Logo
Logo
×

খবর

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ আয়

সাড়ে তিন কোটি টাকার হিসাব নেই কুবিতে

Icon

সাঈদ হাসান, কুবি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নবীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ‘বিভাগ ফি’ ও ‘সোসাইটি ফি’ বাবদ আয় হয় প্রায় ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। বিগত ৯ বছরে এ খাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বিভাগে জমেছে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। তবে এই বিপুল অর্থ কোথায় খরচ হলো, এর সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ফির ব্যবহার ও হিসাবের স্বচ্ছতা না থাকায় প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভবিষ্যতে আর্থিক অনিয়ম বা আস্থার সংকট বাড়তে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তর বলছে, বিভাগগুলো কখনোই আয়-ব্যয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেয় না। তাদের আহ্বান জানানো হলেও বেশির ভাগ বিভাগ অডিট দিতে আগ্রহী নয়। অর্থ দপ্তরের উপপরিচালক এসএম মাহমুদ বলেন, আগে কখনো এ হিসাব চাওয়া হয়নি। নতুন প্রশাসন বিভাগগুলোকে চিঠি দিয়েছে, কেউ কেউ সাড়া দিচ্ছে। তবে কতটি বিভাগ হিসাব দিয়েছে, সেটা বলা যাচ্ছে না।

বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা জানান, আদায় করা ফি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যবহার হয়-শিক্ষা সফর, বিভাগীয় উইক, অনুদান, অতিথি শিক্ষক প্রভৃতির পেছনে। কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রশাসনকে দেওয়া হয় না। আমরা চিঠি পেয়েছি এবং তা নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

তবে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকি বলেন, এ আয় বিভাগের নিজস্ব তহবিল। সেজন্য আয়-ব্যয় আমরা প্রশাসনকে জানাই না। একাডেমিক কমিটির সবার সম্মতিতে আমরা প্রশাসনকে বিভাগের হিসাব দেখাতে ইচ্ছুক নই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা নিয়মিত সোসাইটি ফি দিই; কিন্তু কবে কী ইভেন্ট হয়েছে, কোথায় কত খরচ হয়েছে, তা জানানো হয় না।

কুবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, সোসাইটি ও বিভাগ ফি নামে যে টাকা আসে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয়। প্রতিটি তহবিল ও বিভাগ একসময় অডিটের আওতায় আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউই অডিটের বাইরে নয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম