Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

আম কেন সবার প্রিয়

Icon

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বাংলাদেশে নানা জাতের আমে ভরে ওঠে হাটবাজার। কাঁচা, পাকা দুভাবেই আম খাওয়া যায়। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আমের জনপ্রিয়তা, দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুতপূর্ণ ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালে সরকার আমগাছকে জাতীয় বৃক্ষ হিসাবে ঘোষণা করে।

আম খেলে কি ওজন বাড়ে?

বেশি খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি আছে। হজমে সমস্যা হতে পারে, রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, আবার বাতের ব্যথা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে আম। আম জুস করে খেলে আমের ফাইবারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই আম চিবিয়ে খাওয়া উত্তম।

উৎপাদন

বাংলাদেশে ২০২২-২০২৩ সালে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৮ হেক্টর জমি থেকে ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৭ টন আম উৎপাদন হয় এবং হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ছিল ১১.৯৬ টন (বিবিএস, ২০২৩)। অন্যদিকে একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে, অর্থাৎ ২০০০-২০০১ সালে দেশে ৫০ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮০ টন আম উৎপাদন হয় (বিবিএস ২০০৫) এবং হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ছিল ৩.৭৭ টন। আম উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান।

পুষ্টিগুণ

অনান্য ফলের মতো আমেও আছে অনেক পুষ্টি উপাদান। আম প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানে সমৃদ্ধ। কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান স্তন ক্যানসার ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। নতুন কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আমে কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, লিউকোমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধের উপাদান আছে।

ঘুম আসার কারণ

অনেকেই আম খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেন। অবশ্য এর পেছনে কারণ আছে। আমে অনেক বেশি ট্রিপটোফ্যান থাকায় পর্যাপ্ত সেরোটোনিন তৈরি হয়। সেরোটোনিন হচ্ছে ঘুমের জন্য অন্যতম দায়ী। আম খেলে সেরোটোনিন বাড়ে তাই ঘুম আসে।

কোথায় ভালো হয়

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় আম কমবেশি উৎপন্ন হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষের জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সর্বাধিক বিখ্যাত। এ ছাড়া রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জেলাগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ হয়।

সংরক্ষণ

পাকা আম ফ্রিজে রেখে অনেক দিন পরও খাওয়া সম্ভব। তাই একটি পরিষ্কার পলি ব্যাগ নেবেন। পলি ব্যাগে আমের টুকরাগুলো নিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে দেবেন। পলি ব্যাগের মুখ আটকে নেবেন। আপনাদের ডিপ যদি ছোট হয়, তবে পলি ব্যাগে অনেক আম রাখতে পারবেন। আবার আস্ত আম ধুয়ে পলিথিনে করে রাখতে পারেন। আম বড় বড় করে কেটে বক্সে ভরে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম