|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রসে টইটুম্বুর টক-মিষ্টি ফল কমলা। সুপরিচিত এ ফলটি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও ভরপুর। ছোট-বড় যে কোনো বয়সের মানুষের জন্যই এ ফলে রয়েছে নানা গুণাবলি। মৌসুমভেদে যে কোনো সময় পাওয়া গেলেও, শীতের এ সময় কমলালেবুর দেখা মিলে সবচেয়ে বেশি। গোলাকার শক্ত খোসার আবরণে থাকা এ ফলটি ভেতর থেকে নরম রসালো কিছুটা দানাদার আবরণের মধ্যে হয়ে থাকে। পাকা কমলার স্বাদ মিষ্টি হলেও, কাঁচা অবস্থায় এর স্বাদ বেশ টক হয়ে থাকে। তাই ভিটামিন ‘সি’-এর চাহিদা পূরণ করতে কমলা সবচেয়ে বেশি থাকছে মৌসুমজুড়ে। এ ছাড়া পরিপক্ব কমলাতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর উপাদান। আরও আছে ভিটামিন ‘বি’ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসসহ মিনারেল এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। গুণাগুণের দিক থেকে একটি কমলাতে আরও আছে ফোলেট, কপার এবং প্রচুর আঁশ। তাই যাদের মাড়িতে সমস্যা কিংবা দাঁতের ক্ষয়জাতীয় সমস্যা আছে, তাদের জন্য কমলা সবচেয়ে উপকারী একটি ফল। অন্যদিকে যাদের ত্বকে সমস্যা, যেমন- ব্রণ কিংবা ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ অথবা মলিন হয়ে থাকে, তারাও কমলা রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। এছাড়া ক্যালোরি ফ্রি হওয়ার কারণে যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত, তারা খাবার তালিকায় রাখতে পারেন এ টক-মিষ্টি ফলটি। সালাদ কিংবা প্রতিদিনের নাশতায় কমলা রাখতে পারেন ভিন্ন ভিন্ন পদের সঙ্গেও। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদস্পন্দন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কমলা বেশ কার্যকর একটি ফল।
তাই ফল কিংবা সালাদ হিসাবে খাওয়া ছাড়াও অনেকেই সকালের নাশতায় রাখেন কমলার রস অথবা জুস। যারা সারা দিন বাইরে থাকেন তারাও সঙ্গে রাখতে পারেন ছোট এ গোলাকার মিষ্টি ফলটি। সারা দিনের ক্লান্তির পাশাপাশি মুখের রুচির ক্ষেত্রেও কমলা খুবই কার্যকর একটি ফল।
অন্যদিকে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও কমলা হতে পারে অন্যতম মৌসুমি ফল। তাই শীতের এ সময় শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্থ থাকতে মৌসুমি ফলের তালিকায় কমলাকে রাখতে পারেন অনায়াসে।
