Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

ভ্রমণ

ত্রিশালের চেচুয়ার শাপলা বিলে

Icon

চয়ন বিকাশ ভদ্র

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ময়মনসিংহ শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে এবং ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রামপুর ইউনিয়নে বিশাল চেচুয়া বিল। যা এখন শাপলা বিল নামে পরিচিত। বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে শীতের শুরু পর্যন্ত প্রচুর শাপলা ফোটে। সকালে উদিত সূর্যের আভায় ফুটন্ত লাল শাপলা ও পড়ন্ত বিকালে সূর্যাস্তের দৃশ্য সবার মন কেড়ে নেয়।

প্রতিদিন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন এ পদ্মবিলের সৌন্দর্য দেখতে। শুক্র, শনিসহ সরকারি ছুটির দিনে দর্শনার্থীর ঢল নামে এখানে। বিলে মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে শাপলা। প্রায় ২০ একর আয়তনের এ বিলের প্রায় পুরোটাজুড়েই শাপলা ফুটেছে। মনে হয় বিলজুড়ে শাপলার চাদর বিছান। যতদূর চোখ যায় শুধু শাপলা আর শাপলা, মাঝে মাঝে রয়েছে ঘাস আর কচুরিপানার ঝাঁক। রয়েছে সাদা ও বেগুনি শাপলাও। পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নৌকায় চড়ে বিলের ভেতরে ঢুকলে মনে হয় যেন বাতাসের তালে তালে শাপলারা নেচে নেচে ভ্রমণপিপাসুদের হাসিমুখে স্বাগত জানাচ্ছে।

এ বিলে যেতে হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এরপর বালিপাড়া রোডে অটোরিকশা করে পৌঁছতে হবে রামপুরার ঠাকুরবাড়ি মোড়ে। পরে চেচুয়া বিল পর্যন্ত ভ্যান কিংবা হেঁটে দুই ভাবেই যাওয়া যায়। ভ্যানে যেতে সময় লাগবে পাঁচ মিনিটের মতো। এরপর ধানক্ষেতের আইল ধরে হেঁটে যেতে হবে শাপলা বিলে। বিলের সৌন্দর্য রক্ষা ও সারা বছর ফুল ধরে রাখতে ফুল তোলা নিষিদ্ধ।

বিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নৌকা ভাড়া করে বিলের ভেতরে গেলে দেখা যায় বাতাসের তালে তালে শাপলারা দুলছে। যেন তারা স্বাগত জানাচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের। বিলে সাঁতরিয়ে শাপলা ফুলের ছোঁয়া নেয় কিশোররা। ঝলমলে সূর্যের আলো রাঙিয়ে দেয় শাপলা বিলকে। এ বিলের শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রয়েছে হরেক রকম নৌকা। ভোর থেকেই শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটকদের আনাগোনায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে স্থানীয় অর্থনীতিও। বিলের কল্যাণে অনেক মাঝি পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। শাপলা বিলের পাশেই গড়ে উঠেছে হরেক রকম দোকান। বিলের মাঝখানে আছে বাঁশের ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিলের মধ্যে বিশ্রামের জন্য বানানো হয়েছে ঘর। ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে নৌকা। নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এজন্য দরদাম করে নিলে ভালো হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম