Logo
Logo
×

প্রকৃতি ও জীবন

অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়া

Icon

প্রকৃতি ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নামে কাঁকড়া হলেও অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়া প্রকৃত কাঁকড়া নয়। বিছে ও মাকড়সার সঙ্গে এদের বেশি মিল। এরা সামুদ্রিক সন্ধিপদ প্রাণী। পৃথিবীর বিভিন্ন সামুদ্রিক অঞ্চলে এমনকি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতেও এদের দেখা যায়। এরা অগভীর সমুদ্র এবং নরম বালি বা কাদাময় সমুদ্রতলে বাস করে। অনেক দেশে এদের জমির সার এবং মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রায় ৪৫ কোটি বছর আগে অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়ার উৎপত্তি হয় বলে এদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়। এদের এক জোড়া অক্ষিপুঞ্জের প্রতিটিতে এক হাজার চোখ রয়েছে। প্রজনন ঋতুতে এক একটি স্ত্রী অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়া উপকূলীয় অগভীর পানির নিচে বালুতে গর্ত তৈরি করে প্রায় এক লাখেরও বেশি ডিম পাড়ে। ডিমের অধিকাংশই পাখি ও অন্যান্য প্রাণী খেয়ে ফেলে। ফলে অল্পসংখ্যক ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়ার রক্তে কপারের উপস্থিতি থাকার কারণে রক্তের রং নীলচে ধরনের। এদের রক্তে মেরুদণ্ডী প্রাণীর শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার মতোই এক ধরনের কণিকা আছে। তাই চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের জন্য অশ্বক্ষুরাকৃতি কাঁকড়ার রক্ত সংগ্রহ করা হয়। আর এ কাজে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ কাঁকড়া ধরা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম