ্ডে। এ দেশের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এক ভাষায়ই মনের ভাব প্রকাশ করছেন। তাই এ ভাষার শ্রীবৃদ্ধি, উৎকর্ষতা সাধন, সমৃদ্ধি আনয়নে এ অঞ্চলের সব শ্রেণির জনগণ বিশেষত সুধীজনদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। বাংলাভাষা চর্চার মূল কেন্দ্র হবে ঢাকা এবং আমরা হব অন্যদের পথিকৃত। এখানেই বাংলাভাষার সেরা সাহিত্যকর্ম লিখিত হবে, বিকশিত হবে এবং এখান থেকেই তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। বাংলাভাষা নিয়ে সবার আগে অহংকার করবে বাংলাদেশের জনগণ। আর তাই তো অন্য যে কোনো অঞ্চলের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ অপেক্ষা আমাদের মধ্যে বাংলাভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধও একটু বেশি থাকতে হবে। হ
