|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তর্কের জানালা থেকে মুখ ফিরিয়ে খোলা আকাশ দেখি
কারা যেন ধেয়ে আসছে নেকড়ের মতোন
কিংবা গর্জমান পৃথিবী তার পিঠ উপড়ে ফেলতে
আদিতার মতো পিঠ বাঁকা করে আড়মোড়া ভাঙছে।
আমার মনের ভেতরে খটকা খটখট করে ওঠে!
সে কি সুনামির গন্ধ পেয়েছে?
হতে পারে এ-জগৎ অকস্মাৎ ধসে পড়বে, তা জানি!
কেয়ামতের সেই লক্ষণ কী দিগন্ত ফাটিয়ে দিয়ে
ছুটে আসছে আমারই দিকে?
ঘন কালো মেঘদল আমার পায়ের পাতা ছুঁয়ে
নেমে গেল অনন্তে? সেই শূন্যের কোনো শেষ নেই।
আমিও কী নামবো?
পতনোন্মুখ পৃথিবীর পাঠশালা শেষ করে
বিদ্যার গিরিশৃঙ্গ রাঙিয়ে দিয়ে রক্তস্রোতে-
আমিও কি সুপারসনিক মানব সম্পদ
ফিরে যাব লোক-পরম্পরাহীন জগতের ঐশ্বর্যে?
কে জানে? কে জানে এই ধসের কারণ?
আর কেইবা ঠেকাতে পারে এই নিখিলের লীলা?
যারা স্বপ্নের ডালি সাজিয়ে বসেছে বাজারে, বাজারে,-
কর্পোরেট অংকের সুদ কষা তারা ভালো জানে,
কতটা ফাঁকি আর কতটা ঝুঁকি ঠেলে তারা
লুটেছে সদাইপাতির দামে, কোষাগারের কোষকলা
ছুবড়া করার পর, আজ তারা খড়কুটোর মতো
নেমে যাচ্ছে অতলে!
আর তাদের বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলারগুলো
কড়ই পাতার মতো চরকিবাজি খেয়ে
নামছে দেখতে পেলাম আমি,
ইলন মাস্ক, বিল গেটস আর ট্রাম্প গলাগলি করে
ভেসে থাকার প্রাণপণ করছে।
তাদের পায়ের আঙুল খামছে ধরেছে
পুটিন আর নেতানিয়াহু। ওদের কষা বেয়ে রক্ত ঝরছে।
তর্কের জানালা থেকে সরে এসে আমার দেশের দিকে তাকালাম।
তখনো ডক্টর ইউনূস বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চেঁচাচ্ছেন।
উর্বরাশক্তির ভূমির খাদ যে নিখাদ নয়,
তার খবর তিনি আজও বুঝেননি।
কত কাদামাটির মখমলে ফোকড়গুলো তখনো হাঁ করছে
কর্পোরেটের গ্রাস থেকে।
আমি দেখছি আর শুনছি আত্মার ধুকধুকি।
আমি তো আমার পতন দেখতে পাই না।
আমি তো উড়ে চলেছি আমারই অজান্তে,
আমিও যে মহাপ্রলয়ের একখণ্ড ছাই-দানা,
আমি সেই চেহারা দেখি না।
আমি আমারে কেবল অনুভব করছি
উল্টে যাওয়া পৃথিবী যেমন করছে।
মানুষের ধ্বংসযজ্ঞের এই যুগে ধুলা-বালির মখমল চারদিকে।
ফিকে জ্যোৎস্নার মতো হাওয়ায় ভাসছে পার্টিকলস, মৃত্যুবান!
আমাদের উন্নয়নের দশকগুলো ধুলির আস্তরে ঢাকা!
ঢাকা তাই মৃতের শহর!
