ভিডিও ভাইরাল
বন্দরে বিএনপির সাবেক নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর ও হেনস্তা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে। রোববার বন্দরের হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে তাকে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলুর কর্মী-সমর্থকরা হেনস্তা করে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি মুকুলকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন। তাকে বিবস্ত্র করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, হরিপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রায় এক কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন। পরে তিনি কাজটি মুকুলকে দেন। তিনি রোববার পাওয়ার প্ল্যান্টে গেলে তাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়।
হামলার শিকার মুকুল বলেন, ডন বজলুরের লোকজন অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। বজলুর বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে আলাউদ্দিন ও তার ছেলে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মামুনের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ ছিল হরিপুর, কুতুবপুর ও বঙ্গশাসন গ্রামের মানুষ। আলাউদ্দিন জুলাই হত্যা মামলার আসামি। ৫ আগস্টের পর এলাকার মানুষ তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। আলাউদ্দিনের জামাতা ও নাতজামাইকে নিয়ে পাওয়ার প্ল্যান্টে আসেন মুকুল। এসময় এলাকার লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আলাউদ্দিন জানান, বজলু ও তার বাহিনীর সদস্যরা কাজ পাওয়ার পর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ার কারণেই হামলা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর পরই বিএনপির নেতা-কর্মীরা আলাউদ্দিনের ফাঁসির দাবিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, মুকুলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
