সিকানদার আবু জাফরের কবিতা পড়তে গিয়ে
কুদরত-ই-হুদা
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিকানদার আবু জাফর বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তির ইতিহাসে প্রগতিশীল, উদার মানবতাবাদী বলে কীর্তিত। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হিসাবে বর্ণিত হন। ব্যাপারটা আসলে ঠিকই। তিনি ষাটের দশকের উপান্তে প্রতিবাদী সাহিত্যিক হিসাবে কবিতা, গান, সাংবাদিকতার মাধ্যমে প্রায় কাজী নজরুল ইসলাম গোত্রের ভূমিকা পালন করেছেন। সমকাল পত্রিকায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করার নানা গল্প বাংলাদেশের সাহিত্যিক মহলে প্রায় মিথের মতো চালু আছে।
এক.
কিন্তু তার প্রথমদিককার কবিতা পড়তে গিয়ে দেখা যায়, অন্য অনেকের মতো তিনিও পাকিস্তান চেয়েছিলেন। ভালোভাবেই চেয়েছিলেন। তার এ চাওয়া অন্তত ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই জারি ছিল বলে তার কাব্য-কবিতা সাক্ষ্য দেয়।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর ঘটা করে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হতো নানা পরিসরে। এ দিবস উদ্যাপনের প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশের অনেক কবির কবিতায় ও নানা তৎপরতার মধ্যে। ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার কবিতা নামে একটি কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়। এটি সম্পাদনা করেছিলেন মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল। সংকলনটি সম্ভবত পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠা দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৫৪ সালের ১৪ আগস্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে অন্য অনেকের মতো চল্লিশের দশকের গুরুত্বপূর্ণ কবি সিকানদার আবু জাফরেরও একটি কবিতা আছে। কবিতাটিতে তিনি পাকিস্তানের প্রশস্তিকীর্তন করেছেন। এবং এর সুন্দর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রসন্ন প্রহর। প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এর কবিতাগুলো রচিত হয়েছে ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৬ সালের মধ্যে। পাকিস্তান আন্দোলনের তুঙ্গ সময়ের মধ্যে রচিত ওই কাব্যগ্রন্থটির শরীরের অনেক জায়গায় পাকিস্তান আন্দোলনের উত্তাপ ও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ ছড়িয়ে আছে। শুধু প্রসন্ন প্রহর-এর কথাই বা বলি কেন! দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ তিমিরান্তিক-এও এই প্রভাব আছে। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে রচিত হয়েছে। প্রসন্ন প্রহর-এর ‘এই রক্তের দাগ’, ‘দাহ’, ‘হানো ছুরি হানো মৃত্যুবাণ’, ‘রক্তাক্ত রাজপথ’, ‘এ-দিনের পাখা’, ‘মানুষ’; তিমিরান্তিকের ‘নবাঙ্কুর’ এবং আরও কোনো কোনো কবিতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হুমায়ুন আজাদ কথিত ‘পাকিস্তানি জ্বর ও ঘোরে আক্রান্ত’।
১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা দেন যে, ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতা দেবে। ভারতের দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলেও ওই সময়ের মধ্যে ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যাবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। তখন পাকিস্তান আন্দোলনের পালে পুরো হাওয়া লেগেছে। নিশ্চিত যে ভারত-পাকিস্তান আলাদা হচ্ছে। সংশয় ছিল শুধু বাংলা নিয়ে। বাংলা ভাগ হয়ে যাবে কিনা এ সংশয় ছিল। তো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা-খচিত ওই ঘোষণার দিনেই তিনি প্রসন্ন প্রহর কাব্যের ‘মানুষ’ কবিতায় বললেন-‘দুর্গম বন্ধুর পথ এবার সমাপ্ত হবে/সীমাহীন দিগন্তের তীরে,/বন্ধন-বিমুক্ত প্রাণ বিপুল গৌরবে।/অতিক্রম করে যাবে জীর্ণ ধরণীরে/বিক্ষিপ্ত মানুষ আজ নিশান্তের পথে/সহস জোতিষ্কদীপ্তি-রেখাঙ্কিত দিবসের রথে/পার হয়ে চলে যাবে রাত্রির তোরণ;/মানুষের বুকে আজ মৃত্যুহীন প্রাণের রণন।’ ওই সাতচল্লিশের উপান্তে তিমিরান্তিক কাব্যগন্থের ‘নবাঙ্কুর’ কবিতায় বলছেন, ‘অন্ধকার ফাটলের লক্ষ লক্ষ মুখে/অজ্ঞাত বীজের বুকে প্রভাতের জেগেছে অঙ্কুর/প্রদীপ্ত মধ্যাহ্ন সূর্য নহে বেশী দূর।’
১৯৫৪ সালে প্রকাশিত পূর্বে উল্লেখিত পূর্ব বাংলার কবিতা সংকলনে ‘পাকিস্তানি জ্বর ও ঘোরের’ বশবর্তী হয়ে সিকানদার আবু জাফর লিখলেন-‘নূতন মাটিতে নূতন প্রাণের অধিকার কেড়ে এনেছি,/আমরা এবার আজাদীর স্বাদ জেনেছি।/রক্ত আঁখির শাসন বিহীন/বাধাহীন গতি প্রতি নিশিদিন/কত যে মধুর জেনেছি।/আপন ঘরের অঙ্গন মাঝে/অবারিত চলা শত শত কাজে,/দ্বিধাহীন বুক দ্বিধাহীন মন/নব জীবনের নব আয়োজন/দেখে বিস্ময় মেনেছি।’ সিকানদার আবু জাফরের ওপরে উদ্ধৃত কবিতার মতো আরও বেশ কিছু কবিতা চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকব্যাপী বিভিন্ন সাময়িকপত্রে নানা সময়ে ছাপা হয়েছিল।
দুই.
কিন্তু সিকানদার আবু জাফরকে তো বাংলাদেশের কবিতা-পাঠকরা এভাবে চেনেন না। বাংলাদেশের কবিতায় তিনি ঠিক এর বিপরীত চেতনার কবি বলেই কীর্তিত ও আলোচিত হন। কারণ, সিকানদার আবু জাফর আসলে শুধু ‘পাকিস্তানবাদী’ কবিতা লেখার মধ্যে ফুরিয়ে যান না! পাকিস্তানি ভাবধারার যেসব কবিতার উল্লেখ করলাম তিনি তো শুধু এসব কবিতা লিখে জীবনপাত করেননি। এর বাইরেও বিরাট পৃথিবীর বিচিত্র বিষয়ে কবিতা লিখেছেন। এমন কি যে কাব্যগ্রন্থে তিনি ‘নবাঙ্কুর’ কবিতাটি রচনা করছেন সেই একই কাব্যগ্রন্থে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নামে কবিতাও লিখেছেন। ষাটের দশকে এসে তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার কবিতা লিখেছেন। বৃশ্চিক লগ্ন ও বাঙলা ছাড়োর মতো কাব্যগ্রন্থ তিনিই লিখেছেন। ‘জনতার সংগ্রাম চলবেই,/আমাদের সংগ্রাম চলবেই’- চরণগুলো তারই লেখা। ‘সংগ্রাম চলবেই’ কবিতাটি লেখা হয় ১৯৬৫ সালের ৩রা জানুয়ারি। প্রবল রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ভেতর বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তখন প্রায় হিমঘরে স্থবির হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান বিরোধিতা তখনো কবিতায় চূড়ান্তভাবে জেঁকে বসেনি। অধিকাংশ কবি-সাহিত্যিক তখন চলছেন রূপক-প্রতীকের আড়াল দিয়ে। মালবকৌশিক-এ পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে এমন সব গণসংগীত রচনা করেছেন যে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। ১৯৭০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লিখেছেন ‘একুশের আসরে’ কবিতা। সেখানে বলছেন, ‘যা যা যা দূর হয়ে যা চোরের কুকুর/মালিকের নাগরা চেটে বল্গে হেসে হুজুর হুজুর।/এখানে মাসের ভাষা গাওনা হবে/মায়ের হাসি সব ছেলেদের পাওনা হবে,/গায়েন্রা তাই আসন ঘুরে/সাধছে গলা নতুন সুরে;/এখানে ঘেন্নাভরা/গা-ঘিন্ঘিন গন্ধঝরা/ভেউ ভেউ ডাকিস যদি/পাড়ার লোকে হানবে মুগুর।’ এ রকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে যেখানে সিকানদার আবু জাফর চল্লিশ ও পঞ্চাশ দশকের কবিতা ও রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে গিয়েছেন। এ সময়ের ভাষা, ভঙ্গি ও চৈতন্যের উৎস সমকালের বাংলার জাতীয়তাবাদী চেতনার মধ্যে নিহিত। নতুন জাগরণের নতুন ভাষা।
তিন.
