বজ্রপাত ও ঝড়ে ৫ মৃত্যু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হাজারো মানুষ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। তাদের মধ্যে বজ পাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে গৃহবধূ, বরগুনার আমতলীতে যুবক, নোয়াখালীতে দিনমজুর এবং বরিশালে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রংপুরের কাউনিয়ায় ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছচাপায় অটোরিকশাচালক মারা গেছেন। এছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। ব্যুরো, স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে বজ পাতে নিহত শাহনাজ বেগম কণা কমলনগর উপজেলার চর ফলকন এলাকার ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী। রোববার দুপুরে চর ফলকনে খালেক হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আমতলী (বরগুনা) : মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে আমতলীর আলগী গ্রামের বশির হাওলাদারের ছেলে রিপন হাওলাদারের মৃত্যু হয়েছে। রোববার আলগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী : গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে নোয়াখালীর সল্যাঘটাইয়া গ্রামের নূর আহমেদের ছেলে নুরুল আমিন কালা মারা গেছেন। রোববার নোয়াখালী পৌরসভার জালিয়াল গ্রামের দালাল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল ও হিজলা : বজ্রপাতে প্রাণ হারানো ইয়ানুর বেগম হিজলার মান্দ্রার চর কুশুরিয়া গ্রামের হাবিব মাঝির স্ত্রী। রোববার একই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কাউনিয়া (রংপুর) : কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ চাপায় নিহত অটোচালক মোফাজ্জল হোসেন কাউনিয়ার হারাগাছ পৌরসভার মৃত আছান উদ্দিনের ছেলে। শনিবার রাতে কাউনিয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
রংপুর ও তারাগঞ্জ : কালবৈশাখী ঝড়ে রংপুরের তারাগঞ্জ ও কাউনিয়াসহ কয়েকটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বেশকিছু এলাকায় ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় ৯টি ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শনিবার রাতে এক ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে তারাগঞ্জ ও গংগাচড়া উপজেলায়। তারাগঞ্জে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙেছে। রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে গাছপালা উপড়ে পড়ে যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিল। এছাড়াও রংপুর মহানগরী, বদরগঞ্জ, পীরগাছা উপজেলার বেশকিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাট : কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার ১৫টিরও বেশি গ্রাম। শনিবার মধ্যরাতের ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চরাঞ্চলগুলোতে। তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলে ভুট্টাখেত ও সবজি খেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি এবং লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : কালবৈশাখী ঝড়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বড়ভিটা বাজারের ১৪টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন দুজন। শনিবার রাতের ঝড়ে শতশত একর জমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়।
