Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

আবদুল হাই শিকদারের দুটি কবিতা

মাছের পেট হইতে বাহির হইবার বয়ান

Icon

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রাতিম্বিক :

অবস্থাচক্রে একদল মানুষ মাছের পেটে ঢুকিয়া গিয়াছিল। তিনি তাহাদের বলিলেন, ‘ক্রন্দন করিও না।’ অতঃপর একটি মস্তিষ্ক ও দুইটি হস্তের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন। অত্যল্পকালের মধ্যেই তাহারা চীনদেশীয় বোকাবৃদ্ধের মতো মাছের পেট কাটিয়া বাহির হইয়া আসিল। এবং জলশূন্য ডাঙায় তরমুজজাতীয় ফলাদি উৎপন্ন করিতে লাগিল। এইবার তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, ‘উহা ভক্ষণ কর।’

বঙ্গীয় বাক্য বিতান :

সব কিছুই বলা হয়ে গেছে। অভিনন্দন, অভিবাদন, সালাম, সেলুট, শ্রদ্ধাঞ্জলি, পুষ্পাঞ্জলি, অর্ঘ, নমস্কার, আদাব, সুপ্রভাত। বঙ্গ ভান্ডার কবেই পেরিয়ে গেছে তেপান্তর।

এখন এই গাঁথা, এই বাক্য, এই শব্দ, এই অক্ষর, এই আকার, এই এ-কার, এই ই-কার, এই দীর্ঘ-ইকার, এই হ্রস্য-উকার, এই দীর্ঘ-উকার, এই রেফ, এই য-ফলা, এই র-ফলা, এই ঋ-ফলা কোনোটারই আর তেমন কোনো ঔজ্জ্বল্য নেই।

এমনকি দুইটি বাক্য বা দুই চরণের মধ্যে যে ফাঁক, তাতেও পাঠ্যবিশিষ্ট বলে আর কিছু নেই। সব কিছুই পেশ করা হয়েছে আপনার শানে।

হলফনামা :

কসম বক্সির হাটের, কসম দুলা মিয়ার,

কসম সুফিয়া খাতুনের,

কসম জোবরা গ্রামের,

মাথার কিরা কেটে বলছি, ‘ড. ইউনূস

আমার এই বাক্যপুঞ্জ ১০০% খাঁটি।

সকল প্রকার ভেজাল ও দূষণমুক্ত

রুকনুদ্দৌলা ম্যাজিস্ট্রেটের সার্টিফিকেট আছে আমার হাতে।’

প্রাণবর্তিকা :

আমি খুবই সন্তুষ্ট আমার মাতৃভূমির প্রতি।

সে তাহলে আপনার মতো কাউকে জন্ম দিতে পারে। পাখিরাও খুব আহলাদিত হয়েছে আমার মতোই।

তাদের সাথে আমার একটা বিশেষ যোগাযোগ আছে বলেই

কথাটা জানতে পারলাম।

আর আল্লাহপাক তো ১৪০০ বছর ধরেই বলছেন,

‘আমি শুধু পশ্চিমের দিকে মুখ ফিরিয়া থাকি এই কথাটা ঠিক না আমি পূর্বেরও।

এমন কি উত্তর দক্ষিণ ঈশান নৈঋতেরও।’

অঙ্কোলিকা :

ড. ইউনূস আপনার হাসিটা আমার সংসারের দেয়ালে বাঁধিয়ে রাখবো। আর আপনার সাথে হাত ঝাঁকাঝাকিরত অবস্থায়

আমার একটি ছবি তুলে রাখা দরকার।

নইলে কুড়িগ্রামের লোকদের মতো আমার মেয়েও একদিন মুখ ফসকে বলে বসতে পারে,

‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস তোমাকে চেনেন-বল কি বাবা!’

তারেক রহমান

তারেকের মতো তারেক ফুটেছে কমলের সরোবরে,

জননী খালেদা তুলে দিলো তাঁকে জনতার অন্তরে।

দেশের শত্রু, জাতির শত্রু ডেকে আনে সন্ধ্যা,

চালায় নানান ষড়যন্ত্র দেশকে করতে বন্ধ্যা।

সেই সে জ্বালার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় নতুন কালের তারেক,

বাংলাদেশের আকাশ থেকে দূর করে উদ্বেগ।

তারেক মানে নতুন পৃথিবী, নতুন সম্ভাবনা,

তারেক মানে আগামী দিনের সোনালি আলোর কণা।

তারেক করেছে স্পেন জয়, তারেক করে না ভয়,

তারেকের হাতে হবে নিশ্চয় অকল্যাণের ক্ষয়।

তারেকের হাতে জিয়ার নিশান, খালেদার স্নেহমায়া,

তারেকের মুখে ফুটে আছে দেখো বাংলাদেশের ছায়া।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম