|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেড়াতে কার না মন চায়! কর্মব্যস্ত এ জীবনে কাজের চাপে অনেক সময় অবসাদ চলে আসে। দেহ ও মনের ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন একটু ঘোরাঘুরি। আর তা যদি হয় ঢাকার আপপাশে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এক দিনের মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন এসব দর্শনীয় স্থান থেকে। দৃষ্টিনন্দন ও মনোরম পরিবেশের জন্য স্থানগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনিও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন!
হুমায়ুন পার্ক
রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢাকা নবাবগঞ্জ সড়কের ইছামতি নদীর মহাকবি কায়কোবাদ সেতুসংলগ্ন ১২ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে পার্কটি। সুসজ্জিত ও অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে মিনিকার, জাম্পিং, জু জু ট্রেন, হানি সুইং, শান্তামারি, নাগরদোলা, মেরিঘোড়া ইত্যাদি। ২ হাজার দর্শনার্থীর পিকনিকের সব ধরনের ব্যবস্থা আছে। হুমায়ুন পার্কের আকর্ষণীয় দিক হলো-পার্ক থেকে মাত্র (সংযোগ রাস্তা) দুই মিনিট হেঁটে ইছামতির নদীর ঘাটে রয়েছে একটি দোতলা লঞ্চ। লঞ্চে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি বিনোদনপ্রেমীদের আনন্দ দেবে নিঃসন্দেহে। পিকনিক ও শুটিংয়ের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
রওশন গার্ডেন
ঢাকার অদূরে গুলিস্তান থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের কৈলাইলে অবস্থিত রওশন গার্ডেন। সুস্থধারার বিনোদনের জন্য পার্কটি এক কথায় অনন্য। পিকনিক স্পট, শুটিং স্পটের জন্য নান্দনিক একটি পার্ক । শিুশুদের মানসিক বিকাশে পার্কটি অতুলনীয়। বিভিন্ন প্রাণীর ম্যুরাল ও প্রাকৃতিক নৈসর্গিক ও গ্রামীণ পরিবেশের আদলে গড়া বিনোদনের জন্য জায়গাটি ছোট-বড় সবার ভালো লাগবে। পার্কের ভেতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন দুটি পুকুর। পুকুরের দুই পাড়ে সারি সারি আমগাছ। রয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ। এক হাজার জনের পিকনিকের যাবতীয় সুব্যবস্থা রয়েছে পার্কটিতে। রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য রওশন গার্ডেন অনন্য।
ট্যুরিস্ট পিকনিক স্পট
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পাশেই মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে ট্যুরিস্ট ও পিকনিক স্পট একটি বিনোদন পার্ক। এটি সোনারগাঁ জাদুঘরের মেইন গেটসংলগ্ন ৫০ বিঘা খাসনগর দীঘিরপাড়ে অবস্থিত। দর্শনার্থীদের জন্য এখানে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে খাওয়া-দাওয়ার ডাইনিং, রেস্ট হাউজ, খাসনগর দীঘিরপাড়ের উত্তর পাশে ঘাটলা, ওয়াশ রুম, অনুষ্ঠান মঞ্চ। আরও রয়েছে রান্নাবান্নার সব ধরনের ব্যবস্থা। আপনি এখানে বিশাল দীঘিরপাড়ের মনোরম পরিবেশ, হিমেল হাওয়া উপভোগ করতে পারবেন শানবাঁধানো ঘাটলায় বসে। ভাড়া নিতে হলে আগেই যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
আনসার ক্যাম্প
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র নবাবগঞ্জ থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার অদূরে ও কলাকোপা ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত আনসার ক্যাম্প। ৩২ আনসার ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর এটি। আনসার ক্যাম্পের ভেতরে রয়েছে নবাবগঞ্জের জমিদার বাড়ি। রয়েছে ইংরেজ শাসনামলের ও প্রাচীন কারুকার্যে নির্মিত বাড়ি যা কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। রয়েছে খেলারামদাতার কৌটা। আনসার ক্যাম্পের কূলঘেঁষে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। ঢাকার গুলিস্তান থেকে কিছুক্ষণ পর পরই বাস ছাড়ে। বাসে নামতে হবে কলাকোপা। কলাকোপা থেকে হেঁটে ৫ মিনিটের পথ পেরুলেই আনসার ক্যাম্প।
