Logo
Logo
×

অল্পকথা

কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে প্রত্যাশা

Icon

আব্দুল আজিজ মজনু

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্বাস্থ্য হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থাবস্থা; শুধু রোগব্যাধি বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। চিকিৎসা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে স্বাস্থ্য খাতের সূচকগুলোর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তদুপরি সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ওষুধ সরবরাহের অপর্যাপ্ততা, জনবলের অভাব, যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা, সমন্বয়ের অভাব এবং সুসংগঠিত রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় জনগণ স্বাস্থ্য অবকাঠামোর পূর্ণ সুফল পাচ্ছে না। সক্ষমতার তুলনায় জনসংখ্যার আধিক্যও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে দুর্বলতার একটি অন্যতম কারণ। শহর এলাকার তুলনায় গ্রাম এলাকায় এ সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে গ্রামের মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের একটি অনগ্রসর উপজেলা ফুলবাড়ী। এখানে অন্যান্য সেবার মতো ধীরে হলেও স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থার ক্রমোন্নতি লক্ষণীয়। তদুপরি বিদ্যমান অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য পদক্ষেপ। তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে এবং কমিউনিটি ক্লিনিককে ঘিরে স্থানীয় জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা দিনদিন বাড়ছে। এ প্রতিষ্ঠানের সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। ফুলবাড়ী উপজেলায় ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৯টিতে চলমান স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা, অবকাঠামো, জনবল, কর্মদক্ষতা এবং এ বিষয়ে জনগণের প্রত্যাশাগুলো সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করা গেছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা আর শহরের স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে বেশ তফাত রয়েছে। কারণ হিসাবে তারা জানান, শহর এলাকার মানুষ যতটা স্বাস্থ্য সুবিধা ভোগ করছে, তৃণমূল জনগণ ততটাই বঞ্চিত। বিশেষ করে কমিউনিটি পর্যায়ে যোগাযোগব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপসহ স্যানিটেশনব্যবস্থা ও পরিবেশ উন্নয়ন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।

নিভৃত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তোলা কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রসূতি মায়ের নিরাপদ প্রসবসেবাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিগুলোয় কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার মাত্র একজন থাকায় তার পক্ষে সেবাদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে জনবল সংকটের কারণে সেবা প্রদান করাও কষ্টকর। শুধু ইপিআই প্রোগ্রাম পরিচালনা করার জন্য একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী মাসে একদিন ওই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় কাজ করে থাকেন। তাই জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে সেবা দেওয়া হলে এসব ক্লিনিকের মান বৃদ্ধি পাবে।

 

আব্দুল আজিজ মজনু : সাংবাদিক

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম