Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

এই সময়

যেমন জুতা চাই

Icon

মাজহারুল ইসলাম শামীম

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট হয়েছে পিচ্ছিল ও খানাখন্দ। ফলে হাঁটাচলায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। কিন্তু হাঁটার জন্য প্রধান যে উপকরণ, তা হলো জুতা। এ জুতা কিন্তু অন্য সব মৌসুমের মতো হলে চলবে না। জুতা এমন হতে হবে যাতে সহজে পানি, মাটি, কাদায় নষ্ট না হয়। তাই জুতা নির্বাচনে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আবার জুতায় যেন পায়ের বা হাঁটায় কোনো ক্ষতি না করে, সেদিকেও লক্ষ রেখে কিনতে হবে।

বর্তমানে সব মার্কেটে রাবার, স্পঞ্জ ও সিনথেটিকের নতুন মডেলের জুতা ও স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এসব জুতার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে ভিজলেও নষ্ট হয় না। এসব জুতার উপাদান যদিও প্লাস্টিক বা রাবারের হয়ে থাকে; কিন্তু এমন ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে, যা কিনা চামড়ার জুতার ডিজাইনের কপি করা হয়ে থাকে, যা ব্যবহারে কোনো জায়গায় রুচিহীন মনে হবে না। বর্ষার উপযোগী কিছু জুতা নিয়ে আলোচনা করা হলো-

ওয়াটার প্রুফ জুতা : ওয়াটার প্রুফ জুতাগুলো এখন সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। এ জুতা পানিতে ভিজে না। পানি বা মাটি লাগলেও হালকা পরিষ্কারে চলে যায় এবং জুতা সব সময় পরিষ্কার থাকে। তবে ভালো গুণাগুণ পেতে হলে অবশ্যই দেখেশুনে এ জুতা কিনতে হবে। না হলে কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ রকম জুতার ডিজাইনের অনেক পরিবর্তন রয়েছে।

আউট অফ সোল : জুতার নিচের অংশে এমন সোল ব্যবহার করা হয়, যাতে সহজে পানি ও কাদা পরিষ্কার করা যায়। বৃষ্টিতে সমান সোলের জুতা ব্যবহার না করাই ভালো। আউট অফ সোল হলো জুতার তলাকে বোঝায়। জিগজ্যাগ সোলগুলো কর্দমাক্ত এবং এবড়োখেবড়ো রাস্তাগুলোতে চলাচলে খুবই আরামদায়ক।

হিলস : মধ্যম বা ব্যালেন্স হিলগুলো বৃষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বৃষ্টির সময়ে জুতার হিলগুলো বেশি উঁচু হয় না বলে খুবই আরামদায়ক।

চটপট স্যান্ডেল : বর্ষাকালে শুধু দুই বেল্টের স্যান্ডেল পরে বাইরে না যাওয়া ভালো। হাঁটার সময় পায়ের পেছনে কাদামাটি উঠতে পারে জামা পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে অবশ্যই জুতার পেছনে ফিতা থাকে এমন জুতা কিনতে হবে। যাতে কাদামাটি জামা পর্যন্ত না ওঠে। বাটার পুরুষ বিভাগের পণ্য উন্নয়ন প্রধান মো. রেজাউল হায়দার বলেন, সিনথেটিক উপাদানের জুতা না পরাই ভালো। ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে স্নিকার বা স্পোর্টস জুতা পরা যায়। যাতে সহজেই ধোয়া যাবে। আবার অফিসে যাওয়ার জন্য বেছে নিতে পারেন ড্রেস জুতা। অফিসের জন্য সব সময় পানিরোধী জুতা বেছে নিতে পারেন। এসব জুতায় ব্যবহার করা হয় পিউ আউটসোল। যাতে নিচের দিক দিয়ে পানি ভেতরে না ঢোকে। আবার জুতার ওপরের অংশে স্বচ্ছ আস্তর দেওয়া থাকে, পানি পড়লে জুতায় না লেগে সহজেই গড়িয়ে পড়ে যাবে।

সতর্কতা : এ সময় পেনসিল হিল, বড় হিল, চপ্পল ব্যবহার না করাই ভালো। শহরে কিংবা গ্রামে রাস্তায় পানি এবং কাদা অনেক জমে যায়। রাস্তায় অনেক গর্তও থাকে। তাই যে কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। আবার জুতা দেখে কিনতে হবে। কারণ জুতা থেকে পায়ের ক্ষতিকর কিছু হতে পারে। ছোট শিশুদের জন্যও বর্ষাকালে জুতা নির্বাচনে সতর্কতা প্রয়োজন।

শিশুরা সাধারণত দুষ্টমি বেশি করে বিধায় তাদের বর্ষাকালে পানিতে জুতা ভেজানোর কাজটা বেশি হয়। একই সঙ্গে তারা পিচ্ছিল জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে তাই জুতা নির্বাচনে পানিরোধক জুতা নির্বাচন করতে হবে। সেদিক থেকে শিশুর জন্য গামবুট, রাবার লোফার, স্লিপার, স্যান্ডেল এগুলো উপযোগী। শিশুদের পা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সেজন্য ঘনঘন নতুন জুতা কিনতে হবে। তবে যে জুতা যখনই কিনবেন, তখনই ওই জুতার মান সর্বোচ্চ হওয়াকে গুরুত্ব দেবেন।

মূল্য সম্পর্কিত তথ্য : ছেলেদের জুতাগুলোর দাম ৩০০-৪০০ টাকা হতে পারে। স্যান্ডেল পাওয়া যেতে পারে ২০০-২৫০ টাকায়। মেয়েদের জুতা বা স্যান্ডেলের দাম ৩০০-৪৫০ টাকা। বাচ্চাদের জুতা পাওয়া যেতে পারে ২৫০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া যমুনা ফিউচার পার্ক, রাপা প্লাজা, এলিফ্যান্ট রোড, কিংবা নিউমার্কেটে ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন চমৎকার বর্ষার জুতা ও স্যান্ডেল। আকারে ছোট গামবুটের দাম ৩৫০-৯০০ টাকা। বড় আকারের দাম ৫৫০-২৫০০ টাকা। রাবার ও স্পঞ্জের জুতা ৩০০-এক হাজার টাকা। দুই ফিতা বেল্টযুক্ত স্যান্ডেল ২০০-৬০০ টাকা। ফুটপাতে স্যান্ডেল মিলবে ১৫০-২৪০ টাকায়।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম