পুষ্টিগুণ
ধনিয়াপাতার উপকারিতা
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খাবার সুস্বাদু করতে ধনিয়াপাতার জুড়ি নেই। ধনিয়াপাতা খাবারে আনে ভিন্ন স্বাদ। সালাদ ও তরকারিতে ধনিয়াপাতার ব্যবহার বেশি হয়। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় এটি অনন্য। এতে আছে- ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সিসহ আরও অনেক উপাদান।
এছাড়া এতে রয়েছে ১১ জাতের ইসেনশিয়াল অয়েল, ৬ ধরনের এসিড (অ্যাসকরবিক এসিড, যা ভিটামিন ‘সি’ নামেই বেশি পরিচিত), ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারী পদার্থ।
এতে রয়েছে- ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, ফসফরাস, ক্লোরিন এবং প্রোটিন। ধনিয়াপাতা কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হজমশক্তি বাড়ায়, মুখের আলসার সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, বাতের ব্যথা কমায় ও দাঁতের মাড়ি মজবুত করে ইত্যাদি। তাই এ পাতাকে সাধারণ কিছু ভাবার কোনো কারণ নেই।
আবার রূপচর্চায়ও ধনিয়াপাতার ব্যবহার হয়। ঠোঁটে কালো দাগ যাদের, তারা রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধনিয়াপাতার রসের সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এভাবে কিছুদিন লাগালে দাগ দূর হবে।
উপরন্তু ঠোঁট কোমল হবে। ধনিয়াপাতা সব সময় বাসায় থাকে না। ধনিয়াপাতা বারোমাস চাষ করা যায় বাসার ছাদে ও বারান্দায়। ছয় ইঞ্চি টব, আড়ংয়ের টকদইয়ের পট, এক কেজি দইয়ের বাটি, দু’লিটারের পানির বোতল ইত্যাদি জিনিসে ধনিয়াপাতার বীজ বপন করতে পারেন। শুরুতে বীজটা একটু শুকিয়ে নিতে পারলে ভালো। এরপর ধনিয়াকে হালকা করে বেটে দু’ভাগ করে নিতে পারেন। দু’ভাগ করে নিলে একটা ধনিয়া বীজ থেকে দুটি গাছ হবে। না করলেও হবে। তবে একটি ধনিয়া থেকে একটি গাছ। ধনিয়ার বীজ ভাগ করা হলে দু’দিন, আস্তা হলে তিন দিন পানিতে ভেজাতে হবে।
পানিতে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়া করে দিতে পারেন। আবার জীবাণুমুক্ত করার জন্য হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড ব্যবহার করতে পাারেন। লক্ষ রাখতে হবে, মাটিটা যেন হালকা হয়; ঝুরঝুরে হয়। মাটি টবে দিয়ে বীজ ছিটিয়ে দিন। তার ওপর হালকা করে মাটি দেবেন। টব ছায়া জায়গায় রেখে দিন। ইচ্ছা করলে টব ঢেকে দিতে পারেন। দিন তিনেক পরে ঢাকনা তুলে ফেলুন। গাছ বড় হয়ে গেলে পাতা কেটে খাবেন। গাছের গোড়ায় হালকা মাটি দিতে হবে। পাতা অল্প ক’দিনেই খাওয়া যাবে।
