|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গন্ধরাজের স্থানীয় অন্যান্য নাম নেই, বৈজ্ঞানিক নাম : Gardenia jasminoides.
ফুল ফোটার মৌসুম : গ্রীষ্ম,পরিবার : Rubiaceae, জন্মস্থান : চীন, বিস্তৃতি : ঢাকার বিভিন্ন পার্ক ও উদ্যানসহ প্রায় সারা দেশ
গন্ধরাজ ফুল আমরা অনেকেই চিনি। এ গাছের বংশবৃদ্ধির কৌশলও অত্যন্ত সহজ। ডাল কেটে পুঁতে দিলেই বেঁচে যায়। মাত্র দু’এক বছর পরই দিব্যি ফুল ধরতে শুরু করে। এভাবেই গাছটির বিস্তার ঘটে সব জায়গায়। একসময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গন্ধরাজ ফুল গাছ চোখে পড়ত। এ ফুলের গন্ধ একেবারেই স্বতন্ত্র। গ্রীষ্মের আলুথালু বাতাসে মাতাল করা সুগন্ধ ভেসে বেড়ায়। বিশেষত রাতের অন্ধকারে গন্ধের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। সহজলভ্য, পুষ্পপ্রাচুর্য এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণে গন্ধরাজ ফুল গ্রামেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। গাছটি গঠন বিন্যাস এবং ফুলের সুগন্ধের জন্য সব জায়গাতেই সমাদৃত। আমাদের পার্ক ও উদ্যানগুলো গন্ধরাজ ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। কেউ কেউ আবার ডালপালা ছেঁটে, মাথা মুড়িয়ে তাতে
অন্যরকম সৌন্দর্য খুঁজে পান; কিন্তু নিয়মিত ডালপালা ছাঁটলে পুষ্পপ্রাচুর্য অনেকটাই কমে যায়। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া এ গাছটির জন্মস্থান কিন্তু আমাদের
দেশ নয়, সুদূর চীন। চিরসবুজ এ গাছটি প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গাছ ঝোপাল, ডালপালাগুলো আঁটসাঁট ও শক্ত ধরনের। কখনও কখনও গোড়া থেকেও ডালপালা গজায়। পাতার রং চকচকে সবুজ। ৭ থেকে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফুলের মৌসুম বসন্ত থেকে শুরু করে একেবারে বর্ষা-শরৎ পর্যন্ত। ফুলের গোড়ার দিকটা নলাকার, মুক্ত পাপড়িগুলো দুধসাদা রঙের, ডাবল ও কয়েক সারি। বাসিফুল ও পরাগধানি হলুদ রঙের। গন্ধরাজ ফুলের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফুল শুকিয়ে যাওয়ার পরও সুগন্ধ থেকে যায় অনেকদিন।
লেখক : প্রকৃতিবিষয়ক লেখক, সম্পাদক : তরু-পল্লব
