Logo
Logo
×

প্রকৃতি ও জীবন

হলুদ মঞ্জরির কনকচূড়া

Icon

মোকারম হোসেন

প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্থানীয় অন্যান্য নাম : পেল্টোফোরাম

বৈজ্ঞানিক নাম : Peltophorum pterocarpum

ফুল ফোটার মৌসুম : গ্রীষ্ম

পরিবার : Caesalpinaceae

জন্মস্থান : আন্দামান, শ্রীলংকা ও মালয়

বিস্তৃতি : ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকাসহ প্রায় সারা দেশ

ঢাকায় রূপসী তরুকুলে পেল্টোফোরামের সুউচ্চ স্থান। তিনটি মূল বৈশিষ্ট্যের জন্য অন্য গাছপালা থেকে এ গাছ খুঁজে বের করা সহজ। প্রথমত বড়সড় দ্বিপক্ষল পত্র। দ্বিতীয়ত, শাখায়িত দীর্ঘ হলুদ মঞ্জরি এবং শেষত চ্যাপ্টা তামাটে ফলের অজস্রতা। শেষতম বৈশিষ্ট্যটি ঢাকার তরুরাজ্যে অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য।

ফুলটির কনকচূড়া নাম দিয়েছেন অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা। ইদানীং ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশেই কনকচূড়া চোখে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় বীথিটি দেখা যায় জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্বপাশের পথের ধারে। বিরাটাকায় দ্বিপক্ষল পত্রের এ গাছ উচ্চতায় বেশ বড়। কাণ্ড ধূসর, অমসৃণ ও ওপরের দিকটা ছত্রাকৃতির। শাখা-প্রশাখা অনেক, ঘনবিন্যস্ত ও ছায়া সুনিবিড়। কৃষ্ণচূড়ার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। শীতের শেষে সব পাতা ঝরে গেলে বিবর্ণ ডালপালায় প্রাণের কোনো চিহ্নই থাকে না। আবার বসন্তের প্রথমভাগে নতুন পত্র-পল্লবে সুশোভিত হতে শুরু করে গাছগুলো। পাতা ছোট, সরু, অসংখ্য, রুক্ষ ও কালচে সবুজ। নতুন পাতা গজানোর পর চৈত্র মাসের শেষ ভাগেই ফুল ফুটতে শুরু করে। ফুলের রং গাঢ়-হলুদ, পাপড়ি সংখ্যা ৫টি, সুগন্ধি এবং শাখায়িত মঞ্জরিগুলো ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় গ্রীষ্মকালজুড়েই ফুলের অব্যাহত প্রস্ফুটন চোখে পড়ে। ফুলের সুগন্ধ দূরবাহী হওয়ায় গাছের শাখায় শাখায় মৌমাছি ভিড় করে। ফুল শেষ হতে না হতেই ফল আসতে শুরু করে। ফল অজস্র, চ্যাপ্টা ও তামাটে রঙের। বীজ থেকে খুব সহজেই চারা হয়, কাঠের তেমন মূল্য নেই।

লেখক : প্রকৃতিবিষয়ক লেখক, সম্পাদক- তরুপল্লব

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম