ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বর হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সংখ্যা খুব বাড়ে। কিছু উপায় অবলম্বন করে আমরা এডিস মশার প্রজনন রোধ করতে পারি।
ছাদ বাগান
ছাদ বাগানে কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। প্রতিটি গাছের পাত্রে ছিদ্র থাকা চাই। যাতে পানি না জমে। যারা ছাদ বাগানে জলজ গাছ করেন তারা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করবেন। প্রতি ৭২ ঘণ্টায় যদি পাত্রের পানি বদলে ফেলতে পারেন, তাহলে সমস্যা নেই। প্রয়োজনে পানিতে মোটর পাম্প লাগিয়ে তা প্রবাহমান করা যেতে পারে। প্রবাহমান পানিতে মশা ডিম পাড়ে না। গাপ্পি কিংবা গাম্বুসিয়া মাছও ছেড়ে দিতে পারেন। এসব মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। ছাদ পরিষ্কারের সময় কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। যেসব ছাদে জলছাদ থাকে না সেসব ছাদ কিছুটা উঁচু নিচু দেখা যায়। নিচু জায়গায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ছাদ থেকে যে পাইপের মাধ্যমে পানি নিচে পড়ে। অনেক সময় সেটা ময়লা, আর্বজনার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা, আর্বজনা ছাড়িয়ে দিতে হবে।
বেলকনি কৃষি
অল্প একটু জায়গা। অনেক টব। বৃষ্টি পড়লে কোথাও পানি জমল কিনা তা বের করা মুশকিল। এ রকমটা হলে বিপদ আসন্ন। কারণ পানি জমলেই সেখানে এডিস মশার জন্ম হবে। তাই প্রয়োজনে টব কম রাখুন। কিন্তু সব চেক করে দেখুন। অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় কিনা। এ জন্য পর্যাপ্ত ছিদ্র রাখার পাশাপাশি মাটিতে খানিকটা কোকোপিট অথবা বালু ব্যবহার করা উত্তম। বালু, কোকোপিট অতিরিক্ত পানি শুষে নেওয়া এবং বের হয়ে যেতে সহায়তা করবে।
বাড়ির মাঝে, কার্নিশে
দুটি বাড়ির মাঝে, কার্নিশে যেন পানি না জমে সে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। জমানো পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। যে পাত্রগুলোতে জমানো পানি পাওয়া যাবে। সেগুলো ধ্বংস করতে হবে। পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। আইসক্রিম বা দইয়ের খালি পাত্র, টায়ার, ডাবের খোলসহ এমন কিছু যেখানে পানি জমে থাকার সুযোগ আছে। এসব সেখানে ফেলে দেওয়া যাবে না।
খেয়াল রাখুন
ডেঙ্গুর বাহক এডিস বাড়িতে ভাঙা কমোড, বোতল, পলিথিনের ব্যাগ বিভিন্ন পাত্র ফেলে রাখলে সেখানে থাকতে পারে। কুকুর, বিড়ালের খাবারের সঙ্গে পানির পাত্র রাখলে সেখানে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। ছোটখাটো এসব জিনিস কিন্তু আমাদের আশপাশেই থাকে। যেখানে এডিস মশা প্রজনন করতে পারে। যদি কোনো পাত্র রাখতেই হয় তাহলে সেটি ব্যবহারের পর উলটে রাখতে হবে, যাতে সেখানে পানি জমে এডিস মশার প্রজনন না হতে পারে।
ঘরের দরজা, জানালায় মশা প্রতিরোধে চিকন ফাঁসের নেট লাগিয়ে দিন। এতে আলো ঠিকঠাক মতো এলেও মশা, ধুলাবালি আসবে না। বেলকনিতে চিকন ফাঁসের নেট ব্যবহার করা যায়।
শুধু নিজের ঘর নয়। বাসার নিচে গর্ত বা কোনো কিছুতে পানি জমে থাকলে তা ফেলে দিতে হবে। গর্ত মাটি বা বালু দিয়ে ভরাট করে দিন।
সাধারণত সকাল, সন্ধ্যায় মশা বেশি কামড়ায়। এ সময়টায় ঘরে থাকা ভালো। বাইরে বের হলে যতটুকু ঢেকে ঢুকে বের হওয়া যায়, ততটুকু ঢেকে বের হতে হবে। মশা প্রতিরোধে নানা রকম ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো হাতে এবং পায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
