Logo
Logo
×

খবর

ঢাকা-বরিশাল নৌরুট

যুক্ত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ

Icon

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যুক্ত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ এমভি কীর্তনখোলা-১০। যাত্রীবাহী অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিলাসবহুল এ লঞ্চটিতে তিন তারকা হোটেলের মতো সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বুধবার রাতে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে লঞ্চটি বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চটি উদ্বোধন হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। লঞ্চটি নির্মাণ করেছে সালমা শিপিং কর্পোরেশন।

শিপিং কর্পোরেশনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুরুল আহসান ফেরদাউস বলেন, ৯০ ঘণ্টারও বেশি সময় নদীতে চালিয়ে ইঞ্জিনের পরীক্ষা করা হয়েছে। কোনো ত্র“টি ছাড়াই সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে লঞ্চটি। বুধবার রাতে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করলেও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার সদরঘাটে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লঞ্চটির উদ্বোধন হবে। লঞ্চটি নির্মাণ হয়েছে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে বেলতলা ফেরিঘাট এলাকায় বাগেরহাট শিপ বিল্ডার্স নামের একটি ডকইয়ার্ডে। সেখানে প্রতিদিনই ভিড় করছে উৎসুক মানুষ। কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে লঞ্চে প্লে-গ্রাউন্ড, ফুড কোর্ট, বিনোদনের জায়গা, বড় পর্দার টিভি, অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারকম, উন্মুক্ত ওয়াইফাই সুবিধাসহ রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা। অভিজাত শ্রেণীর বিলাসী যাত্রীদের জন্য লঞ্চটিতে রয়েছে ১৭টি ভিআইপি কেবিন। কেবিনগুলো বানানো হয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক তিন তারকা হোটেলের আদলে। ব্যয়বহুল ও দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্রে সাজানো প্রতিটি কক্ষ। প্রতিটি কেবিনের সঙ্গে রয়েছে সুবিশাল বারান্দা। এখানে বসে নদী ও এর আশপাশের মনোরম প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। কক্ষের ভেতরে রয়েছে এলইডি টিভি। রিভার সাইটের কেবিনের ভেতর থেকেও সহজেই দেখা যায় বাইরের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি। লঞ্চের করিডোরগুলোয় রয়েছে নান্দনিক ডিজাইন। নকশা ও কারুকাজ যে কারও মন কাড়বে। ভিআইপি ও কেবিন যাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা সুসজ্জিত খাবার হোটেল। এছাড়া দুই হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন লঞ্চটিতে রয়েছে ৭০টি ডাবল ও ১০২টি সিঙ্গেল কেবিন। ৪ তলা লঞ্চটির ডেকের যাত্রীদের জন্য যাত্রা আরামদায়ক করতে নিচতলা ও দোতলায় রয়েছে মসৃণ কার্পেট। আলোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ডিজিটাইল লাইট। বিনোদনের জন্য তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য থাকছে বড় পর্দার টিভি ও অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম