Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

শীত আসছে আপনি প্রস্তুত তো?

Icon

হাবীবাহ্ নাসরীন

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রকৃতির রূপবদল আমাদের মুগ্ধ করে রাখে। তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি কিংবা হেমন্তের ম-ম সৌরভ ডিঙিয়ে শীতের উপস্থিতি আমাদের আনমনা করে দেয় যেন। শীত একটি লোভনীয় ঋতু, সন্দেহ নেই। শীত মানেই নতুন গুড়ের পিঠা-পায়েস আরও কত কী! শীত মানেই বছর শেষে একটু ছুটি, আপনজনের কাছে কটা দিন থেকে আসা। শীত মানে কুয়াশাস্নান, মোটা চাদর গায়ে জড়িয়ে চুলার পাশে উত্তাপ নেওয়া। শীত নিয়ে আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই হাজারটা স্মৃতি রয়েছে। আবার বর্তমানটাও কম সুন্দর নয়। বড় হতে হতে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়েছে, এ দায়িত্বের আলাদা সৌন্দর্য। এখন আর নিশ্চয়ই ছেলেবেলার মতো মা ক্রিম কিংবা লিপজেল লাগিয়ে দেয় না? হয়তো এত দিনে সেই একই রকম দায়িত্ব পালন করছেন আপনি নিজেই। শীত তো চলে এলো বলে, আপনার প্রস্তুতি শেষ তো?

প্রকৃতিতে শীত জেঁকে বসার আগেই নিতে হয় প্রস্তুতি। কারণ এ সময় একটু বেশিই অলসতা আমাদের ঘিরে ধরতে পারে। তাই আগেভাগে সেরে রাখতে হবে কিছু কাজ। শীতের কাপড়, শীতের কাঁথা আর কম্বল কিংবা শীতে ত্বক ভালো রাখার উপকরণ সব শীতের শুরুতেই হাতের কাছে থাকা চাই যে! শিশুদের শরীর আমাদের বড়দের থেকে বেশি নাজুক। আর শিশু যেহেতু নিজের যত্ন নিজে নিতে পারে না, তাই তার দায়িত্বও আপনারই। এদিকটায়ও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুরা দ্রুত বড় হতে থাকে। তাই গত বছরের শীতের পোশাক তার গায়ে ফিট না-ও হতে পারে। সেজন্য শীত পড়ার আগেই তার পোশাক কিনে রাখতে পারেন। কারণ শীত পড়ে গেলে তখন আবার এ ধরনের পোশাকের দাম বেড়ে যেতে পারে।

ত্বকের যত্নে

শীতের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লড়াইটা করে সম্ভবত আমাদের ত্বক। এ ঋতুর রুক্ষতা বলুন কিংবা নিষ্ঠুরতা, সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে ফাটা ত্বক কিংবা ঠোঁটের দিকে তাকালেই। ত্বকের এ রুক্ষতা দূর করার জন্য আপনার প্রথম পদক্ষেপটি হবে নিজের ত্বকের সঙ্গে মানানসই পরিচর্যার উপকরণ কিনে রাখা বা তৈরি করে রাখা। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, আমাদের ত্বকের জন্য গরমে যে উপকরণ মানানসই, শীতের সময় কিন্তু সেটা কার্যকরী হবে না। তাই শীতের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে হবে। এ সময় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, লোশন, গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, লিপজেল, অলিভ অয়েল ইত্যাদি হাতের কাছে রাখুন।

শীতের পোশাক তৈরি তো?

আগেকার সময় একটি শীতের পোশাক দিয়েই অনেক বছর পাড়ি দিতেন বেশির ভাগ মানুষ। এখন ফ্যাশনের প্রভাব পড়েছে এ শীতের পোশাকেও। শীতের পোশাক গায়ে চাপালেও দেখতে যেন সুন্দর আর আকর্ষণীয় লাগে, সে চেষ্টাই করে যাচ্ছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এখন নারী-পুরুষ বেশির ভাগই কাজ করতে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই একই পোশাক প্রতিদিন পরা সম্ভব নয়। তাই একাধিক শীতের পোশাক প্রয়োজন হয়। সে রকম প্রয়োজন থাকলে এখনই কিনে রাখতে পারেন। এছাড়া যেসব শীতের পোশাক আলমারিতে তুলে রেখেছেন সেগুলোও বের করে ধুয়ে কিংবা ড্রাই ওয়াশ করে নিতে হবে। কারণ বছরখানেক আলমারিতে থাকার কারণে তাতে জীবাণু জন্মাতে পারে। এছাড়া শীতের কম্বল, কাঁথা, লেপ, চাদর ইত্যাদিও পরিষ্কার করে রাখুন।

পরিচ্ছন্নতা

পরিচ্ছন্নতা সব সময়ের জন্যই জরুরি। তবে শীতের সময় একটু বেশিই জরুরি। কারণ বছরের এ সময় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। সেখান থেকে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়া অনেক সহজ। এছাড়া ঋতু পরিবর্তনের সময় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। সে সুযোগে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বরের মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এগুলো প্রতিরোধের জন্য সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতা জরুরি। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে বাড়ির সব ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করুন নিয়মিত। যেসব স্থানে ধুলা বেশি জমতে পারে সেসব স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার করবেন। এছাড়া খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকেও। এ সময় স্যুপ, আদা-চা, মধু, লেবুজাতীয় খাবার বেশি খাবেন। এগুলো আপনাকে অসুখের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম