রায়পুরায় ছেলে মনির হোসেনের শাবলের আঘাতে বাবা কবির মিয়ার (৫০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীররাতে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছেলে মনিরকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত কবির বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন মনিরকে নিয়ে দোচালা একটি ঘরে বসবাস করতেন কবির। রাত আড়াইটার দিকে মনির তার ঘুমন্ত বাবাকে হঠাৎ শাবল দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় কবির দৌড়ে পাশের একটি জমিতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় তার পিছু নিয়ে মনির আবারও উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে কবিরের মৃত্যু হয়। মনির মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে বাধা দেওয়ার সাহস করেননি প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন মনিরকে আটক করে হাত-পা বেঁধে পুলিশে খবর দেয়।

এক প্রতিবেশী বলেন, এক বছর আগে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যায় মনির। কাজ না পেয়ে কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ছয় মাস আগে দাদি, ফুফু ও চাচাত বোনকেও কুপিয়ে জখম করে মনির। ওই ঘটনায় করা মামলায় তিন মাস কারাগারেও ছিল সে। পরে মনিরকে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন তার বাবা। তারপর থেকে ছেলেকে নিয়ে কবির একটি দু’চালা ঘর নির্মাণ করে বসবাস ও ছেলের দেখাশোনা করতেন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, প্রবাসফেরত ছেলের শাবলের আঘাতে কবির নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে আটককৃত মনির মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা ডাক্তারি পরীক্ষার পর জানা যাবে।