কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শান্ত নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ডাংয়ের পাড়া গ্রামের শিপন আলীর ছেলে।

বিজিবি সূত্র জানায়, ৫ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ন বিওপির সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩ এস এর কাছে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় ভারতীয় ১৪৬ বিএসএফ কোম্পানির উদয়নগর ক্যাম্প থেকে গুলি ছোড়া হলে শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার সময় এলাকাবাসী তিনটি গুলির শব্দ শুনতে পান। পরে শান্তর পরিবার বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। বিজিবি আরও জানায়, বিএসএফ গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তকে ভারত সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার হোগলবাড়ি থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, শান্ত ওই এলাকার শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ঘটনার রাতে আরও তিন থেকে পাঁচজন সহযোগীকে নিয়ে ভারতীয় সীমানা থেকে মাদক ও অস্ত্র আনতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তারা। এ সময় বিএসএফের গুলিতে শান্ত গুরুতর আহত হন এবং অন্যরা পালিয়ে যান। পরে বিএসএফ তাকে আহত অবস্থায় আটক করে।

বিজিবির সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্তে বিজিবি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘটনার রাতে সীমান্তে শান্তসহ কয়েকজনকে লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালায়। তিনি আরও জানান, ৮ ডিসেম্বর বিএসএফের সঙ্গে আমাদের পতাকা বৈঠক হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর শান্তর লাশ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আমরা আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করব।