Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

স্বাধীনতার কবিতা : বারুদগন্ধী ফুল

Icon

আহমেদ বাসার

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা এক দ্যুতিময় আলোকস্তম্ভ। আর এ স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি মুক্তিযুদ্ধের রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয়দিক থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা সুদূরপ্রসারী। রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের দিয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহিমা। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিকে দিয়েছে স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর, নতুন বিষয়বস্তু ও উজ্জীবনের নতুন মন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধ যেমন আমাদের সাহিত্যের চেতনাগত ভিত্তিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধকেও আমাদের সাহিত্য প্রভাবিত করেছিল। ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত ফরাসি বিপ্লবের ভিত্তিভূমি তৈরিতে রুশো, ভলতেয়ার ও মন্টেস্কুর রচনাবলি ভূমিকা রেখেছিল, অন্যদিকে রুশ বিপ্লবের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট নির্মাণে টলস্টয়, তুর্গেনিভ, গগল, কিংবা ম্যাক্সিম গোর্কির অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামেও সাহিত্য বিশেষ করে কবিতা পালন করেছিল এক যুগান্তকারী ভূমিকা।

দেশবিভাগ-পরবর্তী পাকিস্তান ভূখণ্ডে পূর্ববাংলা কার্যত পশ্চিম পাকিস্তানিদের উপনিবেশে (colony) পরিণত হয়। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর আচরণ ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুদের মতোই। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার দুরভিসন্ধির মধ্য দিয়ে মূলত এ ঔপনিবেশিক নিপীড়নের সূচনা। এরপর ধীরে ধীরে বাঙালির মৌলিক অধিকারগুলোও তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত হতে থাকে। এ সবের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ঔপনিবেশিক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কেন্ট ব্লাডও পূর্ববাংলাকে ‘শোষিত উপনিবেশ’ হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। ফ্রাঞ্জ ফ্যাননের The wretched of the Earth (১৯৬১) গ্রন্থের মুখবন্ধে জাঁ পল সার্ত বলেছিলেন যে, উপনিবেশবাদ কখনো নিঃশেষ হয় না। নব্য-উপনিবেশবাদের মুখোশ পরে ফিরে আসে। সার্ত কথিত ‘Infernal cycle of colonialism’ বা ‘ঔপনিবেশিকতার নারকীয় বৃত্তায়ন’ পাকিস্তানের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পূর্ববাংলার জনগণ ইংরেজ ঔপনিবেশিক প্রভুদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের ধাতব করতলে পড়ে। তবে বাংলার জনগণ তাদের এই অন্যায় আচরণকে মেনে নেয়নি। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। এ দেশের অগণিত মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি শব্দ-সৈনিক হিসাবে আবির্ভূত হন কবি-সাহিত্যিক শিল্পীগণ। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের মনে জোগান সংগ্রামী প্রেরণা। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে তাদের লেখনী হয়ে ওঠে বারুদগন্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম যেসব কবির কবিতায় শিল্পিত হয়ে উঠেছে তাদের মধ্যে অন্যতম শামসুর রাহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আল মাহমুদ, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আসাদ চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুণ, আবুল হাসান, মহাদেব সাহা, হেলাল হাফিজ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, কামাল