|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অর্জুনের স্থানীয় অন্যান্য নাম : অর্জুনা, কাহু
বৈজ্ঞানিক নাম : Terminalia arjuna.
ফুল ফোটার মৌসুম : গ্রীষ্মকাল
পরিবার : Combretaceae.
জন্মস্থান : ভারত, শ্রীলঙ্কা
বিস্তৃতি: ঢাকায় রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান এবং পাহাড়ি এলাকা
অর্জুনের ছালের ব্যবহার বহুমাত্রিক হওয়ায় মানুষ নানাবিধ প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। একসময় অর্জুনগাছ কিছুটা দুষ্প্রাপ্য হলেও আজকাল বন বিভাগের কল্যাণে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। একই কারণে নগর উদ্যানেও সহজে চোখে পড়ে। অর্জুন গাছের ভেষজগুণ অনেকটা কস্তুরী মৃগের মতোই। প্রাচীনকাল থেকেই কবিরাজরা অর্জুন গাছের বিচিত্র ভেষজগুণ আবিষ্কার করে তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। হৃদরোগে অর্জুন বহু পরীক্ষিত এবং নিঃসন্দেহে সুফলদায়ক। শুধু ভেষজগুণ ছাড়াও অর্জুন গাছের ফুল, ফল ও পাতার কারণেও বেশ নান্দনিক।
অর্জুন গাছ দীর্ঘ ও পত্রমোচী। কাণ্ড দীর্ঘ, সরল, উন্নত, মৃসণ ও বিপ্রতীপ ভঙ্গিতে বিন্যস্ত। অনেক সময় একটি ছোট্ট শাখাকেও যৌগিক পত্র বলে ভুল হয়। এই গাছের ফুলে ঐশ্বর্য নেই, প্রাচুর্য আছে। গ্রীষ্মের প্রথমভাগে নতুন পাতা ও ফুল প্রায় একই সময়ে আসে। ফুল অত্যন্ত ছোট, ম্লান-হলুদ, দুর্গন্ধী এবং মঞ্জরিতে ঘনবদ্ধ। ফল ডিম্বাকৃতির, ৫টি খাঁজযুক্ত, শক্ত এবং অজস্র। একসময় ঝরা ফলে গাছতলা ভরে থাকে। কাঠ শক্ত হলেও আসবাবপত্রের কাজে অনুপযোগী। নৌকা, ঘরের কাঠ এবং গরুর গাড়ি তৈরিতে ব্যবহার্য। এ গাছের পাতায় তসর পোকার চাষ হয় এবং বাকল ট্যানিং ও রঞ্জক পদার্থের উপকরণ।
লেখক : প্রকৃতিবিষয়ক লেখক, সম্পাদক- তরুপল্লব
