Logo
Logo
×

খবর

ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম

খুলনায় তিন প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ বন্ধের নির্দেশ

Icon

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনা মহানগরীতে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কার্যক্রমে চাল ও আটা বিতরণে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার সত্যতা পেয়েছে খাদ্য বিভাগ। পরে একটি ময়দার মিল এবং দুটি ওএমএস ডিলারের বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। এছাড়াও ওএমএস কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৪ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ১৪ দফা নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওএমএস ডিলার নগরীর মেসার্স শিকদার স্টোর ও মেসার্স পলাশ এন্টারপ্রাইজ এবং আটা সরবরাহকারী আশা ফ্লাওয়ার মিলের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।

এর মধ্যে আশা ফ্লাওয়ার মিলের উৎপাদিত আটার বস্তায় মিলের নাম মুদ্রিত না থাকায় গম বরাদ্দ ও চাহিদাপত্র প্রেরণ স্থগিত করা হয়েছে। শিকদার স্টোরের ভেতরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও পরিদর্শনের দিন ৬ বস্তা চাল কম থাকার কারণ দর্শানোসহ এটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া। পরিদর্শনকালে পরিদর্শক দলকে অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে পলাশ এন্টারপ্রাইজের ব্যাখ্যা, ডিলারশিপ স্থগিত/বাতিলকরণসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। খুলনা খাদ্য বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিদর্শকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ওএমএস ডিলাররা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করছেন। নামমাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও অধিকাংশ কর্মকর্তাই ‘ম্যানেজ সিস্টেমে’ চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘মেসার্স শিকদার স্টোর’ ও ‘মেসার্স পলাশ এন্টারপ্রাইজ’র দুজন ডিলারকে শোকজ করে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। তবে তারা এখনো জবাব দেননি। এছাড়া অধিদপ্তর যেসব নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে মিল মালিকসহ ডিলারদের নোটিশ করা হয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, অনিয়মের বিষয় সামনে আসায় কয়েকজনের বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম