|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জন্মের পর নবজাতক দিনে আট-দশবার পায়খানা করে এটি স্বাভাবিক। পায়খানা করা একটি অভ্যাস। এই অভ্যাসের ব্যত্যয় হলে কোষ্ঠকাষ্ঠিন্য হয়। এছাড়া কিছু রোগের উপসর্গেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। স্কুলে বাথরুম ব্যবহার না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। শিশুর জন্মের ছয় মাস পর যখন স্বাভাবিক নরম খাবার খাওয়া শুরু করে তখনও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। ছয় মাস পর স্বাভাবিক খাবার শুরু করলে শিশুর শরীরে এনজাইম পরিপূর্ণভাবে কাজ শুরু না করায় সাময়িকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যে খাবার শরীরে পানি ধরে রাখে না তাতে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি, ফল কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বাধা দেয়। পক্ষান্তরে বেশি বেশি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, পনির, আলু, ফাস্ট ফুড, যে খাবার কাটলে কষ হয় অর্থাৎ আয়রণজাতীয় খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যে বাচ্চার পায়খানা করতে কষ্ট হয় ফলে পায়খানার রাস্তা ছিঁড়ে যায় তখন রক্তক্ষরণ হয়। ফলে বাচ্চারা এ ভয়ে পায়খানা করতে চায় না। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়ে। এ থেকে এনাল ফিশার হতে পারে। বাচ্চাকে টয়লেট হ্যাবিট অভিভাবকদের শেখাতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানীয় খেলে অন্ত্রের মুভমেন্ট বেড়ে যায় তখন সে টয়লেট করবে। দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর টয়লেটে বসালে বাচ্চা বাথরুম করতে আগ্রহী হবে, টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বাঞ্ছনীয়।
ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
মডার্ন হারবাল গ্রুপ
মোবাইল : ০১৯১১৩৮৬৬১৭
