ট্রাম্পের প্রথম স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ
এখন সময় আমেরিকার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের এটাই সুবর্ণ সময়। তিনি বলেন, এখন নতুন আমেরিকার সময়, আমেরিকান স্বপ্নে জীবনযাপন শুরু করার এর চেয়ে ভালো সময় আর কখনোই ছিল না। নতুন প্রশাসনের বিভিন্ন নীতি ও কর্মকাণ্ডে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান দুই দলকে অভিবাসন ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা এবং একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের নিন্মকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে এ ভাষণ দেন তিনি। ট্রাম্পের এ ভাষণ শুনতে অংশ নিয়েছিলেন অভিবাসী ও ড্রিমার হিসেবে পরিচিতদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিও। তবে এ ভাষণ তাদের ব্যাপকভাবে হতাশ করেছে। এ ভাষণে ট্রাম্প তার ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
ট্রাম্পের এ আবেদন সাড়া পাবে কিনা, তার প্রথম পরীক্ষা হবে যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ অনিবন্ধিত প্রায় ১৮ লাখ অভিবাসীর সুরক্ষা দিতে নেয়া ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল (ডাকা) প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে আসা অনিবন্ধিত অভিবাসীর সন্তানরা ডাকার আওতায় অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়ে আসছে। এরাই ‘ড্রিমার’ নামে পরিচিত। ওবামা আমলে হওয়া ওই ডাকা কর্মসূচির মেয়াদ চলতি বছরের ৫ মার্চ শেষ হবে। কর্মসূচির মেয়াদ না বাড়লে অনিবন্ধিত ওই তরুণদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে পড়তে হবে।
ট্রাম্প জানান, তিনি ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে ড্রিমারদের নাগরিক করে নিতে একটি পথ বের করবেন, কিন্তু তার বদলে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন ও অভিবাসন প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপের তার প্রস্তাবে ডেমোক্রেটদের রাজি হতে হবে। নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে ‘চেইন মাইগ্রেশন’ প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাওয়ার কথাও জানান ট্রাম্প। অভিবাসীদের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিক হওয়ার পর সেই সূত্রে তার পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্র্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াকেই ‘চেইন মাইগ্রেশন’ বলা হয়।
ট্রাম্প শুরু থেকেই এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি চান ‘চেইন মাইগ্রেশন’ নয়, মেধার ভিত্তিতে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হবে। অন্যদিকে দশককাল ধরে চলে আসা এ প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ কিংবা একে বন্ধ করে দেয়ার বিপক্ষে ডেমোক্রেটরা। ট্রাম্প বলেন, ‘চলুন ঐক্যবদ্ধ হই, রাজনীতিকে একপাশে সরিয়ে রেখে আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করি।’ মেয়াদের প্রথম বছরেই শেয়ার বাজারের ঊর্ধ্বগতি ও বেকারত্বের হার কমিয়ে আনাসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের কৃতিত্বও দাবি করেন ট্রাম্প। গত বছরের শেষদিকে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত কর সংস্কার কর্মসূচি কংগ্রেসে অনুমোদিত হওয়ার পর এ উন্নতি দৃশ্যমান হচ্ছে বলেও বিশ্বাস তার।
