অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বৃদ্ধি
সিলেটে ধর্মঘট প্রত্যাহার পাথর ব্যবসায়ীদের
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিলেটের দুটি স্থলবন্দর ও ৯টি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ৫ দিন আমদানি বন্ধ থাকার পর আলোচনার মাধ্যমে নিরসন হলো অচলাবস্থার। আজ (সোমবার) আবারও আমদানি শুরু করবেন ব্যবসায়ীরা। রোববার বিকালে সিলেট কাস্টমস ভবনে আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সভায় আমদানি করা পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বৃদ্ধি ১ ডলার থেকে ৭৫ সেন্টে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিলে ব্যবসায়ীরা তা মেনে নেন। প্রত্যাহার করেন ধর্মঘট।
বৈঠক শেষে তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানি গ্রুপের সহসভাপতি জালাল উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘ আলোচনার পর ব্যবসায়ীরা ৭৫ সেন্ট বৃদ্ধি মেনে নেওয়ায় তারা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। অন্যদিকে সাংবাদিকরা এই বৈঠকের খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। একপর্যায়ে কাস্টমস ভবন থেকে বের করে দেন গণমাধ্যম কর্মীদের। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সিলেটের টেলিভিশন সাংবাদিকরা। এর প্রতিবাদে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সব খবর বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা)।
জানা যায়, সিলেট অঞ্চলের ১২টি স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে মূলত আমদানি হয় পাথর ও চুনাপাথর। এতদিন শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে পাথরের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ছিল ১১ ডলার, আর চুনাপাথরের সাড়ে ১১ ডলার। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১০ আগস্ট পাথর ও চুনাপাথরের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ ডলার হারে বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সিলেট কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হন আমদানিকারকরা। ১৬ আগস্ট সব ধরনের পাথর আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।
