পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
মাজহারুল ইসলাম শামীম
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ড্রাগন নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিক হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। যদিও এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় একটি পুষ্টিকর ফল। এক সময় এ ফল বাইরে থেকে আমদানি হতো বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এর চাষ হচ্ছে। পুষ্টিগুণের দিক থেকে ড্রাগনে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। যেগুলো কিনা খাবার হজমেও সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিমাণ অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম সাদা ড্রাগনে পুষ্টি হলো : ৬০ গ্রাম ক্যালরি, ১০-১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম প্রোটিন, ৮-১২ গ্রাম চিনি, ২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার। আবার ১০০ গ্রাম লাল ড্রাগনে পুষ্টির পরিমাণ হলো : ৫০-৬০ গ্রাম ক্যালরি, ৯-১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ৮-১২ গ্রাম চিনি, ২ গ্রাম প্রোটিন।
পুষ্টি ছাড়াও ড্রাগন দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখে। ড্রাগন রক্তের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এ ফল খেতে পারে। মানুষের দাঁত, হাড়, চুল, নখ মজবুত করার জন্য আয়রন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণের দরকার। ড্রাগনে খাদ্য উপাদানগুলো রয়েছে উচ্চমাত্রায়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রচুর আয়রন প্রয়োজন। ড্রাগন আয়রন জোগান দিয়ে থাকে। ড্রাগন হাড় ক্ষয় রোগ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। শরীরের কাটাছেঁড়া এবং ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে।
ড্রাগনে বিদ্যমান উপাদানগুলো যেভাবে মানবদেহে কাজ করে থাকে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট : এ ফলে রয়েছে বেটালাইনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ অক্সিডেন্টগুলো ফ্রি রেডিক্যাল নামের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে তৈরি ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে।
কম ক্যালরি : ড্রাগনে অন্য ফলের তুলনায় ক্যালরি কম থাকে। তাই যেসব মানুষ কম ক্যালরি সম্পূর্ণ খাবার পছন্দ করে, তাদের জন্য এটি উত্তম ফল।
হাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রোলাইটস : ড্রাগনে রয়েছে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এসব উপাদানে বিদ্যমান রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ, যা কিনা তরলের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং শরীরের শক্তি জোগাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ও খনিজ : ড্রাগনে রয়েছে ভিটামিন সি, বি১, বি২ এবং আয়রনসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। তবে কখনো কখনো ভিটামিন বি৩, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও থাকে, যা কিনা মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস : এ ফলে আরও রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান। আবার এসব উপাদানের মধ্যে বিদ্যমান বৈশিষ্ট্য হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির যৌগ। এসব যৌগ মানুষের ক্ষতিকর সব রোগ থেকে রক্ষা করে এবং সুস্বাস্থ্য গঠনে ভূমিকা রাখে।