বাংলাদেশের কবিতাবিষয়ক আলোচনাগুলো দেখলে বোঝা যায়, সেখানে চল্লিশের দশকে পাকিস্তান নিয়ে লেখা কবিতাগুলোকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হয়। বাইনারির কাঠামো ব্যবহার করে এক ধরনের কবিতাকে মহিমান্বিত করা হয়। ‘প্রগতি’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়। আর আরেক ধরনের কবিতাকে ‘প্রতিক্রিয়াশীলতা’র খোপে ঢুকিয়ে প্রত্যাখ্যান করা হয়। কবিতা বিচারের এ পদ্ধতি ও লেন্স সমস্যাপূর্ণ বলে মনে হয়। এ বিচার যতটা না কাব্যতাত্ত্বিক ও সময়ের বাস্তবসত্যভিত্তিক তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত। কবিতাপাঠের ও মূল্যায়নের এ দৃষ্টিভঙ্গি স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে নির্মিত সাতচল্লিশের ‘মহাবয়ান’ দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে হয়। এর ফলে বাংলাদেশের কবিতার ও ইতিহাসের এক সময়ের বাস্তবতাকে অস্বীকারের একটি ব্যাপার এ লেন্সের মধ্যে প্রধান হয়ে ওঠে। একটি জনগোষ্ঠীর কবিকুলকে তেল ও জলের মতো দুই ভাগে ভাগ করে দেখার একটা ব্যাপার এই লেন্সের মধ্যে খুব স্পষ্ট।
কিন্তু চল্লিশের দশকে সিকানদার আবু জাফরসহ প্রায় সব কবি মনে করেছিলেন যে, জনমনে পাকিস্তানের যে-স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছে তাকে ভাষা দেওয়া জরুরি। এ কারণে ওই সময়ে শত শত কবি হাজার হাজার কবিতা রচনা করেছেন পাকিস্তান নিয়ে। সেগুলো গ্রন্থাকারে ও সাময়িকপত্রে ব্যাপকভাবে ছাপা হয়েছে। ওই সময়ে ওটাই ‘প্রগতি’ বলে সাব্যস্ত হতো। কারণ, তা অধিকাংশ মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে অনুবাদ করতে পেরেছিল। এর কতটুকু কবিতা আর কতটুকু ফেনিল উচ্ছ্বাস সে আলাপ অবশ্য ভিন্ন।
চল্লিশের অধিকাংশ কবি যে পাকিস্তান আন্দোলনে নিজেদের সমর্পণ করে অজস কবিতা লিখলেন তাদেরই একটা বড় অংশ কবি আবার নতুন জাগরণের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন। নতুন ভাষা ও চৈতন্যকে তার আবার কবিতায় বাক্সময় করে তুলেছেন। এটাও আবার পরবর্তী সময়ের ‘প্রগতি’ বলে সাব্যস্ত হয়েছিল।
কিন্তু বাংলাদেশের কবিতার ইতিহাসে চল্লিশের ওই পাকিস্তানশ্লিষ্ট কবিতাকে সন্দেহ ও ঘৃণার চোখে দেখার প্রবণতা তৈরি হওয়ার কারণে চল্লিশের অধিকাংশ কবি তাদের ওই সময়ে লেখা ‘পাকিস্তানবাদী’ কবিতা সরিয়ে ফেলেছেন; লুকিয়ে ফেলেছেন। কেউ ঘুনাক্ষরেও প্রকাশ করতে চান না যে, তারা ওই সময় ওই ধরনের কবিতা লিখেছেন। এটি এক ধরনের অসততা। বাঙালি মুসলমানের এ অসততা ও এর কুফল নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদ বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রম ও বিশ্বাসহীনতা নামে একটা বই লিখেছেন। এ বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশের কবি-শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরা কীভাবে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। যুক্ত থেকেছেন নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। লিখেছেন ও সম্মতি উৎপাদন করেছেন পাকিস্তানের পক্ষে। কিন্তু তারা প্রায় সবাই স্বাধীনতা-উত্তরকালে তাদের সেই অতীতের অবস্থানকে অস্বীকার করেছেন। এ অসততা ও হীনম্মন্যতা স্বাধীন বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল করেছে বলে মনে করি। হীনম্মন্যতা ও আতঙ্ক যার পিছু ছাড়ে না তাকে দিয়ে জাতীয় বড় কোনো ভাবনা-কল্পনা অসম্ভব।
সিকানদার আবু জাফর এ ধরনের হীনম্মন্যতা ও অসততা থেকে ছিলেন সম্পূর্ণ মুক্ত। এ কারণে তিনি তার প্রথম তিনটি কাব্যগ্রন্থ ১৯৬৫ সালে প্রকাশ করা সত্ত্বেও সেখানে নির্দ্বিধায় রেখে দিতে পেরেছেন ‘পাকিস্তানবাদী’ কবিতাগুলো। এটাকে তিনি এক সময়ের সত্য হিসাবে রেখে দিয়েছেন। বাংলাদেশের দিকে অভিযাত্রার একটি স্তর হিসাবে রেখে দিয়েছেন। বিদ্বেষ পোষণ না করে বাংলাদেশের কবিতার ক্রমোন্নতির একটি স্মারক বা স্তর হিসাবেও ওই কবিতাগুলোকে আমরা খুব সহজেই পড়তে পারি। সিকানদার আবু জাফর চেতনায় যে পরিবর্তিত হয়েছিলেন সেই চিহ্ন হিসাবে এ কবিতাগুলো একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। এটাই তো যথার্থ প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি। প্রগতি তো তাই যা সময় ও বাস্তবতাকে মোকাবিলা করে প্রয়োজনীয়কে আলিঙ্গন করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এক জায়গায় পড়ে থাকে না। সিকানদার আবু জাফরের মধ্যে এ ব্যাপারটি ছিল। তিনি এক সময় কংগ্রেসের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। পরে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠায় উদ্বেল হয়েছেন। আবার সময়ের বাস্তবতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চিন্তায় জারিত হয়েছেন। তিনি তার এ অভিযাত্রাটিকে লুকাননি।
এ কারণে সিকানদার আবু জাফর চল্লিশ, পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বাংলাদেশের অধিকাংশ কবি, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীর চেয়ে সৎ ও ব্যক্তিত্ববান হিসাবে টিকে আছেন। সিকানদার আবু জাফর নামটি উচ্চারণ করলেই একজন সৎ, ঋজু ও যথার্থ প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বের কবি, সাংবাদিক ও সংস্কৃতি কর্মীর মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে। তাই কবিতায় বড় কোনো বাঁকবদলি ভূমিকা না রেখেও তিনি এখনো ব্যক্তিত্বপূর্ণভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
