ধামরাইয়ে ঘরের ভেতর মা ও ২ ছেলের লাশ
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শ্বশুরালয় থেকে মোবাইল ফোনে বাবার বাড়ি কল দিয়েছিলেন গৃহবধূ নাসরিন আক্তার। অপর প্রান্ত থেকে মা ও দুই ভাই কারও উত্তর মেলেনি। অবশেষে হন্তদন্ত হয়ে নিজেই দ্রুত ছুটে যান বাবার বাড়ি। দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান বিছানায় পড়ে আছে মা নাজমা আক্তার (৩৫) ও দুই ভাই শামীম হোসেন (১২) ও সোলায়মান হোসেনের (৬) নিথর দেহ। এ অপ্রত্যাশিত ঘটনায় প্রায় নির্বাক হয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুলদিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত এলাকার মৃত রাজা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনার অবতারণা হয়। বছরখানেক আগে নাসরিনের বাবা রাজা মিয়াও এভাবেই আকস্মিক মারা যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাসরিন আক্তারের বিয়ে হয় একই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিন হোসেনের সঙ্গে। তাদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। মা ও দুই ভাই ঈদের উপহার নিয়ে সোমবার সকালে তার বাড়িতে আসার কথা ছিল। তাদের আসতে দেরি হচ্ছে বিধায় নাসরিন মা ও ভাইদের কুশল জানতে মোবাইল ফোনে কল করেন। ওপাশ থেকে দীর্ঘক্ষণ সাড়া না মেলায় তার মন ছটফট করতে থাকে। হন্যে হয়ে নিজেই বাবার বাড়ি ছুটে যান। গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসেন। সবার উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিছানায় মা ও দুই ভাইয়ের লাশ দেখতে পান।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যারহস্য উন্মোচন করা যাবে বলে আশা করা যায়।
এ ব্যাপারে নাসরিন বলেন, আমার মা ও দুই ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। কেউ না কেউ তাদের কৌশলে হত্যা করেছে। শরিকদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ রয়েছে। যে কারণে আমার বাবা বছরখানেক আগে মারা গেছেন। বছর না ঘুরতে আমার মা ও দুই ভাইয়ের জীবন গেল। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসি চাই।
