|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাধ্যম বা মধ্যস্থতাকারী মূলত দালাল। দালাল বা দালালি করা বর্তমানে একধরনের পেশায় পরিণত হয়েছে। দালাল শব্দটি এখন বহুল আলোচিত ও প্রচলিত। শোনা যায়, এ দালালচক্র কখনো নির্ভরশীল হয়, কখনো বা পকেটের টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয়। দালাল আজ কোথায় নেই! জায়গা, গাড়ি, বাড়ি, সম্পত্তি, এমনকি বাড়ি ভাড়া পেতে, জায়গাজমি বিক্রি করতে সাহায্য নিতে হয় দালালের। কারণ এলাকার জায়গাজমি থেকে শুরু করে বাড়ি ভাড়া-সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখে তারা।
আজকাল দালালি পেশায় এমন লোকেদের দেখা যায়, যাদের কথাবার্তা, বেশভূষায় আকৃষ্ট হতে হয়। সব বিষয়েই ক্রেতাকে আশ্বাস দেয় দালালরা। দালাল শব্দটিকে একটু অন্যভাবে বলা যায়-মাধ্যম বা মিডিয়েটর। মাধ্যম দিয়েই পৌঁছাতে হয় লক্ষ্যে, যদিও তার রকমফের থাকে। কে কোন মাধ্যম ধরে চলবেন, সেটা তার নিজস্ব ভাবনা, ইচ্ছা বা ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। আর এই মাধ্যম ছাড়া অনেক কাজ সম্পন্ন করা একপ্রকার অসম্ভবই বলা যায়। কাউকে বা কিছু অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে হয়। অনেকটা লতাগাছের মতো, যা অন্য গাছ অবলম্বন করে বহুদূর উঠে যেতে পারে। তবে মনুষ্য সমাজে সেই মাধ্যম বা অবলম্বন যাচাই-বাছাই ও বিবেচনার মধ্য দিয়ে করতে হয়। তা না হলে সেই মাধ্যমের কারণেই হয়তো মাটিতে আছড়ে পড়তে হয়। আর মাধ্যম ছাড়া যেহেতু অনেক কাজ সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব, তাই কখনো কখনো মাধ্যম হয়ে ওঠে অবশ্যম্ভাবী।
আবার মাধ্যমেরও থাকে ভিন্ন ভিন্ন নাম-মধ্যস্থতাকারী, ঘটক, দালাল ইত্যাদি কাজের ধারা অনুযায়ী সেই সব নাম। তবে তাদের লক্ষ্য এক এবং তা হলো যোগাযোগ-যোগাযোগ ঘটিয়ে দেওয়া হয় দুপক্ষের মধ্যে, যেমন: বিয়ের ঘটক। তবে ঘটকরা সহজেই দুপক্ষের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ করায় না। দুপক্ষের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ করালে তো তাদের অর্থাৎ ঘটকদের আয়-রোজগার তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যাবে।
ইদানীং দালালরা ‘চিটিংবাজ’ হিসাবে বেশি চিহ্নিত হচ্ছে। তাই বলতে হয়, বর্তমানে প্রকৃত সৎ দালাল খুঁজে পাওয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ, এই দালাল বা মধ্যস্থতাকারীদের ওপর বিশ্বাস, আস্থা, ভরসা রেখেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হয়। কিন্তু দালাল বা ঘটক যদি হয় চিটিংবাজ, তাহলে আশা-ভরসা তো বিফলে যাবেই।
লিয়াকত হোসেন খোকন : প্রাবন্ধিক
