কর্মকর্তার উদাসীনতা
কিশোরগঞ্জে উপবৃত্তি পায়নি ৫ হাজার শিক্ষার্থী
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌর সদরসহ তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ভিড় করছেন স্কুলগুলোতে। উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, নতুন সফটওয়্যার ধীরগতিতে কাজ করায় আইপিএমআইএস থেকে বাদ পড়েছে এসব শিক্ষার্থীর নাম।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া (ড্রপআউট) ঠেকাতে সরকার আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করার এমন কর্মসূচি হাতে নেয়। দুটি ক্যাটাগরিতে সরকার ৬ মাস পরপর ৯০০ এবং ১ হাজার ৮০০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। সাধারণত শিক্ষার্থীদের মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে এসব উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হয়ে থাকে।
তবে, ১৫ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সারা দেশে উপবৃত্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নতুন সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীদের ছবিসহ তালিকা প্রণয়ন কাজ হালনাগাদ করা শেষ হয়। আর এ থেকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর সদরসহ মির্জাপুর ও হোসেন্দী-তিনটি ক্লাস্টারের ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ২৬০ শিক্ষার্থীর নাম আইপিআইএমএসের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। এই তিনটি ক্লাস্টারের দায়িত্বে ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।
ও-ই তিন ক্লাস্টারের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের দাবি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশ মোতাবেক তারা তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির চাহিদার তালিকা সময়মতো অনলাইনে পূরণ করে সব কাজ সম্পন্ন করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার ই-মেইলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাই করে শিক্ষা কর্মকর্তার মেইলে পাঠানোর কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল দাবি করেন, উপবৃত্তির তালিকা প্রেরণের শেষ সময়টাতে তিনি ট্রেনিংয়ে ছিলেন। তাছাড়া, সার্ভার জটিলতার দরুন তার মোবাইলে কাজ করা সম্ভব হয়নি। আইডি, পাসওয়ার্ড, ক্যাপচার এবং ওটিপি জটিলতার কারণে এমনটা হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে কিংবা তার উদাসীনতায় এমনটি হয়নি। এদিকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপবৃত্তির এসব টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আশ্বাস মিলেছে।