চৌধুরী প্রমুখ। বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত জনতাকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত পঙ্ক্তিমালা দিয়েছে অভিনব গতি। শামসুর রাহমানের কবিতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক অভূতপূর্ব শিল্পিত রূপে জেগে ওঠে। জেরুজালেমের প্রতিবাদী কবি ফাদওয়া তুকানের (১৯১৭-২০০৩) কবিতার মতো শামসুর রাহমানের প্রতিবাদী কবিতায় মানবিক আবেদনই বড় হয়ে দেখা দেয়। ইসরাইলের সেনাপ্রধান মোশে দায়ান বলেছিলেন ‘ফাদওয়া তুকানের এক একটি কবিতা বিশটি কমান্ডোর মতো কাজ করে।’ শামসুর রাহমানের কবিতার ক্ষেত্রেও একই ধরনের মন্তব্য প্রযোজ্য হতে পারে। ‘স্বাধীনতা তুমি’, ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ প্রভৃতি কবিতা মুক্তিকামী জনতার মানস-সম্পদে পরিণত হয়েছিল। ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতায় কবি যখন বলেন-‘স্বাধীনতা তুমি /পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন/স্বাধীনতা তুমি /উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।/স্বাধীনতা তুমি/বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদির রঙ।/স্বাধীনতা তুমি/বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে একরাঙা পোস্টার।’ তখন ফাদওয়া তুকানের ‘কারাগারের অন্তরালে’ কবিতার পঙ্ক্তিগুলো মনে পড়ে-‘বুকশেলফে রয়েছে আমার ঝুলিটা/আর হ্যাঙারে ঝোলানোই রয়েছে/আমার স্কুলের ইউনিফর্ম/আমি দেখি আমার মায়ের আঙুল তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে/আর ঝাড়পুছ করছে ধুলো/আমি আমার আম্মার পদরেখা অনুসরণ করি/তার অস্ত্রের জন্য, একটি দিবসের মুখ দেখার জন্য’ (অনুবাদ : আসাদ চৌধুরী)। দুটি কবিতারই মূল সুর মানবিকতা ও একটি সুরভিত মুক্তদিনের প্রতীক্ষা। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন-নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি আপামর বাঙালির স্বপ্ন-অভিপ্সায় পরিণত হয়েছিল। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছেই স্বাধীনতা যে কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল তা শামসুর রাহমানের ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় টের পাওয়া যায়। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিশব্দ ‘স্বাধীনতা’র অনিবার্যতা এখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, হাড্ডিসার অনাথ কিশোরী, কৃষক শ্রেণির প্রতিনিধি সগীর আলী, জেলেদের প্রতিনিধি কেষ্ট দাস, মাঝি মতলব মিয়া, রিকশাওয়ালা রুস্তম শেখ অর্থাৎ নিুবিত্ত-মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত-বিত্তহীন সবার কাছেই স্বাধীনতা হয়ে উঠেছিল অপরিহার্য। এছাড়া স্বাধীনতার জন্য সাকিনা বিবির কপাল ভাঙার দৃশ্য কিংবা হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে যাওয়ার বেদনাকেও কবি নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। এমনকি মোল্লাবাড়ির বিধবা বধূর কাছেও ব্যক্তিগত বেদনার চেয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নই যে বড় হয়ে উঠেছিল তা উল্লেখ করতেও কবি ভোলেননি। কবিতার শেষ পঙ্ক্তিগুলোতে স্বাধীনতাকে যে এ বাংলায় আসতেই হবে তা দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষিত হয়েছে। হাসান হাফিজুর রহমানের কবিতায়ও স্বাধীনতার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রূপায়িত হয়েছে। স্বাধীনতা তার কাছে নিশ্বাসের মতোই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল-‘আমার নিশ্বাসের নাম স্বাধীনতা/আমার বিশ্বাসের নখর এখন ক্রোধের দারুণ রঙে রাঙানো/দুঃস্বপ্নের কোলবন্দী আমার ভালবাসা/এখন কেবলই/এক অহরহ চিৎকার হত্যা কর, হত্যা কর, হত্যা কর।’

