Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

ঈদে মেহেদির সাজ

Icon

ফারিন সুমাইয়া

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঈদ আনন্দের অনেকখানি জুড়ে থাকে মেহেদির আলপনা। দুহাত ভরে মেহেদি না দিলে যেন চাঁদরাতে ঈদের পূর্ণতাই আসে না। আকাশে একফালি বাঁকা চাঁদের ঈদের শুভেচ্ছা জানানো আর বাহারি ডিজাইনের আলপনায় মেহেদি হবে টুকটুকে লাল-এ থাকে ঈদের সবার আগের প্রস্তুতি। অনেকেই সব কাজ তাই আগেভাগেই গুছিয়ে রাখেন। সময় নিয়ে মনের মতো সাজিয়ে নেন দুই হাত। বাড়ির ছোট সদস্যদের মাঝেও থাকে একই রকম আনন্দের মহল। কার হাতের কারুকাজ কত বেশি সুন্দর এ নিয়ে চলে দুষ্ট মিষ্টি খুনসুটি। তবে সবাই যে একই রকম মেহেদি পরতে ভালোবাসেন তা কিন্তু না। অনেকেই খুব হালকা কাজ পছন্দ করেন। হাতের দুপাশে লতা-পাতার আঁকাবাঁকা পথ আর এক পাশে ফুলেল নকশায় সাজিয়ে নেন হাত। কেউ আবার প্রিয় মানুষের নাম আঁকেন নিজের হাতেই। অন্যদিকে অনেকেই ভালোবাসেন হাত ভরে মেহেদি পরতে। কোনো ভাবেই মেহেদি পরায় কার্পণ্য করার উপায় নেই ঈদের এ আনন্দের মুহূর্তে। তাই হাতের তালু এবং উপরের অংশ জুড়ে থাকে ভরাট নকশা। অনেকেই আবার ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে ব্যবহার করেন ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন করা স্টিকার। এতে সময় যেমন বাঁচে তেমনি আবার খুব সুন্দর নকশা ফুটে উঠে হাতে। তবে মেহেদি ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। আলাদা একটি জায়গা বেঁছে নিয়ে মেহেদি হাতে দেওয়া শুরু করতে পারেন। এতে মননিবেশ থাকবে একই দিকে। মেহেদি সময় নিয়ে শুকাতে হবে। অনেকেই হালকা রং এলেই মেহেদি ধুয়ে নেন। এতে হাতে মেহেদির রং সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। কাজেই পুরো মেহেদি শুকিয়ে এলেই ঝেরে ফেলে দিতে হবে মেহেদির শুকনো গুঁড়া। অনেকেই পার্লারে যান সুন্দর করে হাতে নকশা এঁকে নিতে। অন্যদিকে বাসায় এসে মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও এখন প্রায়শই চোখে পড়ে। এর বাইরেও অনেকেই পছন্দ করেন সেই পাটায় বাটা মেহেদির লাল রং। হাতের মাঝে বৃত্ত ভরাট আর আঙুলের মাথায় মেহেদি ভরে অপেক্ষা করা হতো লাল টুকটুকে রঙের জন্য। হাতের উপরের অংশে দেওয়া হতো আলতা। নখে লাল নেইলপলিশের বাড়তি পরত দেওয়া হতো যাতে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে লালা আভা। সময় বদলালেও সেই ভালোবাসা মিশে আছে এখনো অনেকের মাঝে। তবে মেহেদি নিয়ে কমেনি ভালোবাসা এক বিন্দুও। যে কোনো অনুষ্ঠানে হাতের মেহেদির সাজ চাই। এর বাইরে বাহারি রঙের নেইলপলিশ আর হাতে চুড়ির রঙের মেলাই যেন ঈদের পূর্ণতা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম