|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পরিচিত একটি ফুলের নাম কামিনী। শহর কিংবা গ্রামকে মাতিয়ে রাখতে এ ফুলের কোনো জুড়ি নেই। এ ফুলের সবচেয়ে বড় অবদান, বাতাসে মিষ্টি সুগন্ধি ছড়ায়। তখন পরিবেশটাও অন্যরকম লাগে। ফুল যখন ফোটে, সব স্থানে কাকতালীয়ভাবে একই সময় ফোটে। তাই তো প্রকৃতিপ্রেমী ও কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের উক্তি থেকে জানা যায়, বিখ্যাত ডেফোডিল ফুলই বাংলার কামিনী ফুল। যার মূল বৈশিষ্ট্য- সন্ধ্যায় ফোটে আবার ভোরবেলায় ঝরে যায়। এ ফুলেরই নাম কামিনী ফুল। ফুল ছোট আকৃতির, সাদা ও সুগন্ধী। ফুল মঞ্জরিতে উৎপন্ন হয়, ঘন সবুজ পাতার ফাঁকেফাঁকে থোকায় থোকায় মঞ্জরি বের হয়। এ ফুলের ঔষধি গুণও আছে। গাছটি থেকে তৈরি ওষুধ শরীরের আমাশয়, কাটা-ছেঁড়ায়, বাতের ব্যথা, রক্ত বন্ধ, হাঁচি সর্দি, জ্বর সারাতে ব্যাপক ভূমিকাও রাখে। উদ্ভিদবিদ বিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা বলেছিলেন, কামিনী চিরসবুজ ক্ষুদ্র বৃক্ষ। এর অসংখ্য শাখা-প্রশাখা আছে। এটি লেবু গোত্রীয় উদ্ভিদ। গোষ্ঠীবৈশিষ্ট্যে পাতাও ফুলের অংশ বিশেষ। মাঝে একটি হলুদ পরাগকেশর। ফুলগুলো সবুজ পাতার মাঝে মঞ্জরিবদ্ধ হয়ে ফুটে থাকে। এর মিষ্টি ঘ্রাণ বিমুগ্ধ করে যে কাউকে। কামিনী মূলত ক্রান্তীয় অঞ্চলের ফুল। চিরসবুজ ছোটখাটো ধরনের গাছ, ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কখনো কখনো গুল্ম আকৃতিরও হয়ে থাকে। এটি ২ সেন্টিমিটার চওড়া, ৫টি খোলা পাপড়ি, বাসি হলে ঝরে পড়ে। ফল ছোট ও ডিম্বাকার, পাকলে লাল-কমলা রঙের হয়। তখন আরও নান্দনিক লাগে। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও হেমন্তে কামিনী গাছে সাদা ফুল থোকায় থোকায় ভরে ওঠে। এর বৈজ্ঞানিক নাম : Murraya paniculata. ইংরেজি নাম : orange jasmine। এ ফুলটির আদিনিবাস ভারত, চীন হলেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এ ফুল ভালো জন্মে।