পাকিস্তানিদের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র স্বাধীনতার পঙ্ক্তিগুলোতে প্রতিফলিত হয়েছে। পাকসেনাদের রক্তচক্ষুর নির্মমতা থেকে যে কোনো কিছুই বাদ পড়েনি তা কবিতাগুলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছিল এ বাংলা। সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়-‘বস্তুত ঠোঁটের কোনো কাজ নেই / আতঙ্কের তাপে ফেটে যাওয়া ছাড়া’ (অবরুদ্ধ শহরে চতুর্থ মাস)। প্যালেস্টাইনের কবি মাহমুদ দারবিশের কবিতায়ও আমরা ইসরাইলি নৃশংসতার এ-রকম ভয়াবহ চিত্র প্রত্যক্ষ করি-‘হত্যাযজ্ঞের নৃশংসতা আমি প্রত্যক্ষ করেছি/আমি তো একটি মানচিত্রের বলি/আমি সহজ সরল শব্দের সন্তান/আমি দেখেছি ঝিনুকের ওড়াওড়ি/আমি তো দেখেছি বোমার মতো/শিশিরের ফোঁটা’ (অনুবাদ : আসাদ চৌধুরী)। দুটি কবিতার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও হত্যা ও ধ্বংসের তাণ্ডবলীলায় সমগোত্রীয় হয়ে উঠেছে। দুটি কবিতায়ই হত্যা, অগ্নিসংযোগ কিংবা ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে সদর্পে প্রতিবাদ ঘোষিত হয়েছে। আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘ঘাতক ১৯৫’ কবিতায়ও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকসেনাদের বর্বরতার চিত্র উঠে এসেছে। ঘাতক নরপশুরা সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও তারা অগণিত নিরস্ত্র বাঙালি নর-নারীর ওপর পৈশাচিক আক্রমণ চালিয়েছে। কবির ভাষায়-‘ত্রিশ লাখ হত্যা/সাড়ে তিন লাখ ধর্ষণ/পঞ্চাশ হাজার অগ্নিসংযোগ/এবং লুট/আগুণিত/কিন্তু ঘাতক/মাত্র ১৯৫ জন’॥ পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংসতার প্রতিক্রিয়ায় এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রত্যয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। আবালবৃদ্ধবনিতা এই সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সব শ্রেণি-বর্ণ-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম একটি সর্বজনীন চরিত্র লাভ করে। যুদ্ধে সাবধানী ও কৌশলী হওয়ার আহ্বান শোনা যায় আল মাহমুদের কবিতায়-‘নিসর্গের ঢাল ধরো বক্ষস্থলে/ যেন হত্যাকারীরা এখন/ ভাবে বৃক্ষরাজি বুঝি/ বাতাসে দোলায় ফুল? অবিরাম পুষ্পের বাহার’ (ক্যামোফ্লেজ)। প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠেছিল সমগ্র জাতি। বাঙালি নিরীহ যুবক, কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর এমনকি মায়ের আঁচল-ধরা ঘরকুনো ছেলেও সেদিন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল দেশ-মাতৃকার ডাকে। আসাদ চৌধুরীর ‘অজ্ঞাত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কথা’ কবিতায় এমনি একটি দৃশ্য ঝলসে ওঠে-‘ঘরকুনো মায়ের-আঁচল-ধরা ছেলে/ঘর-ছাড়া হয়েছিল পবিত্র স্বদেশের প্রেমে?/আমাদের জানা নেই...প্রতিশোধপরায়ণ হয়েছিল নিরীহ যুবক,/আর কিছু নয়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিসংগ্রামে। স্বাধীনতার কবিতায় বঙ্গবন্ধুও তাই অবশ্যম্ভাবীরূপে হাজির থাকেন। মহাদেব সাহার ভাষায়-‘আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি তখন সাতই মার্চ/ জেগে ওঠে/ শেখ মুজিব ঘোষণা করেন স্বাধীনতা’ (আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি)। কামাল চৌধুরীর ভাষায়-‘এই দৃশ্য আমার সোনার বাংলা / এই দৃশ্য বজ কণ্ঠ, মুজিবের সাহসী তর্জনী/ এই দৃশ্য চির উন্নত মম শির/ আমরা হারিনি। এই দৃশ্য বিজয়ী জাতির’ (নিয়াজি যখন আত্মসমর্পণ লিখছে)। এই স্বাধীনতার জন্যই একদিন কৃষ্ণাঙ্গ কবি ল্যাংস্টন হিউজেস (১৯০০-১৯৬৭) আর্তনাদ করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন। ‘স্বাধীনতা’ কবিতায় তিনি বলেন-‘স্বাধীনতা একটা শক্তিশালী বীজপ্রবাহ/বাঁচার জন্য/একটা বড় প্রয়োজনের জন্য/আমি ও তো সেখানেই বাস করি/তুমি যেখানে,/তাই/স্বাধীনতা আমার প্রয়োজন / তোমার যেমন।’ (অনুবাদ : শক্তি চট্টোপাধ্যায়)। একাত্তর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে অনেকটা ছিটকে পড়ে। যে-স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাঙালিরা জীবনপণ যুদ্ধ করেছিল, কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা সেই স্বপ্নকে বাস্তবরূপ দিতে পারেনি। কিছু স্বার্থসচেতন ব্যক্তির তৎপরতা ও অপকর্মে দেশ আবার অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়। এরপর একে একে সামরিক শাসনের খক্ষহস্ত নেমে আসে দেশের বুকে। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবিতায় তাই শোনা যায় ক্ষব্ধ উচ্চারণ-‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই? আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য দেখি/ ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে’ (বাতাসে লাশের গন্ধ)।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশের কবিতা একাকার হয়ে ওঠে আবেগ ও প্রতিবাদী চেতনার নান্দনিক বিভায়। মুক্তিযুদ্ধের ভাবধারা গণমানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কবিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পঙ্ক্তিমালা তাই অবিনাশী জাতির হৃদয় নিংড়ানো বারুদগন্ধী ফুলের মহিমা পেয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম