শেবাচিম শিক্ষার্থী
পড়াশোনার চাপ সামলাতে পারলেন না সজীব বাড়ৈ
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈ অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ সামলাতে পারলেন না। ডিপ্রেশনে থাকা সজীব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি আপনজনদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিরকুট লিখে গেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, শেবাচিমের ৫০তম ব্যাচের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সজীবের সহপাঠীরা এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নশিপ করছেন। তবে তিনি তৃতীয় বর্ষে আটকে ছিলেন। সোমবার রাতে হলের নিজ কক্ষে বিষাক্ত ইনজেকশন শরীরে পুশ করেন সজীব। এরপর সহপাঠীরা তাকে প্রথমে শেবাচিম হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেন। শনিবার ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন সজীব অবস্থায় মারা যান। রোববার বরিশালের আগৈলঝাড়ায় নিজবাড়িতে সজীবের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
রুমমেট সুমন হালদার জানান, পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে সজীব প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। ক্লাস ও পরীক্ষায় তিনি খুব ভয় পেতেন। পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে সজীব নিজ কক্ষে বিষাক্ত ইনজেকশন শরীরে পুশ করেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেবাচিমের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার জানান, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সজীব কিছুদিন আগে শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এবং মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
মৃত্যুর আগে সজীব চিরকুটে লিখেছেন, ‘নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত আমি। একটু বিশ্রাম চাই। ক্ষমা করে দিও। এত ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারলাম না।’ তাদের বাড়ি আগৈলঝাড়ার বাকাল গ্রামে। সজীবের বাবা আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের সাথী টেইলার্সের মালিক সুধীর বাড়ৈ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত।
